কোষ বিভাজন অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত একটি প্রক্রিয়া। যেকোনো জীব চায় তার কোষের সংখ্যা যেন অনিয়ন্ত্রিতভাবে না বাড়ে। শুধু সংখ্যার দিক থেকেই নয়, গুণগত দিক থেকেও কোষগুলো স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্যের হওয়া জরুরি। যদি কোনো কোষ অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে সংখ্যায় বাড়তে থাকে, তবে তা জীবের জন্য মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে। এরকম ক্ষতিকর পরিণতির একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হচ্ছে ক্যান্সার। মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় একটি থেকে দুটি, দুটি থেকে চারটি এভাবে কোষ বিভাজন হয়। সংখ্যাবৃদ্ধি করার প্রক্রিয়ায় একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে কোষগুলোর মৃত্যু হয়। এভাবে জীবের কোষের সংখ্যার একটি ভারসাম্য রক্ষা হয়। কিন্তু যদি কোনো কারণে কোষের মৃত্যু না হয়, অথচ নতুন নতুন কোষ তৈরি হতেই থাকে, তবে শরীরে টিউমার হতে পারে, যা এক পর্যায়ে ক্যান্সারের রূপ গ্রহণ করে।
আমরা মায়োসিস প্রক্রিয়ায় জনন কোষ তৈরি হবার বিষয়টি উপরে জেনেছি। জননকোষে নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্রোমোসোম থাকা দরকার। যদি কোনোকোষে স্বাভাবিকতার চেয়ে বেশি বা কম ক্রোমোসম থাকে, তবে এসব জনন কোষ থেকে অস্বাভাবিক বৈশিস্ট্যসম্পন্ন সন্তান জন্ম নেবে। উপসর্গগুলোর মধ্যে কিছু রয়েছে যেমন ভাষা প্রকাশে অসুবিধা, বসা এবং হাঁটার সমস্যা এবং আচরণগত-আবেগজনিত সমস্যা। আশপাশে যাদের এরকম সমস্যা আছে তুমি ও তোমার বন্ধুরা তাদের প্রয়োজনে সাহায্য করে তোমাদের এলাকায় একটি পরিবর্তন আনতে পারো।
এই আলোচনা থেকে বলা যায় যে, জীবের স্বাভাবিক প্রজনন ও বৃদ্ধির জন্য স্বাভাবিক কোষ বিভাজন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
আরও দেখুন...