“বাজারে মিলিটারি ঢোকার পর থেকেই কলিমদ্দি দফাদারের ওপর বোর্ড অফিস খোলার ভার পড়েছে। অপেক্ষাকৃত কমবয়স্ক চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান মিলিটারির ভয়ে পারতপক্ষে এদিকে আসেন না। মেম্বারগণও আত্মগোপন করেছেন। কিন্তু বোর্ড অফিস নিয়মিত খোলা রাখার হুকুম জারি আছে। কলিমদ্দি এ কাজ করার জন্য বাজারে আসে। খান সেনারা ওকেই ওদের অভিযানে সঙ্গী করে নেয়। সে সরকারি লোক, নিয়মিত নামাজ পড়ে এবং যা হুকুম তা পালন করে। সুতরাং সন্দেহের কারণ নেই।” তাই এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পাক-ক্যাম্পের খবর মুক্তি বাহিনীর নিকট সরবরাহ করাসহ পাক হানাদারদের বিপথে চালিত করতে পারে কলিমদ্দি।