ক বিভাগ-গদ্য
মা-বোনের কথা শুনে সমর অকারণে সন্দেহ এবং পরে অত্যাচার শুরু করে 'লক্ষ্মীমন্ত সুন্দরী বউ শ্যামলীকে। তাকে গেঁয়ো, আনকালচার্ড, অপদার্থ ও অযোগ্য বউ হিসেবে প্রমাণ করার ব্যর্থ চেষ্টা করেছে বার বার। এমনকি সমরের খাবারে বিষ মিশিয়েছে শ্যামলী বলে রব তুলে সমরের বোন। শ্যামলীর কথা উপেক্ষা করে সেই খাবার না খেয়ে ডাক্তার এনে খাবার পরীক্ষা করায় সমর। এবার শ্যামলী কোনো প্রতিবাদ না করে ঘর ছাড়ে। সমর যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচে। কিন্তু অল্পদিনের মধ্যেই সমর একটা শূন্যতা অনুভব করতে থাকে। দুই মাস পর মা-বোনকে না জানিয়ে শ্যামলীকে ফিরিয়ে আনতে যায় সমর। সেখানে গিয়ে শুনতে পায় একমাস আগে শ্যামলী গার্মেন্টসে চাকরি নিয়ে ঢাকায় চলে গেছে। সমরও সেদিনই ঢাকায় চলে যায়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের দীর্ঘ পথচলায় বাঙালি জাতি বিভিন্ন আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে। এসব আন্দোলন ছিল কখনো সশস্ত্র, কখনো অসহযোগ-অনশন ভিত্তিক। পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের এসব আন্দোলন ঠেকিয়ে রাখতে তৎকালীন সরকার এদের নির্বিচারে জেলে বন্দি করে। জেলখানার মধ্যেও এদের আন্দোলন থামেনি বরং তা আরো দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়।
মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের সকল শিক্ষিত ব্যক্তি ও বুদ্ধিজীবী যে দেশের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন এমনটি নয়। এমন একজন বুদ্ধিজীবী শরিফ সাহেব। যুদ্ধের সময় তিনি কলেজ শিক্ষক ছিলেন তাঁর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় কলেজে সেনাক্যাম্প প্রতিষ্ঠিত হয়। পাকসেনাদের খুশি করতে তিনি উর্দুতে কথা বলতে শুরু করেন। এমন মানুষ বুদ্ধিজীবী হলেও আমাদের ঘৃণার পাত্র।
আব্দুল মালেক সারাটি জীবন শিক্ষকতা করেছেন, গড়েছেন আলোকিত মানুষ। অবসর গ্রহণের পর তিনি গড়ে তুলেছেন 'তরুণ সংঘ' নামের সেবা সংগঠন। বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজের পাশাপাশি পথ শিশুদের শিক্ষাদান, দুর্নীতি-বিরোধী অভিযান, নৈতিকতা ও তরুণদের মূল্যবোধ বিষয়ক সেমিনারের আয়োজন করেন তিনি। কেউ কেউ তাঁর কাজের প্রশংসা করলেও নিন্দা ও কটূক্তি করেন অনেকেই। তিনি তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেন -
"মনরে আজ কহ যে
ভালো মন্দ যাহাই আসুক
সত্যরে লও সহজে।"