নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ
মিসেস সান্তা সন্তানধারণে অক্ষম হওয়ায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে গেলেন। ডাক্তার এ সমস্যা সমাধানের জন্য একটি বিশেষ পদ্ধতিতে তার ডিম্বাণুর পরিস্ফুটন ঘটান। অন্যদিকে মিসেস সান্তার চাচাত বোন মিতা পুত্রসস্থানের আশায় এখন পাঁচ কন্যাসন্তানের জননী।
"জীবন্ত জীবাশ্ম" বলতে এমন কিছু জীবিত অর্গানিজম বোঝায় যাদের বিশেষ কোনো বৈশিষ্ট্যের কারণে তারা জীবাশ্মের মতো দেখায় কিন্তু তারা আসলে জীবিত। এটি সাধারণত কিছু প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণীকে নির্দেশ করে, যেমন:
মরীচিকা জীবাশ্ম (Living Fossils): কিছু জীবন্ত প্রজাতি, যেমন গিঞ্জো গাছ বা কোয়ালাক্যান্থ মাছ, যারা অনেক পুরানো জীবাশ্মগুলোর সাথে অতি সাদৃশ্যপূর্ণ, কিন্তু তারা আজও জীবিত।
বিশেষ পরিবেশে টিকে থাকা জীব: কিছু প্রজাতি যেমন সামুদ্রিক জীব বা এডাপটিভ প্রজাতি যে পরিবেশ পরিবর্তনের প্রতি খুব কম সাড়া দেয়, তারা আজও টিকে আছে এবং জীবাশ্মের মতো দেখতে পারে।
এটি একটি গবেষণার বিষয় হিসেবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি জীববৈচিত্র্য এবং প্রজাতির বিবর্তন সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য সরবরাহ করে।
আজ থেকে প্রায় সাড়ে তিনশত কোটি বছর আগে পৃথিবীতে প্রথম প্রাণের উৎপত্তি হয়। পৃথিবীর জলবায়ু তখন স্থিতিশীল ছিল না। তারপর কয়েক শত কোটি বছর পরে আজ পৃথিবী শান্ত, তার জলবায়ুও মোটামুটি স্থিতিশীল। পৃথিবীতে এখন বহু প্রজাতির জীবের বসবাস। অর্থাৎ এই দীর্ঘ সময়কালে প্রথম আবির্ভূত অনুন্নত জীবক্রম পরিবর্তিত হয়ে ধীরে ধীরে বিভিন্ন জীবপ্রজাতি সৃষ্টি করেছে ।মানুষের জীবন শুরু হয় মাতৃগর্ভে মায়ের ডিম্বাণু এবং বাবার শুক্রাণুর মিলনে সৃষ্টি হওয়া একটি কোষ থেকে। মানুষ তার জীবনকালে প্রথমে থাকে শিশু। পরবর্তীকালে শিশু থেকে ধাপে ধাপে কৈশোর-যৌবন পার হয়ে বৃদ্ধ অবস্থায় উপনীত হয়। জীবনকালের এই পরিবর্তনের একটি ধাপ হচ্ছে বয়ঃসন্ধিকাল। বয়ঃসন্ধিকালে সবারই দৈহিক এবং মানসিক পরিবর্তন ঘটে। আমরা এই অধ্যায়ে পৃথিবীতে জীবের উৎপত্তি কীভাবে ঘটেছে এবং মানুষের বয়ঃসন্ধিকালে দৈহিক ও মানসিক পরিবর্তনগুলো কীভাবে ঘটে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করব।
এই অধ্যায় পাঠ শেষে আমরা: