দৃশ্যকল্প-১
বর্তমানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের নিরাপত্তা, গবেষণা—এমনকি বিনোদনের ক্ষেত্রেও মানুষের ব্যবহার সীমিত করে নিয়ে আসছে। প্রযুক্তির জগতে এটি চতুর্থ শিল্প বিপ্লব' নামে পরিচিত। |
দৃশ্যকল্প-২
বর্তমানে প্রযুক্তির উন্নতির ফলে ড্রাইভারবিহীন গাড়ি বা স্বচালিত গাড়ি (self-driving cars) যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে। এই ধরনের গাড়িগুলোতে মানুষের পরিবর্তে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং সেন্সর প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, যা গাড়িকে নিজে নিজেই চালানোর সক্ষমতা প্রদান করে।
১. সেন্সর ও ক্যামেরা: ড্রাইভারবিহীন গাড়িতে বিভিন্ন ধরনের সেন্সর, ক্যামেরা এবং রাডার সিস্টেম লাগানো থাকে, যা গাড়ির চারপাশের পরিবেশের তথ্য সংগ্রহ করে। এগুলো রাস্তা, অন্যান্য গাড়ি, পথচারী, এবং ট্র্যাফিক সংকেতগুলো শনাক্ত করে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা: গাড়ির কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) সিস্টেম এই সব সেন্সর ও ক্যামেরা থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে। এর মাধ্যমে গাড়ি রাস্তায় চলমান অন্য যানবাহন এবং পথচারীর অবস্থান, গতি, এবং অন্যান্য পরিবেশগত পরিবর্তনের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
ম্যাপ ও জিপিএস: ড্রাইভারবিহীন গাড়ি সঠিকভাবে চলাচল করার জন্য জিপিএস এবং ডিজিটাল ম্যাপিং ব্যবহার করে। এটি গাড়িকে সঠিক পথ নির্ধারণ করতে সাহায্য করে এবং যাত্রাপথের তথ্য প্রদান করে।
অ্যালগরিদম ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ: গাড়ির সফটওয়্যারে থাকা অ্যালগরিদম গাড়িকে রিয়েল-টাইমে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে। উদাহরণস্বরূপ, গাড়ি যখন একটি বাধার সামনে আসে, তখন এটি সেটি এড়িয়ে চলার জন্য সঠিক পদক্ষেপ নেয়, যেমন: ব্রেক করা বা দিক পরিবর্তন করা।
ড্রাইভারবিহীন গাড়ির ব্যাপক ব্যবহারে এখনও কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যেমন, অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি সামলানোর সক্ষমতা, আইনগত ও নীতিগত বিষয়, এবং নিরাপত্তা ঝুঁকি।
তবে, প্রযুক্তির আরও উন্নতি এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত পরীক্ষার পর ভবিষ্যতে ড্রাইভারবিহীন গাড়ি সাধারণত ব্যবহৃত হবে বলে আশা করা যায়।