মোহনার মা মোহনাকে নিয়ে সাইকিয়াট্রিস্ট ডা. জলিলের চেম্বারে গেলে ডা. জলিল মোহনাকে জিজ্ঞাসা করে, "তোমার কপালে পোড়া দাগ কীসের?" মোহনার মা বললেন, স্যার আমি বলছি, গত বছর তিনেক থেকেই মেয়েটিকে আলগা এক রোগে পেয়েছে। প্রায় সে অজ্ঞান হয়ে যায়। তার শ্বাসকষ্ট হয়। দম আটকে যায়। হাতে পায়ে খিঁচুনি হতে থাকে অবিরত, বিড়বিড় করে কথা বলতে থাকে। তাই শীতলপুর গ্রামের এক পিরের কাছে মোহনাকে নিয়ে গিয়েছিলাম। তিনটে কালো মোরগ, দুইটি জালালি কবুতর, এক কেজি পোলাউয়ের চাল আর এক দানা মশুরের ডাল নিয়ে। পির বাবায় একটা সুঁই, পানি পড়া আর মুখের লালাপড়া দিলেন। বাড়িতে ফেরার পর মোহনা আবার অজ্ঞান হলে পির বাবার কথামতো আমরা মোহনার হাত ও পা বেঁধে সুঁইটা আগুনে পুড়িয়ে লাল করে ওর কপালে 'সুঁই পড়া দেই' এই দাগটা স্যার সুঁই দিয়ে পোড়ানোর।