মেঘনার তীরবর্তী গ্রামে বেড়ে ওঠা দুরন্ত কিশোর জুনায়েদ দশম শ্রেণির ছাত্র। ক্লাসে সবচেয়ে প্রাণবন্ত ও অসম সাহসী এ কিশোর। সবকিছুতে তার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। খেলাধুলা, বন্ধুদের সাথে দুষ্টুমি কোনো কিছুতে সে পিছিয়ে নেই। হঠাৎ একদিন সড়ক দুর্ঘটনায় সে তার একটি পা হারায়। এতে সে মানসিকভাবে পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়ে। পড়ালেখায় মন দিতে পারছে না। তার সর্বদা মনে হতে লাগল এখন আর পড়ালেখা করে কী লাভ হবে? কিন্তু তার সহপাঠীরা তাকে উৎসাহ ও সাহস দিয়ে আবার প্রাণচঞল করে তোলে। সে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়। সকলে তার সফলতায় খুশি হয়।
মা সুভাষিনী কে ত্রুটিস্বরূপ দেখতেন কারন তার মেয়ে সুভা ছিল বাক প্রতিবন্ধি।তার জন্মের পর থেকেই সে বুঝতে পেরেছিল যে সে বাক প্রতিবন্ধি।তার বিষয়ে তার পাড়া প্রতিবেশিরা অমঙ্গল কামনা করতো।সুভার মার কাছে মনে হতো যে নিজের মেয়ের জন্মের পর তার যদি কোন খুদ থাকে তাহলে তা নিজের জন্য লজ্জা জনক। মা সুভাষিনীকে নিজের ত্রুটিস্বরূপ দেখতেম।