একই ভাষা, সংস্কৃতি, অর্থনৈতিক ক্ষমতা এবং ধর্মীয় নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে ‘ক’ রাষ্ট্রের সংবিধান রচনা করা হলো । এ রাষ্ট্রের সংবিধানে রাষ্ট্রের সকল কাজে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে। । উক্ত রাষ্ট্রের আইন সভায় একটি বিল পাসের ব্যাপারে আইন সভার মোট ২১০ জন সদস্যের মধ্যে ১৪০ জনের সম্মতি না থাকায় বিলটি বাতিল হয়ে যায় ।
‘ক’ রাষ্ট্রের সংবিধানে বাংলাদেশের সংবিধানের বৈশিষ্ট্যের প্রতিফলন লক্ষ করা যায় বিশ্লেষণ কর।
(উচ্চতর দক্ষতা)'ক' রাষ্ট্রের সংবিধানে বাংলাদেশের সংবিধানের বৈশিষ্ট্যের প্রতিফলন লক্ষ করা যায়।
সংবিধান হলো রাষ্ট্র পরিচালনার মৌলিক দলিল। সংবিধানে নাগরিকদের অধিকার ও কর্তব্য, শাসকের ক্ষমতা, নাগরিক ও শাসকের সম্পর্ক কীরূপ হবে তা সুস্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ থাকে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ১৬ই ডিসেম্বর সংবিধান প্রণয়ন করা হয়। আর বাংলাদেশের এ সংবিধানের বৈশিষ্ট্যের সাথে উদ্দীপকের 'ক' রাষ্ট্রের সংবিধানের বৈশিষ্ট্যের সাদৃশ্য রয়েছে।
উদ্দীপকে আমরা দেখতে পাই যে, একই ভাষা, সংস্কৃতি, অর্থনৈতিক ক্ষমতা এবং ধর্মীয় নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে 'ক' রাষ্ট্রের সংবিধান রচিত হয়েছে। এ রাষ্ট্রের সংবিধানে রাষ্ট্রের সকল কাজে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে। এ রাষ্ট্রের আইনসভায় একটি বিল পাসের ব্যাপারে আইনসভার মোট ২১০ জন সদস্যের মধ্যে ১৪০ জনের সম্মতি না থাকায় বিলটি বাতিল হয়ে যায়। অনুরূপভাবে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতাকে বাংলাদেশের সংবিধানের মূলনীতি করা হয়েছে। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে এসব মূলনীতির দ্বারা অনুপ্রাণিত ও প্রভাবিত হয়ে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশ একটি প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এখানে সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ। তাছাড়া 'ক' রাষ্ট্রের সংবিধানের ন্যায় বাংলাদেশের সংবিধানও দুষ্পরিবর্তনীয়। এর কোনো নিয়ম পরিবর্তন বা সংশোধন করতে জাতীয় সংসদের মোট সংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সম্মতি প্রয়োজন হয় ।
উপরের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, 'ক' রাষ্ট্রের সংবিধানে বাংলাদেশের সংবিধানের বৈশিষ্ট্যের প্রতিফলন লক্ষ করা যায়।