গ বিভাগ উপন্যাস
হোসেন মিয়া সাধারণ মাঝি থেকে নিজ পরিশ্রমে অনেক বিত্তশালী আজ। তিনি ময়নাদ্বীপের মালিক। পদ্মাপাড়ের কেতুপুর গ্রামের জেলেপাড়ার কুবের মাঝিদের তিনি অসময়ের বন্ধু। হোসেন মিয়া তাঁর স্বপ্নের ময়নাদ্বীপকে বানাতে চান একখন্ড মানবিক পৃথিবী। তাই তাঁর ময়নাদ্বীপে বসবাসকারীদের মধ্যে থাকবে না হিংসা-বিদ্বেষ, ধর্ম-অধর্মের তফাৎ।
সখিপুর গ্রামের প্রতিপত্তিশালী ব্যক্তি কমল চৌধুরীকে ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সকলেই ভালোবাসেন। মানুষের বিপদে-আপদে তিনি সকলের আগে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন। গ্রাম্য সালিশে বসে তিনি নির্মোহভাবে ন্যায্য কথা বলেন। একদিন নারী কেলেঙ্কারি বিষয়ক এক গ্রাম্য সালিশে বসে তিনি বললেন "নারীর প্রতি সকলের দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক হওয়া দরকার। মিথ্যা, বানোয়াট ও মনগড়া কথা বলে নারীর মর্যাদাহানি করা অন্যায়, অপরাধ। সংসারের প্রয়োজনে তারা কঠোর পরিশ্রম ও সীমাহীন ত্যাগ স্বীকার করে। পরিবার গঠনে তাদের ভূমিকা অপরিসীম। তাই তাদেরকে যথাযথ মূল্য ও মর্যাদা দেওয়া সকলের মানবিক কর্তব্য।"