মেহেদী এ বছর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, থেকে পাস করেছেন। তিনি তাদের বাড়ির মজাপুকুর পরিষ্কার করে সঠিকভাবে প্রস্তুত করে মাছের পোনা ছাড়েন। পুকুর পাড় ও তৎসংলগ্ন পতিত জায়গায় যথাযথ নিয়মে গাছ লাগান। তার এ কার্যক্রমের ফলে তার পরিবার সচ্ছল হয়ে ওঠে।
উদ্দীপকের উল্লেখিত মেহেদীর কার্যক্রমটি হলো মৎস্য, বৃক্ষ ও ফসল চাষ পদ্ধতি। নিচে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মেহেদীর কার্যক্রমের গুরুত্ব মূল্যায়ন করা হলো- বাংলাদেশ একটি 'জনবহুল দেশ। এদেশে প্রতি বছর অন্তত ১% হারে আবাদি জমি কমে যাচ্ছে কিন্তু ১.৩৯% হারে জনসংখ্যা বাড়ছে। বর্ধিত জনসংখ্যার জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য যেমন- আমিষ, খনিজের যোগান দেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ছে। বাংলাদেশের মতো দেশে গড় আমিষ ও শাকসবজি গ্রহণের পরিমাণ অত্যন্ত কম যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মেধাশূন্যতায় ঠেলে দিতে পারে। মেহেদীর কার্যক্রমের মাধ্যমে মাছ 'চাষের সাথে সাথে পুকুরের ঢালু পাড়ে মাচার মাধ্যমে শাকসবজি চাষ করা যায় এবং উঁচু পাড়ে ফলজ বৃক্ষ চাষ করা যায়। যার ফলে অব্যবহৃত জমি ব্যবহারের মাধ্যমে একসাথে মৎস্য, বিভিন্ন শাকসবজি-ও ফলমূল পাওয়া যায় যা দিয়ে ব্যক্তি ও পারিবারিক পর্যায়সহ জাতীয় পর্যায়েও আমিষ, বিভিন্ন প্রয়োজনীয় উপাদানের অভাব মেটানো যাবে।. সুতরাং উপরের আলোচনা হতে বুঝা যায় যে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মেহেদীর কার্যক্রম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
আপনি আমাকে যেকোনো প্রশ্ন করতে পারেন, যেমনঃ
Are you sure to start over?