মৌরি একদিন বাবার কাছে বায়না ধরে বোটানিক্যাল গার্ডেনে বেড়াতে যাবে। বাবা একদিন ওকে নিয়ে বেড়াতে গেলে সে ভীষণ খুশি হয়। নানা জাতের ফুল-ফলের গাছের সমারোহ দেখে সে অভিভূত হয়ে যায়। দীর্ঘদিন সে যেসব ফুল-ফলের নাম শুনেছে সেগুলো আজ নিজ চোখে দেখে খুবই আনন্দিত হয়। অবশেষে সিদ্ধান্ত নেয়- বাড়ির আঙিনায় ছোট্ট একটা বাগান করবে।
"মৌরির মাঝে সৃষ্ট প্রতিক্রিয়াই যেন 'ফুলের বিবাহ' গল্পের মূল চেতনা" -এই কথাটি খুবই সত্য। মৌরি যখন বোটানিক্যাল গার্ডেনে নানা রকম ফুল ও ফলের গাছ দেখে, তখন সে গভীর আনন্দ পায়। সে চোখে দেখে ফুলের সৌন্দর্য, গন্ধ ও বৈচিত্র্য, যেগুলো আগে সে শুধু বইয়ে পড়েছে বা গল্পে শুনেছে। এই অনুভূতি তার মনে প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা ও আগ্রহ তৈরি করে। সে সিদ্ধান্ত নেয় নিজের ঘরের আঙিনায় একটি বাগান করবে। এটি তার মনের ভেতর প্রকৃতি ও গাছপালার প্রতি এক ধরনের মমতা এবং যত্নশীলতা গড়ে তোলে। একইভাবে 'ফুলের বিবাহ' গল্পেও লেখক গাছপালা ও ফুলকে প্রাণবন্ত রূপে তুলে ধরেছেন। সেখানে ফুলদের কথাবার্তা, আবেগ এবং সমস্যাগুলো মানুষের মতো করে প্রকাশ পেয়েছে। ক্ষুদ্র বৃক্ষ যেমন ফুলের বিয়েতে ডাক না পেয়ে দুঃখ পায়, তেমনি মৌরি দীর্ঘদিন ধরে যেসব ফুল দেখার ইচ্ছে করত, সেগুলো দেখে আনন্দিত হয়। দু' টি ক্ষেত্রেই দেখা যায়-প্রকৃতির সঙ্গে একটা আবেগের সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে। তাই মৌরির প্রতিক্রিয়া আসলে 'ফুলের বিবাহ' গল্পের প্রকৃতি ভালোবাসার চেতনাকেই নতুনভাবে প্রকাশ করে।