সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর সবকিছু সৃষ্টি করেছেন। তাঁর সব সৃষ্টিই উত্তম। সকল সৃষ্টির মাঝেই রয়েছে ঈশ্বরের মহত্ত্বের প্রকাশ। ঈশ্বরের সৃষ্টির একটা প্রধান উদ্দেশ্য আছে, আর তা হলো ঈশ্বরেরই গৌরব। তিনি সুন্দর ও পবিত্র, তিনি বিশ্বময় বিরাজিত। সব সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ হলো মানুষ। মানুষকে দেওয়া হয়েছে সমস্ত সৃষ্টির ওপর আধিপত্য করার অর্থাৎ যত্ন নেওয়ার দায়িত্ব। সমস্ত সৃষ্টির প্রতি যত্ন নেওয়া মানুষের একটি অন্যতম দায়িত্ব। একই সাথে সৃষ্টিকর্তার প্রশংসা ও গৌরব করা মানুষের কর্তব্য।
এ অধ্যায় শেষে আমরা-
মানবজাতির পরিত্রাণের জন্য ঈশ্বরের সৃষ্টির রহস্য গুরুত্বপূর্ণ। সৃষ্টিকর্ম হচ্ছে ঈশ্বরের সকল মুক্তি পরিকল্পনার ভিত্তি, মুক্তির ইতিহাসের শুরু। "আদিতে পরমেশ্বর আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টির কাজ শুরু করলেন" (আদি পুস্তক ১:১)। তিনি দৃশ্য ও অদৃশ্য সব কিছুরই সৃষ্টিকর্তা।
সকল সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ হলো মানুষ। সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ হয়েও স্বাধীন ইচ্ছার বলে মানুষ পাপ করেছে। মানুষের পাপের ফলে ঈশ্বরের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টির সৌন্দর্য নষ্ট বা ধ্বংস হয়েছে। ধ্বংসের হাত থেকে মানুষকে উদ্ধার করতেই ঈশ্বর তাঁর পুত্রকে প্রেরণ করেছেন। পুত্রের আগমনে সৃষ্টি-রহস্যের পূর্ণতা লাভ করেছে। প্রথম অধ্যায়ে ঈশ্বরের অদ্বিতীয় পুত্র প্রভু যীশু খ্রীষ্টের বিষয়ে আমরা জানতে পেরেছি। আদি থেকেই খ্রীষ্ট যীশুতে এই নব সৃষ্টির রহস্য স্থির করে রাখা হয়েছিল।
জগৎ সৃষ্টির পূর্বে কোনো কিছুর অস্তিত্ব ছিল না। সৃষ্টির জন্য ঈশ্বরের কোনো কিছুর সহায়তারও প্রয়োজন হয়নি। সৃষ্টির মাধ্যমে ঈশ্বর তাঁর সর্বময় ক্ষমতা প্রকাশ করেছেন। তিনিই সর্বশক্তিমান পরমেশ্বর। ঈশ্বর ছয় দিনে জগৎ ও মানুষ সৃষ্টি করেছেন এবং সপ্তম দিনে বিশ্রাম করেছেন। প্রতিদিনের সৃষ্টির পর ঈশ্বর সৃষ্টির দিকে তাকিয়েছেন। তাঁর চোখে সেসব 'উত্তম' হয়েছে। ষষ্ঠ দিনে, সব সৃষ্টির শেষে, তিনি 'সমস্তই অতি উত্তম' বলে ঘোষণা করেছেন (আদি পুস্তক ১:৩১)। তাই আমরা বলতে পারি ঈশ্বরের সৃষ্টি উত্তম।
"পরমেশ্বর তাঁর নিজের প্রতিমূর্তিতে মানুষকে সৃষ্টি করলেন; পুরুষ ও নারী করে তাদের সৃষ্টি করলেন।" মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব। এর প্রধান কারণ হলো, ঈশ্বর তাঁর নিজের প্রতিমূর্তিতে মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। মানুষকে দিয়েছেন নিজের রূপ, প্রকৃতি ও স্বভাব। মানুষের মাঝে ঈশ্বর নিজেকেই প্রকাশ করলেন। মানুষের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করলেন।
সৃষ্টির অন্যান্য বস্তু ও প্রাণী থেকে মানুষ আলাদা। স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে সে অনন্য। মানুষ কোনো বস্তু নয় বরং ব্যক্তি। দেহ, মন ও আত্মায় এক অনন্য সৃষ্টি। মানুষের আছে জ্ঞান, বুদ্ধি, প্রজ্ঞা, বিবেক ও ইচ্ছাশক্তি। মানুষ আত্মমর্যাদার অধিকারী। জ্ঞান ও ভালোবাসা দিয়ে মানুষ ঈশ্বরের মহত্ত্বকে আবিষ্কার করতে পারে। তাঁর মহানুভবতাসে অনুভব করতে পারে, তাঁর গৌরব ও প্রশংসা করতে পারে। একমাত্র মানুষই সৃষ্টিকর্তাকে জানতে ও ভালোবাসতে পারে।
সৃষ্ট মানুষের আরেকটি অনন্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তাকে পুরুষ ও নারী করে সৃষ্টি করা হয়েছে। কাজেই নর ও নারী উভয়েই ঈশ্বরের প্রতিমূর্তিতে গড়া মানুষ। মানব ব্যক্তি হিসেবে নর ও নারী সমমর্যাদার অধিকারী। আবার নিজ নিজ বৈশিষ্ট্যে তাঁরা নারী ও পুরুষ। তাঁরা কেউ কারোও অধীন নয় বা একজন আরেকজন থেকে ছোটো বা বড়ো নয়।
ঈশ্বর মানুষকে পুরুষ ও নারী করে সৃষ্টি করেছেন যেন তারা একে অপরের জন্য পরিপূরক হতে পারে। "মানুষের পক্ষে একা থাকা ভালো নয়; তাই আমি তার জন্যে এমনই একজনকে গড়ে তুলব, যে তাকে সাহায্য করবে, তার যোগ্য সঙ্গী হবে" (আদি পুস্তক ২:১৮)। ব্যক্তি হিসেবে তাঁরা একক আর নারী ও পুরুষ হিসেবে তাঁরা পরস্পরের সহায়ক বা পরিপূরক। তাঁরা উভয়েই ঈশ্বরের দৃষ্টিতে অতি উত্তম।
জন্মের পর থেকে আমাদের বৃদ্ধি ঘটে চলছে। এই বৃদ্ধির সাথে সাথে আমরা যা-কিছু দেখছি তার সবকিছুই ঈশ্বরের সৃষ্টি। আগে আমরা ঈশ্বরের সৃষ্টিকর্ম ও জগৎ সৃষ্টি সম্বন্ধে অনেক কিছুই শিখেছি। এই সুন্দর পৃথিবী নিয়ে রচয়িতাগণ ছন্দ, কবিতা, গল্প, নাটক কিংবা প্রবন্ধ লিখেন। চিত্রের মাধ্যমেও অনেকে সৃষ্টির সৌন্দর্যকে প্রকাশ করেন। সৃষ্টির সৌন্দর্য নিয়ে সুন্দর সুন্দর গান রচিত হয় ও সুরে সুরে সৃষ্টির বন্দনা গীত হয়।
সৃষ্টিকে নিয়ে আমাদের এসব উপলব্ধির মধ্য দিয়ে সৃষ্টিকর্তারই গৌরব প্রকাশ পায়, তাঁরই গুণগান করা। সৃষ্টিকর্তাকে নিয়ে আমাদের ধ্যান ও সাধনা ব্যাপক। কারণ "সব কিছু তাঁর দ্বারাই অস্তিত্ব পেয়েছিল, আর যা-কিছু অস্তিত্ব পেল, তার কোনো কিছুই তাঁকে ব্যতীত হয়নি” (যোহন ১:১-৩)। সৃষ্টির মাধ্যমে তিনি নিজেকে জগতের কাছে প্রকাশ করেছেন।
"আদিতে পরমেশ্বর আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টিকাজ শুরু করলেন" (আদি পুস্তক ১:১)। পবিত্র শাস্ত্রের এই প্রথম লাইনটি ঈশ্বরের সৃষ্টিকাজের সূচনা প্রকাশ করে। এর মধ্য দিয়ে আমরা বুঝতে পারি নিজেকে ছাড়া ঈশ্বর অন্য যা-কিছু বিদ্যমান সমস্ত কিছুই সৃষ্টি করেছেন। তিনিই একমাত্র সৃষ্টিকর্তা। এ জগতে যা-কিছুর অস্তিত্ব আছে সমস্তই তিনি সৃষ্টি করেছেন।
ঈশ্বরপুত্রের আগমনের মাধ্যমে তাঁর সৃষ্টিকাজের পূর্ণতা তিনি প্রকাশ করেছেন। আসলে তিনিই আদি, তিনিই অন্ত। সবকিছু নির্ভর করে তাঁর ওপর। সবকিছুর মধ্য দিয়ে মূলত তিনি নিজেকেই প্রকাশ করেছেন। যিনি মানুষের কাছে নিজেকে প্রকাশ করেছেন এবং নিজেকে আরও পরিপূর্ণভাবে প্রকাশের জন্য একটি জাতি গঠন করেছেন, তিনিই একমাত্র ঈশ্বর, যিনি "স্বর্গ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন" (ইসাইয়া/যিশাইয় ৪৩:১)।
এই সৃষ্টিকর্মের মধ্য দিয়ে মূলত ঈশ্বর তাঁর প্রেম ও ভালোবাসাকেই মানুষের কাছে প্রকাশ করেছেন। তিনি ভালোবাসার উৎস, তিনিই ভালোবাসা। তিনিই আমাদের শিখিয়েছেন কীভাবে ভালোবাসতে হয়। সৃষ্টিকে ভালোবাসা ও যত্ন নেওয়ার মধ্য দিয়ে আমরা সৃষ্টিকর্তাকে ভালোবাসতে পারি।
কাজ: সৃষ্টির ওপর ছড়া, কবিতা বা অনুচ্ছেদ লিখে বা চিত্র অঙ্কন করে সৃষ্টি সম্পর্কে তোমার অনুভূতি ব্যক্ত করো। |
ঈশ্বরের সকল সৃষ্টি ও সৃষ্টির উত্তমতা সম্পর্কে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে প্রতিটি মানুষের সম্যক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। তার চেয়ে বড়ো কথা হলো যিনি সবকিছু সৃষ্টি করেছেন তাঁর সম্বন্ধে জানা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সমস্ত কিছুই সৃষ্টি করা হয়েছে ঈশ্বরের গৌরবার্থে। সব সৃষ্টিই কোনো না কোনোভাবে মানুষের কল্যাণ বয়ে আনে। সমস্ত সৃষ্টিই অতি উত্তম। যিনি সব উত্তম করে সৃষ্টি করেছেন তিনি নিশ্চয় আরও কতই-না উত্তম!
সৃষ্টির মাধ্যমে ঈশ্বর বিশ্বজগতের পূর্ণতা দিয়েছেন। জগৎ সৃষ্টির পূর্বে সবকিছু ছিল অন্ধকার, ফাঁকা বা শূন্য। শূন্যতার মাঝে ঈশ্বর বিচরণ করতেন। তিনি পরিকল্পনা করলেন তিনি সৃষ্টিকর্ম সম্পাদন করবেন। সে অনুসারে সৃষ্টির মধ্য দিয়ে তিনি তাঁর সর্বময় ক্ষমতা প্রকাশ করলেন। তিনি সর্বশক্তিমান পরমেশ্বর। তিনি বললেন সৃষ্টি হোক, আর সাথে সাথে সৃষ্টি হলো। তিনি ছয় দিনে জগৎ ও মানুষ সৃষ্টি করলেন এবং সপ্তম দিনে বিশ্রাম করলেন। প্রতিদিনের সৃষ্টির পর ঈশ্বর তাঁর আপন সৃষ্টিকে 'উত্তম' বলে ঘোষণা করেছেন। ষষ্ঠ দিনে সব সৃষ্টির শেষে 'সমস্তই অতি উত্তম' বলে ঘোষণা করেছেন (আদি পুস্তক ১:৩১)। আর সপ্তম দিনে তিনি সৃষ্টিকর্ম থেকে বিরতি নিলেন। প্রতিদিনের সৃষ্টির শেষে তিনি তাঁর সৃষ্টিকে দেখলেন। বিচার-বিশ্লেষণ করলেন। নিজে নিজে মূল্যায়ন করলেন। তিনি দেখলেন তাঁর সৃষ্টি ভালোই হয়েছে। তিনি তাঁর সৃষ্টিকর্ম নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন। তিনি খুশি হয়ে বললেন, ভালো অর্থাৎ 'উত্তম' হয়েছে।
কাজ: তোমার চারপাশে সৃষ্টির কী কী উত্তম সৃষ্টি হিসেবে দেখ তার একটি তালিকা তৈরি করো। |
ঈশ্বর যা সৃষ্টি করেছেন সবই উত্তম। ঈশ্বর প্রতিদিন তাঁর সেই উত্তমতাকে উপভোগ করেছেন। যা উত্তম নয় তা হলো মানুষের পাপ, মানুষের পতন। পাপ ঈশ্বরের সৃষ্টি নয় বরং মানুষের স্বাধীন ইচ্ছার অপব্যবহার। লোভ ও ভোগবিলাসিতার উদ্দেশ্যে ভূমি, জল, বায়ু ইত্যাদি প্রাকৃতিক সম্পদকে শোষণ করা যায় না। মানুষের জীবনে এগুলোর প্রয়োজন ও গুরুত্ব অপরিসীম। প্রকৃতি আমাদের জীবন দেয়, খাদ্য দেয় ও আমাদের রক্ষা করে। এক উত্তম আরেক উত্তমের সেবা করে।
মানুষ সৃষ্টির পর ঈশ্বর বলেছিলেন 'অতি উত্তম' কিংবা 'সমস্তই উত্তম'। তাই তুমিও উত্তম, আমিও উত্তম, সব মানুষই উত্তম। মানুষের এই উত্তমতা প্রকাশ পায় তার আধিপত্যে ও প্রভুত্বে। মানুষের উত্তমতাকে ধরে রাখতে হলে সৃষ্টির উত্তমতাকে রক্ষা করতে হবে।
সৃষ্টির যত্ন ও তার উপর প্রভুত্ব করতে গিয়ে মানুষকে অবশ্যই সর্বপ্রথম তার নিজের উত্তমতা সুদৃঢ় করে রাখতে হবে। নতুবা সে সৃষ্টিকে উত্তমতার পথে পরিচালিত ও যত্ন করতে পারবে না। সৃষ্টিকে যত্ন করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। ঈশ্বর মানুষকে সৃষ্টি করেছেন দাস হবার জন্য নয়। ভোগ বা ধ্বংস করার জন্য নয়। মানুষ সৃষ্টির যত্ন নেবে; সৃষ্টিও মানুষের যত্ন নেওয়ার উদ্দেশ্যে সৃষ্ট হয়েছে। সেই সেবা পাওয়ার কারণেও মানুষকে সৃষ্ট সমস্ত কিছুর প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং যত্ন করা প্রয়োজন।
প্রকৃতি নানাভাবে অত্যাচারিত, নির্যাতিত ও শোষিত হচ্ছে। ফলে প্রকৃতিতে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। বর্তমান শিল্পায়নের যুগে ভূমি, জল, বায়ু ইত্যাদি প্রাকৃতিক সম্পদগুলোর মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার রোধ করা প্রয়োজন। এই সম্পদগুলো নিজের ভিতরে থাকার সুযোগ পেলে আরও সমৃদ্ধ হতে পারে। কেবল ক্ষমতাশালীরাই নয়, দরিদ্র সমাজও যেন উপকৃত হতে পারে সেদিকে দৃষ্টি রাখা দরকার।
সৃষ্টির সম্পদ রক্ষা করতে হলে ভোগবিলাসিতার সামগ্রী উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। মানুষের জীবন এতে আরও সহজ-সরল হবে। ভূমি, জল, বায়ু অত্যধিক দূষিত হওয়ার ফলে সৃষ্টির সম্পদগুলো মাত্রাধিকভাবে অপরিচ্ছন্ন ও নোংরা হয়ে যাচ্ছে। ভূমি, জল, বায়ু ইত্যাদির নিজস্ব সৌন্দর্য ও পবিত্রতা আছে। মোশীর কাছে ঈশ্বর জ্বলন্ত ঝোপের মধ্য থেকে বলেছিলেন, "তোমার পায়ের জুতা খুলে ফেল, কেননা যেখানে তুমি দাঁড়িয়ে আছ তা পবিত্র ভূমি” (যাত্রাপুস্তক ৩:৫)। সমগ্র সৃষ্টির ব্যাপারেই ঈশ্বরের এই কথা খাটে। সেই মন নিয়েই ঈশ্বরের সৃষ্টির মাঝে বিচরণ করা প্রয়োজন। সৃষ্টিকে যত্ন নেওয়া ও মানুষকে ভালোবাসা প্রয়োজন। সৃষ্টির পরিচর্যা ও মানবসেবা করার মধ্য দিয়ে ঈশ্বরকে সেবা ও ভালোবাসতে পারি। এতে সৃষ্টির উত্তমতাও রক্ষা পায়।
কাজ: শ্রেণির সব শিক্ষার্থী বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বাগান ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারে। |
শূন্যস্থান পূরণ করো।
১. মানুষকে দিয়েছেন নিজের রূপ _______ ও স্বভাব।
২. মানুষের পক্ষে _____ থাকা ভালো নয়।
৩. নারী ও পুরুষ হিসেবে তারা পরস্পরের _____।
8. এক উত্তম আরেক উত্তমের _____ করে ।
৫. সৃষ্টি কোনো না কোনোভাবে মানুষের ______ বয়ে আনে।
বাম পাশের বাক্যাংশের সাথে ডান পাশের বাক্যাংশের মিল করো।
বাম পাশ | ডান পাশ |
ক. দেহ, মন ও আত্মায় খ. মানুষের সাথে গ. মানুষ আত্মমর্যাদার ঘ. সৃষ্টিকর্ম হচ্ছে ৬. তারা উভয়েই ঈশ্বরের দৃষ্টিতে |
|
১. ঈশ্বর কিসের মধ্য দিয়ে নিজের সর্বময় ক্ষমতা প্রকাশ করেছেন?
ক. বাক্যের মধ্য দিয়ে
খ. সৃষ্টির মধ্য দিয়ে
গ. যীশুর মধ্য দিয়ে
ঘ. আশ্চর্যকাজের মধ্য দিয়ে
২. ঈশ্বর মানুষকে সৃষ্টি করে কী দায়িত্ব দিলেন?
ক. নতুন নতুন সৃষ্টি করার
খ. শুধু ভোগ করার
গ. পৃথিবীর ওপর আধিপত্য করার
ঘ. সৃষ্টিকে যত্ন ও রক্ষা করার
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
অসীম গাছপালা কেটে বিভিন্ন রকম ভোগ্যপণ্য তৈরি করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করছে। তার এ পণ্য ব্যবহার করে মানুষ বিলাসিতা করে ও ঘর সাজিয়ে কিছু সুবিধা ভোগ করে। তবে তার কারখানার বর্জ্য পাশের নদীতে পড়ে পানি দূষিত হচ্ছে।
৩. যে শিক্ষা অসীমের মনোভাবের পরিবর্তন আনতে পারে তা হলো – -
i. সৃষ্টিকে ভালোবাসার
ii. সহজ-সরল জীবনযাপনের
iii. ভোগ পরিহার করার
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii
৪. অসীমের কর্মকাণ্ডে কী প্রকাশ পায়?
ক. ঈশ্বরের গৌরব
খ. মানুষের কল্যাণ
গ. নিজের স্বার্থ
ঘ. সৃষ্টির উত্তমতা
১. অপূর্ব একটি সুন্দর খামার তৈরি করেছে। খামারে রয়েছে গরু, বিভিন্ন জাতের পাখি, হাঁস-মুরগি, চারা-গাছ ও বিভিন্ন রকম ফুলের বাগান। প্রতিনিয়ত সে অনেক আন্তরিকতা ও ভালোবাসা নিয়ে এগুলোর যত্ন নিয়ে থাকে। সে খামারের উন্নয়নের জন্য অনেক পরিশ্রম করে। গরুর দুধ ও বাগানের ফুল বিক্রি করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করে। নিজের চাহিদা পূরণ করেও সে দরিদ্রদের সাহায্য দিয়ে থাকে। এ কাজের মধ্য দিয়ে অপূর্ব ঈশ্বরের গৌরব ও প্রশংসা করছে।
ক. ষষ্ঠ দিনে ঈশ্বর কী সৃষ্টি করলেন?
খ. ঈশ্বর কেন মানুষকে তাঁর প্রতিমূর্তিতে সৃষ্টি করেছেন?
গ. অপূর্ব মানুষ হিসেবে কোন দায়িত্ব পালন করছে, ব্যাখ্যা করো।
ঘ. স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে অপূর্বের কর্মকাণ্ডে ঈশ্বরের গৌরব ও প্রশংসা প্রকাশ পেয়েছে-উক্তিটির স্বপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করো।
সীমা শিক্ষাসফরে মধুপুর অঞ্চলে গিয়ে দেখতে পেল শালবনটি খুব সুন্দরভাবে সাজানো, পাখির কলকাকলিতে মুখর। শালবনের দৃশ্য ও পরিবেশ সীমাকে মুগ্ধ করল।
বিশ্ব পরিবেশ দিবসে জয়া জানতে পারল যে, মানুষের গাছ কাটার ফলে এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের যথাযথ যত্ন না নেওয়ার কারণে পৃথিবী তার প্রাকৃতিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে। আর এ কারণেই প্রতিবছর বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিচ্ছে। দিনের পর দিন পৃথিবী গরম হয়ে যাচ্ছে। জয়া মনে করে সৃষ্টিকর্তা এত সুন্দর পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন মানুষের জন্য, আর মানুষ তা ধ্বংস করছে।
ক. জগৎ সৃষ্টির পূর্বে সবকিছু কী রকম ছিল?
খ. ঈশ্বর কেন মানুষকে অনন্য করে সৃষ্টি করেছেন?
গ. প্রথম দৃশ্যকল্পে ঈশ্বরের কী প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. সৃষ্টিকে যত্ন ও ভালোবাসার মাধ্যমে জয়ার জানা দৃশ্যের পরিবর্তন আনতে পারে বলে তুমি মনে কর? তোমার মতামত দাও।
সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন
১. সৃষ্টির প্রধান উদ্দেশ্য কী?
২. মানুষের কর্তব্য কী?
৩. ঈশ্বর ষষ্ঠ দিনে কী সৃষ্টি করলেন?
8. মোশীকে জলন্ত ঝোপের মধ্যে ঈশ্বর কী বলেছিলেন?
৫. ঈশ্বরের সব সৃষ্টি দেখতে কেমন?
বর্ণনামূলক প্রশ্ন
১. পৃথিবীতে মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য বর্ণনা করো।
২. সুন্দর প্রকৃতিকে রক্ষা ও যত্ন করার দায়িত্ব মানুষকে দেওয়া হয়েছে- বিশ্লেষণ করো।
৩. ঈশ্বর মানুষকে কেন নারী ও পুরুষ করে সৃষ্টি করেছেন বিস্তারিত বর্ণনা করো।
Read more