রাশিক ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে পাটচাষের জন্য বিখ্যাত ঢাকা বিভাগের ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর গ্রামে একটি পাট ও পাটজাতশিল্প স্থাপন করেন। তার বন্ধু রাফি সমপরিমাণ বিনিয়োগ করে একই ধরনের শিল্প স্থাপন করলেন রাজশাহী অঞ্চলে যেখানে আখ চাষ বেশি হয়। নির্দিষ্ট সময় পরে রাশিকের শিল্প প্রতিষ্ঠানটি রাফির প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বেশি মুনাফা করে ।
বিনিয়োগের মাপকাঠিতে রাশিকের ব্যবসায়টি মাঝারি শিল্পের অন্তর্ভুক্ত।
স্বল্প মূলধন, স্থানীয় কাঁচামাল, সৃজনশীলতা, পরিবারের সদস্যদের কর্মশক্তির ব্যবহার প্রভৃতির সমন্বয়ে মাঝারি শিল্প গড়ে ওঠে। এ শিল্পের বিনিয়োগের পরিমাণ ১০ কোটি টাকা থেকে ৩০ কোটি টাকার মধ্যে। সীমাবদ্ধ।
উদ্দীপকে জনাব রাশিক ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর গ্রামে একটি পাট ও পাটজাত শিল্প স্থাপন করেন। তার শিল্পে বিনিয়োজিত মূলধনের পরিমাণ ১১ কোটি টাকা। বিনিয়োগের মাপকাঠিতে এটি মাঝারি শিল্পের অন্তর্ভুক্ত। কারণ মাঝারি শিল্পে বিনিয়োগের পরিমাণ ১০ কোটি থেকে ৩০ কোটি টাকা হয়। রাশিকের বিনিয়োগের পরিমাণ উক্ত সীমার মধ্যেই আছে। সুতরাং, মূলধনের পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে রাশিকের ব্যবসায়কে মাঝারি শিল্প হিসেবে অভিহিত করা যায়।