জন্ম থেকেই সুলতানার ডান হাত এবং ডান পা একরকম অকেজো। বেশিক্ষণ হাঁটতে পারে না। প্রায় সব কাজেই কারো না কারো সাহায্য নিতে হয়। অন্যদের মতো স্বাভাবিক না হওয়ায় কেউ তার সাথে মিশতে চাইত না এবং খেলাও করত না। কিন্তু সুলতানা মনোবল হারায় নি। ডান হাতে শক্তি না থাকায় সে বাম হাতে লেখালেখি করে। পড়াশুনা অব্যাহত রেখে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে সে এখন স্নাতকে ভর্তি হয়েছে।
উত্তর : সুভার মনের ভাব তার চোখে ফুটে ওঠে, তাই তার কালাে চোখকে তর্জমা করতে হয় না।
আমরা কথার মধ্য দিয়ে যে ভাষা প্রকাশ করি তা আমাদের নিজের চেষ্টায় গড়ে নিতে হয়। ঠিক কোনােকিছু তর্জমা করার মতাে, যা সবসময় ঠিক হয় না। সুভার বড় বড় কালাে চোখের যে ভাষা, যে উজ্জ্বলতা তাতে অবর্ণনীয় ভাবের প্রকাশ রয়েছে। যার দিকে তাকালে আর কোনাে তর্জমা করার দরকার হয় না। তার চোখ দুটোই কথা বলে। সুভার মনের ভাব তার চোখের উপরে কখনাে উজ্জ্বল হয়ে জ্বলে উঠত, আবার কখনাে স্নানভাবে নিভে আসত। কখনাে চল বিদ্যুতের মতাে, আবার কখনাে ডুবে যাওয়া চাঁদের মতাে হয়ে তার মনের ভাব প্রকাশ করত। সুভার মুখের ভাষা না থাকলেও দৃষ্টির গভীরতা স্পর্শ করা যায়। তাই সুভার কালাে চোখকে তর্জমা করতে হয় না।