Academy

একই ভাষা, সংস্কৃতি, অর্থনৈতিক ক্ষমতা এবং ধর্মীয় নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে ‘ক’ রাষ্ট্রের সংবিধান রচনা করা হলো । এ রাষ্ট্রের সংবিধানে রাষ্ট্রের সকল কাজে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে। । উক্ত রাষ্ট্রের আইন সভায় একটি বিল পাসের ব্যাপারে আইন সভার মোট ২১০ জন সদস্যের মধ্যে ১৪০ জনের সম্মতি না থাকায় বিলটি বাতিল হয়ে যায় ।

সংশোধনের ভিত্তিতে 'ক' রাষ্ট্রের সংবিধান কোন শ্রেণির? ব্যাখ্যা কর ।

(প্রয়োগ)

Created: 2 years ago | Updated: 5 months ago
Updated: 5 months ago
Answer :

সংশোধনের ভিত্তিতে 'ক' রাষ্ট্রের সংবিধান দুষ্পরিবর্তনীয়।
সংবিধান কোন পদ্ধতিতে সংশোধন করা যেতে পারে তার ওপর ভিত্তি করে সংবিধানকে সুপরিবর্তনীয় ও দুষ্পরিবর্তনীয় এই দুই ভাগে ভাগ করা যায়। সাধারণ আইন পাসের পদ্ধতিতে সুপরিবর্তনীয় সংবিধান অতি সহজে পরিবর্তন করা যায়। অন্যদিকে দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান সংশোধন সাধারণ আইন পাসের পদ্ধতি দ্বারা সম্ভব হয় না। আর উদ্দীপকের সংবিধানও যেহেতু সহজে পরিবর্তন করা যায় না সেহেতু এটিও দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান।
উদ্দীপকে উল্লেখিত 'ক' রাষ্ট্রটির সংবিধান একই ভাষা, সংস্কৃতি, অর্থনৈতিক ক্ষমতা এবং ধর্মীয় নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে রচনা করা হয়। রাষ্ট্রের আইনসভায় একটি বিল পাসের ব্যাপারে আইন সভার মোট ২১০ জন সদস্যের মধ্যে ১৪০ জনের সম্মতি না থাকায় বিলটি বাতিল হয়ে যায়, যা আমরা দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধানের বৈশিষ্ট্যের ক্ষেত্রে দেখতে পাই। কেননা আমরা জানি, দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধানের কোনো বিধান সহজে সংযোজন, পরিবর্তন বা সংশোধন করা যায় না। এক্ষেত্রে সংবিধান পরিবর্তন বা সংশোধন সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় করা যায় না। প্রয়োজন হয় বিশেষ সংখ্যাগরিষ্ঠতা, সম্মেলন ও ভোটাভুটির। তাই বলা যায় সংশোধনের ভিত্তিতে 'ক' রাষ্ট্রের সংবিধান দুষ্পরিবর্তনীয়।

5 months ago

পৌরনীতি ও নাগরিকতা

**'Provide valuable content and get rewarded! 🏆✨**
Contribute high-quality content, help learners grow, and earn for your efforts! 💡💰'
Content
Promotion