ওয়াকফ আরবি শব্দ। এর অর্থ থেমে যাওয়া, বিরতি দেওয়া, স্থগিত রাখা ইত্যাদি। তাজবিদের পরিভাষায় কুরআন তিলাওয়াতের সময় কোনো আয়াত বা শব্দের শেষে প্রয়োজন অনুসারে থেমে যাওয়া বা বিরতি দেওয়াকে ওয়াকফ বলে। অন্য কথায়, দুই নিশ্বাসের মধ্যবর্তী বিরতির সময়কে ওয়াকফ বলা হয়। ওয়াকফ যে হরফের উপর করা হয় সে হরফে সাকিন না থাকলে সাকিন করে ওয়াকফ করতে হয়।
কুরআন তিলাওয়াতের মাঝে এরূপ ওয়াকফ করা খুবই জরুরি। কেননা কোনো কোনো সময় ওয়াকফ না করে মিলিয়ে পড়লে আয়াতের অর্থই পরিবর্তন হয়ে যায়।। তা ছাড়া আমরা বেশি সময় নিশ্বাস ধরে রাখতে পারি না । কিছুক্ষণ পরপর আমাদের শ্বাস নিতে হয়। তিলাওয়াতের সময়ও এক শ্বাসে পুরো তিলাওয়াত করা সম্ভব নয়। এ জন্য আয়াতের মধ্যে থামতে হয়। আয়াতের মধ্যে এরূপ বিরতি নেওয়াকেই ওয়াকফ বলে।
আল কুরআনকে সুন্দর ও শুদ্ধরূপে তিলাওয়াত করতে হবে। সেজন্য তিলাওয়াতকালে যেখানে ইচ্ছা সেখানে থামা যাবে না। তাতে কুরআন তিলাওয়াতের সৌন্দর্য নষ্ট হয়। নির্ধারিত স্থানে ওয়াকফ করতে হবে। তবে কেউ অপারগ হলে বা শ্বাস রাখতে না পারলে নির্ধারিত স্থানের পূর্বেই ওয়াকফ করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে তিলাওয়াত করার সময় পুনরায় যে শব্দে ওয়াকফ করেছে, সে শব্দ থেকে তিলাওয়াত করতে হবে।
আমাদের প্রিয়নবি (সা.) সূরা ফাতিহার প্রত্যেক আয়াতের পর ওয়াকফ করতেন। অন্যান্য সুরা তিলাওয়াতের সময় থেমে থেমে ধীরস্থিরভাবে সুন্দর করে তিলাওয়াত করতেন। আমাদেরও ঠিক সেভাবে কুরআন তিলাওয়াত করা উচিত।
আল-কুরআনে ওয়াকফের নানারকম চিহ্ন দেওয়া আছে। এগুলো হলো বিরাম চিহ্ন। এগুলো সম্পর্কে জানা থাকলে শুদ্ধভাবে ওয়াকফ করা যায়। নিম্নে এ চিহ্নসমূহের পরিচয় দেওয়া হলো ।
আরও দেখুন...