ঈশ্বরের স্বরূপ (প্রথম অধ্যায়)

সপ্তম শ্রেণি (মাধ্যমিক ২০২৫) - হিন্দুধর্ম শিক্ষা - | NCTB BOOK
78
78

এ বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সকল প্রাণী ও বস্তুর একজন স্রষ্টা রয়েছেন। যাঁকে আমরা সৃষ্টিকর্তা বা ঈশ্বর বলি। তিনি এক ও অদ্বিতীয়। তিনি নিরাকার, তবে তিনি সাকার রূপও ধারণ করতে পারেন। যেমন- অবতার, দেব-দেবী প্রভৃতি তাঁর সাকার রূপ। এ অধ্যায়ে স্রষ্টা এবং ঈশ্বর শব্দের অর্থ, ঈশ্বরের স্বরূপ এবং ঈশ্বরের একত্ব সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

এ অধ্যায় শেষে আমরা-

  • স্রষ্টা এবং ঈশ্বর শব্দ দুটির অর্থ ব্যাখ্যা করতে পারব
  • ঈশ্বরের নিরাকার ও সাকার সম্পর্কিত ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারব
  • ঈশ্বরের সাকার রূপের বর্ণনা করতে পারব
  • ঈশ্বরের একত্ব ব্যাখ্যা করতে পারব
  • ঈশ্বরের স্বরূপ সম্পর্কে শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার একটি সহজ সংস্কৃত শ্লোক সরলার্থসহ বলতে পারব এবং ব্যাখ্যা করতে পারব
  • ঈশ্বরের বিভিন্ন সাকার রূপের মধ্যে ঈশ্বরের একত্ব উপলব্ধি করে তাঁর উপাসনায় উদ্বুদ্ধ হব।
Content added By

স্রষ্টা ও ঈশ্বর শব্দের অর্থ (পাঠ ১)

92
92

স্রষ্টা মানে যিনি সৃষ্টি করেন। যেমন মৃৎশিল্পী মাটি দিয়ে হাঁড়ি-পাতিল, খেলনা, প্রতিমা ইত্যাদি সৃষ্টি করেন। কিন্তু তিনি মাটি সৃষ্টি করতে পারেন না। শুধু মাটিই নয়, আমরা জল, নদী-সমুদ্র, চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্র, জীব-জন্তু ইত্যাদি সৃষ্টি করতে পারি না। যিনি এসব সৃষ্টি করেছেন, তাঁকে স্রষ্টা বা সৃষ্টিকর্তা বলা হয়। এ সকল সৃষ্টির পিছনে এক অসীম শক্তি বিরাজ করছে। এ অসীম শক্তির বলেই সবকিছু একটি নিয়মের মধ্য দিয়ে আবর্তিত হচ্ছে। যিনি এই মহাশক্তিধর তাঁকে স্রষ্টা বা সৃষ্টিকর্তা বলা হয়। এ স্রষ্টা বা সৃষ্টিকর্তাকে আমরা ঈশ্বর বলি।

ঈশ্বর শব্দটির অর্থ হচ্ছে প্রভু। তিনি সর্বশক্তিমান। তিনি শৃঙ্খলার সঙ্গে জীব-জগৎকে নিয়ন্ত্রণ করছেন। সকল শক্তি ও গুণের তিনিই আধার। সূর্যের আলো তাঁরই আলো। তিনিই জীবের মধ্যে আত্মা রূপে অবস্থান করেন। তিনি সৃষ্টি, স্থিতি ও পালনের একমাত্র কর্তা। তিনিই মৃত্যুর সীমায় জীবনকে বেঁধে দিয়েছেন। এভাবেই তিনি জীব ও জগতের ওপর প্রভুত্ব করেন। এ জন্যই তাঁর নাম ঈশ্বর। তাঁর আদি নেই, তাই তিনি অনাদি। তাঁর অন্ত নেই, তাই তিনি অনন্ত। তাঁর বিনাশ নেই, তাই তিনি অবিনশ্বর।

হিন্দু ধর্মানুসারে আমরা স্রষ্টাকে বিভিন্ন নামে অভিহিত করি। যেমন -ব্রহ্ম, ঈশ্বর, ভগবান, পরমাত্মা ইত্যাদি। এ পৃথিবীতে আরো অনেক ধর্মমত আছে। যেমন ইসলাম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, শিখ ইত্যাদি। বিভিন্ন ধর্মে স্রষ্টাকে বিভিন্ন নামে অভিহিত করা হয়েছে। যেমন-আল্লাহ্, খোদা, গড ইত্যাদি। এক স্রষ্টারই বিভিন্ন নাম। ঈশ্বর স্রষ্টার একটি নাম।

একক কাজ: স্রষ্টা ও ঈশ্বরের সম্পর্ক ব্যাখ্যা কর।
Content added By

ঈশ্বরের স্বরূপ- নিরাকার ও সাকার (পাঠ ২ ও ৩)

62
62

পৃথিবীতে এমন অনেক বস্তু রয়েছে, যাদের আকার আছে। যেমন-ঈশ্বরের সৃষ্ট সকল জীব- মানুষ, জীবজন্তু ও গাছপালা। আবার অনেক কিছু আছে, যেগুলোর আকার নেই। যেমন বায়ু, আলো, শব্দ, গন্ধ ইত্যাদি।

ঈশ্বরের কোনো আকার নেই। ঈশ্বর নিরাকার। তাঁকে দেখা যায় না। কিন্তু আমরা তাঁর অস্তিত্ব অনুভব করি।
তবে ঈশ্বর সর্বশক্তিমান। তিনি নিজ অসীম ও অনন্য শক্তির বলে যে কোনো আকার ধারণ করতে পারেন। ঈশ্বরের সাকার রূপ নানা ভাবে প্রকাশ পেয়েছে।

এক. ঈশ্বর নিজেকে বা নিজের অংশবিশেষকে সাকার রূপ দান করেন। এ রূপগুলো হলো অবতার ও দেব-দেবী।
দুই. ঈশ্বর নিজেই জীবের মধ্যে যখন আত্মা রূপে অবস্থান করেন, তখন তাঁকে জীবাত্মা বলা হয়।

অবতার

যখন ধর্মের গ্লানি উপস্থিত হয় অর্থাৎ অন্যায় অবিচারে বিপর্যস্ত হয় মানবজীবন এবং অধর্মের অভ্যুত্থান ঘটে তখন ঈশ্বর কোনো না কোনো রূপ ধারণ করে পৃথিবীতে অবতরণ করেন। অবতরণ শব্দটির অর্থ নেমে আসা। ঈশ্বর বিশেষ উদ্দেশ্যে পৃথিবীতে অবতরণ করেন বলে তাকে অবতার বলা হয়। যেমন- ঈশ্বর ত্রেতাযুগে রামরূপে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। রাম অবতারে তিনি রাবণসহ দুর্বৃত্তদের দমন করে ধর্ম বা ন্যায় ও সত্যের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দ্বাপর যুগে ঈশ্বর বা ভগবান স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণরূপে নেমে এসেছিলেন। অন্যান্য অবতার ঈশ্বরের অংশ। আর শ্রীকৃষ্ণ ঈশ্বরের পূর্ণ অবতার। তাই বলা হয়েছে- 'কৃষ্ণস্তু ভগবান্ স্বয়ম্'-শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং ভগবান।

দেব-দেবী

ঈশ্বরের কোনো গুণ বা শক্তি যখন রূপ বা আকার ধারণ করে সাকার হয়ে ওঠে এবং বিশেষ গুণ, শক্তি বা মহিমা প্রকাশ করে তখন তাঁকে দেবতা বা দেব-দেবী বলে। অর্থাৎ দেব-দেবীরা ঈশ্বরের বিশেষ গুণ বা শক্তির সাকার রূপ। যেমন- ব্রহ্মা সৃষ্টির দেবতা, বিষ্ণু রূপে ঈশ্বর জীবজগৎকে রক্ষা ও প্রতিপালন করেন, শিব রূপে তিনি ধ্বংস করে পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষা করেন।

অপরদিকে দুর্গা শক্তির দেবী, সরস্বতী বিদ্যার দেবী, লক্ষ্মী ধন-সম্পদের দেবী ইত্যাদি। যেহেতু দেব-দেবীরা ঈশ্বরের অংশ, তাই দেব-দেবীদের সন্তুষ্ট করলে ঈশ্বর সন্তুষ্ট হন।

জীবাত্মা

ঈশ্বর যখন জীবের মধ্যে আত্মারূপে অবস্থান করেন, তখন তাঁকে জীবাত্মা বলে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবের মধ্যে ঈশ্বরের অবস্থান সম্পর্কে তাঁর একটি কবিতায় বলেছেন,

'সীমার মাঝে অসীম তুমি বাজাও আপন সুর

আমার মধ্যে তোমার প্রকাশ তাই এত মধুর।'

অর্থাৎ দেহের সীমায় জীবাত্মারূপে পরমাত্মা বা ঈশ্বর বিদ্যমান থাকেন। স্বামী বিবেকানন্দও বলেছেন যে,
ঈশ্বর বহুরূপে আমাদের সম্মুখেই আছেন। এ বহুরূপ বলতে জীবকেই নির্দেশ করা হয়েছে।

সুতরাং দেখা যাচ্ছে, ঈশ্বর নিরাকার; কিন্তু তিনি সাকার রূপ ধারণ করতে পারেন। তাঁর সাকার রূপগুলো হচ্ছে-অবতার, দেব-দেবী ও জীব। কিন্তু ঈশ্বরের এসকল সাকার রূপ আলাদা কিছু নয়। সব সাকার রূপ একই ঈশ্বরের বিভিন্ন প্রকাশ। ঈশ্বর এক এবং অদ্বিতীয়।

একক কাজ: ঈশ্বরের সাকার রূপের দুইটি গুণ চিহ্নিত কর।
Content added By

ঈশ্বরের একত্ব (পাঠ ৪ ও ৫)

92
92

পূর্ববর্তী পাঠসমূহ থেকে আমরা জেনেছি, ঈশ্বরের স্বরূপ নানাভাবে প্রকাশিত। তিনি এক ও অদ্বিতীয়। তিনি নিরাকার। তাঁকে বিভিন্ন ধর্মমতের অনুসারীরা নানা নামে অভিহিত করেন। আমরা তাঁর নিরাকার স্বরূপকে ব্রহ্ম বলে থাকি। তিনি কৃপাময় দয়াময় বলে তাঁকে ভগবান বলা হয়। আবার ঈশ্বর দুষ্টের দমন, শিষ্টের পালন করেন এবং সত্য ও ন্যায়-

নীতি প্রতিষ্ঠার জন্য কোনো-না-কোনো রূপ ধারণ করে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন। তাঁর সেই বিশেষ বিশেষ রূপকে অবতার বলা হয়।

যেমন- শ্রীরাম, শ্রীকৃষ্ণ, মৎস্য অবতার প্রভৃতি।

অন্যদিকে, ঈশ্বরের কোনো গুণ বা শক্তি যখন আকার পায় তখন তাঁকে দেবতা বা দেবদেবী বলে। যেমন- ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব ঈশ্বরের তিনটি প্রধান কর্মের জন্য তিনটি প্রধান রূপ। ব্রহ্মা রূপে ঈশ্বর সৃষ্টি করেন, বিষ্ণু রূপে পালন করেন এবং শিব রূপে জীব ও জাগতিক বস্তু ধ্বংস করে ভারসাম্য রক্ষা করেন। দেবী দুর্গা ঈশ্বরের শক্তিরূপ। সরস্বতী দেবী রূপে ঈশ্বর আমাদের বিদ্যা দান করেন।

ভক্তেরা দেব-দেবীর পূজা করেন। তাঁদের স্তবস্তুতি করে তাঁদের কাছে বিশেষ বিশেষ প্রার্থনা জানান।
এর মধ্য দিয়ে প্রশ্ন জাগে তাহলে কি ঈশ্বর বহু? এ প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে না। তিনি এক ও অদ্বিতীয়। তিনি নিরাকার। আবার তিনিই সাকার। ঋগ্বেদে বলা হয়েছে, 'একং সদ্‌ বিপ্রা বহুধা বদন্তি' (১।৬৪।৪৬) এক ব্রহ্মকেই বিপ্রগণ বহু নামে অভিহিত করেছেন। কিংবা 'একং সন্তং বহুধা কল্পয়ন্তি' (১।১১৪।৫) এক ঈশ্বরকেই সাধু-সন্তেরা বহু নামে ডাকেন এবং উপাসনা করেন। যেভাবেই উপাসনা করা হোক-না কেন, সবই ঈশ্বরের উপাসনা। সবই তাঁর কাছে পৌঁছায়।

শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় বলা হয়েছে যে-

১. যারা অন্য দেবতায় ভক্তিমান হয়ে শ্রদ্ধার সঙ্গে তাঁদের পূজা করে, তারা ঈশ্বরেরই পূজা করে। (৯/২৩)
২. ঈশ্বরই সকল যজ্ঞ বা পূজার প্রাপক ও ফলদাতা। (৯/২৪)
৩. যে আমাকে যেভাবে উপাসনা করে, আমি তাকে সেভাবেই সন্তুষ্ট করি। মানুষেরা বিভিন্নভাবে মূলত আমার পথকেই অনুসরণ করে। (৪/১১)

সুতরাং কেবল হিন্দুধর্মাবলম্বীরা নয়, বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীরা নিজ নিজ মত ও পথ অনুসারে একই ঈশ্বরের উপাসনা করে। এই হলো ঈশ্বরের একত্ব। ঈশ্বর নিরাকার হলেও, তাঁরই ইচ্ছায় সাকার রূপে তাঁর বিচিত্র প্রকাশ।

একক কাজ: ঈশ্বরের একত্ব সম্পর্কে পাঁচটি যুক্তি দাও।
Content added By

ঈশ্বরের স্বরূপ সম্পর্কে শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার শ্লোক (পাঠ ৬)

44
44

বায়ুর্যমোহগ্নিবরুণঃ শশাঙ্কঃ

প্রজাপতিত্ত্বং প্রপিতামহ।

নমো নমস্তেহস্ত সহস্রকৃত্বঃ

পুনশ্চ ভূয়োহপি নমো নমস্তে ॥১১/৩৯

সরলার্থ: তুমি বায়ু, তুমি যম, তুমি অগ্নি, তুমি বরুণ ও চন্দ্র। তুমিই ব্রহ্মা, আবার ব্রহ্মারও স্রষ্টা তুমি। তোমাকে নমস্কার করি হাজারবার, বারবার তোমাকে নমস্কার।

ব্যাখ্যা: শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার বিশ্বরূপ দর্শন যোগ নামক একাদশ অধ্যায়ে অর্জুন শ্রীকৃষ্ণের উদ্দেশে এ উক্তি করেছেন। শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং ঈশ্বর। এখানে সেই ঈশ্বরের স্বরূপ প্রকাশ করা হয়েছে। যম, অগ্নি, বরুণ, চন্দ্র প্রভৃতি দেবতাকে দৃষ্টান্ত হিসেবে গ্রহণ করে বলা হয়েছে তাঁরা ঈশ্বরেরই এক-একটি রূপ। তিনিই সৃষ্টির দেবতা ব্রহ্মা আবার তিনি ব্রহ্মারও স্রষ্টা। এখানে ঈশ্বরের সৃষ্টি করার শক্তিসহ অসীম শক্তির কথা বলা হয়েছে ।

সকল দেবতার শক্তি তাঁরই শক্তি। তিনি সর্বশক্তিমান। তিনি নিরাকার। আবার তিনিই সাকার। এ মহাশক্তিধর অনাদি অনন্ত ঈশ্বরকে তাই বারবার নমস্কার জানিয়ে পরম শ্রদ্ধা প্রকাশ করা হয়েছে।

শব্দার্থ :

যম – মৃত্যুর দেবতা। অগ্নি তেজ-এর দেবতা। বরুণ - জল ও আকাশের দেবতা। শশাঙ্ক - চাঁদ। প্রজাপতি - ব্রহ্মা। প্রজা-সৃষ্টি। সুতরাং প্রজাপতি বলতে বোঝানো হয়েছে সৃষ্টির দেবতা ব্রহ্মাকে; অর্থাৎ ঈশ্বর যে রূপে সৃষ্টি করেন তাঁর নাম প্রজাপতি। প্রজাপতি ব্রহ্মারই অপর নাম।

প্রপিতামহ – পিতার পিতা পিতামহ; ব্রহ্মাকে পিতামহ বলা হয়। প্রপিতামহ মানে পিতামহের পিতা। এখানে ঈশ্বরকে পিতামহ অর্থাৎ ব্রহ্মারও পিতা বা স্রষ্টা বলা হয়েছে।

Content added By

অনুশীলনী

360
360

শূন্যস্থান পূরণ কর:

১. যিনি সৃষ্টি করেন তিনি .................।

২. ঈশ্বরের কোনো ..............… নেই।

৩. জীবজগৎকে রক্ষা ও প্রতিপালনের দেবতা হলেন .................।

8. আমার মাঝে তোমার প্রকাশ তাই এতো .................।

৫. ত্রেতাযুগে ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য অবতীর্ণ হয়েছিলেন .............।

ডান পাশ থেকে শব্দ বা বাক্যাংশ নিয়ে বাম পাশের সাথে মিল কর:

বাম পাশডান পাশ

১. সকল সৃষ্টির পেছনে

২. আমরা ঈশ্বরের অস্তিত্ব

৩. ঈশ্বরের সাকার রূপ হলো

৪. এক ব্রহ্মকেই বিপ্রগণ

অবতার ও দেব-দেবী

বহু নামে অভিহিত করেছেন

উপাসনা করেন

অনুভব করি

এক অসীম শক্তি বিরাজ করছে

নিচের প্রশ্নগুলোর সংক্ষেপে উত্তর দাও:

১. 'সকল সৃষ্টির মূলে ঈশ্বর'- কথাটি দৃষ্টান্ত দিয়ে ব্যাখ্যা কর।

২. পৃথিবীতে ঈশ্বর কেন অবতাররূপে আবির্ভূত হন? ব্যাখ্যা কর।

৩. 'ঈশ্বর বহুরূপে আমাদের সম্মুখেই আছেন' স্বামী বিবেকানন্দের উক্তিটি দৃষ্টান্ত দিয়ে ব্যাখ্যা কর।

8. ঈশ্বর সাকার রূপ ধারণ করেন কেন?

নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:

১. ঈশ্বরের স্বরূপ উদাহরণসহ ব্যাখ্যা কর।
২. 'সব সাকার রূপ একই ঈশ্বরের বিভিন্ন প্রকাশ' উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর।

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন

১. ঈশ্বর শব্দটির অর্থ কী?
ক. জ্ঞান
খ. প্রভু
গ. তুতি
ঘ. তপস্যা

২. কোনটির আকার আছে?
ক. বায়ু
খ. আলো
গ. শব্দ
ঘ. গাছপালা

৩. ঈশ্বরের পৃথিবীতে অবতাররূপে আবির্ভূত হওয়ার কারণ -
i. দুষ্টের দমন
ii. জীবের কল্যাণ
iii. সৌন্দর্য উপভোগ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
গ) i ও iii
খ) ii ও iii
ঘ) i, ii ও iii

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৪ ও ৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও:

স্পন্দন প্রতিদিন সকালে এমন একটি গ্রন্থ পাঠ করে বিদ্যালয়ে যায় যেটি উপদেশমূলক এবং যেখানে রয়েছে কর্ম, জ্ঞান ও ভক্তির এক অপূর্ব সমন্বয়।
8. স্পন্দন প্রতিদিন কোন গ্রন্থটি পাঠ করে?
ক. রামায়ণ
খ. মনসামঙ্গল
গ. শ্রীশ্রীচণ্ডী
ঘ. শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা

৫. উক্ত গ্রন্থ পাঠের ফলে স্পন্দন উপলব্ধি করতে পারবে -
i. আত্মা অবিনশ্বর
ii. কর্ম ত্যাগ নয় আসক্তি ত্যাগ
iii. ঈশ্বরের স্বরূপ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক) i ও ii
খ) ii ও iii
গ) i ও iii
ঘ) i, ii ও iii

সৃজনশীল প্রশ্ন

১। অনিতা রানি গৃহে লক্ষ্মীদেবীর বিগ্রহ স্থাপন করে নিয়মিত ভক্তিপূর্ণ মনে আরাধনা করেন। কিন্তু তারই প্রতিবেশী শিলাদেবী গৃহে গৌর-নিতাই-এর বিগ্রহ স্থাপন করে নিয়মিত শ্রদ্ধাভরে পূজা করেন। তাদের ছেলেমেয়েরাও লেখাপড়ার পাশাপাশি তাদের অনুকরণ করে। তাদের সংসারে রয়েছে সদা সুখ ও শান্তি।
ক. ঈশ্বরের পূর্ণ অবতার কে?
খ. ঈশ্বর কীভাবে জীব ও জগতের ওপর প্রভুত্ব করেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. অনিতা রানি ও শিলাদেবীর আরাধনায় ঈশ্বরের কোন রূপটি প্রতিফলিত হয়েছে তা তোমার পঠিত বিষয়ের আলোকে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. অনিতা রানি ও শিলাদেবীর আরাধনায় 'বিগ্রহের ভিন্নতা থাকলেও মূলত ঈশ্বরেরই পূজা করা হয়'-উক্তিটির মর্মার্থ তোমার পঠিত বিষয়বস্তুর আলোকে বিশ্লেষণ কর।

Content added By
টপ রেটেড অ্যাপ

স্যাট অ্যাকাডেমী অ্যাপ

আমাদের অল-ইন-ওয়ান মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সীমাহীন শেখার সুযোগ উপভোগ করুন।

ভিডিও
লাইভ ক্লাস
এক্সাম
ডাউনলোড করুন
Promotion
;