‘A’ রাষ্ট্রের ভৌগোলিক আকৃতি খুব ছোট হওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকার শিক্ষা, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ও কৃষি ক্ষেত্রের দ্রুত উন্নয়ন সাধন করে। উক্ত রাষ্ট্রের স্তরে স্তরে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী নেই বলে অর্থনৈতিক খরচ অনেক কম। অন্যদিকে 'B' রাষ্ট্রের অঞ্চলগুলো অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে স্বাধীন বলে আঞ্চলিক নেতৃত্ব গঠন করে স্থানীয় পরিষদের মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে । ফলে এ রাষ্ট্রের সরকারের উচ্চস্তরে কাজের চাপ অনেক কমে যায় ।
‘B’ রাষ্ট্রের সরকারব্যবস্থা স্থানীয় নেতৃত্ব বিকাশে সহায়ক - বিশ্লেষণ কর ।
(উচ্চতর দক্ষতা)উদ্দীপকে উল্লেখিত 'B' রাষ্ট্রের সরকারব্যবস্থা হলো যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার, যা স্থানীয় নেতৃত্বের বিকাশে সহায়ক।
উদ্দীপকে দেখা যায়, 'B' রাষ্ট্রের অঞ্চলগুলো অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে স্বাধীন। তারা আঞ্চলিক নেতৃত্ব গঠন করে স্থানীয় পরিষদের মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে। ফলে এ রাষ্ট্রের সরকারের উচ্চস্তরের কাজের চাপ কমে যায়। যেমনটি যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থায়ও লক্ষ করা যায়। যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থায় প্রতিটি অঞ্চল বা প্রদেশ অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে স্বাধীন এবং সংবিধানের মাধ্যমে কেন্দ্র ও প্রদেশের মধ্যে ক্ষমতা ভাগ করে দেওয়া হয়। যার ফলে কেন্দ্রের ওপর চাপ কমে যায়। যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার আঞ্চলিক স্বাতন্ত্র্য ও ভিন্নতা বজায় রেখে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলে। এতে আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্য ও ভিন্নতাকে স্বীকৃতি দিয়ে সেগুলোকে লালন করা হয়। এ ধরনের ব্যবস্থা স্থানীয় নেতৃত্ব বিকাশে খুবই সহায়ক। যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় জনগণ দুটি সরকারের প্রতি আনুগত্য দেখায় ও দু'প্রকার আইন ও আদেশ মেনে চলে। ফলে জনগণ রাজনৈতিকভাবে অধিকতর সচেতন হয়ে ওঠে। যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় আঞ্চলিক সরকার সহজেই অঞ্চলের সমস্যাগুলো বুঝতে এবং তা চিহ্নিত করে সমাধান করতে পারে। এ সরকারব্যবস্থায় সংবিধানের মাধ্যমে কেন্দ্র ও প্রদেশের মধ্যে ক্ষমতা ভাগ করে দেওয়া হয়। ফলে স্থানীয় নেতৃত্ব বিকশিত হয়।
উপরের আলোচনার ভিত্তিতে তাই বলা যায়, যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারব্যবস্থা স্থানীয় নেতৃত্ব বিকাশে সহায়ক।