যে কোনো কিছু অঙ্কন করতে বা লিখতে রেখা প্ররোজন। রেখা অঙ্কনের জন্য মূলত টি-ফরার বা প্যারালাল বার ও সেট স্কয়ার ব্যবহার করা হয়। টি-স্কয়ার বা প্যারালাল বারের সাহায্যে অনুভূমিক রেখা এবং সেট স্কয়ার এর সাহায্যে উলম্ব রেখা ও হেলানো বা নভ রেখা অঙ্কন করা হয়। সেট স্কয়ার-এর সাহায্যে উলম্ব রেখা ও হেলানো বা নত রেখা অঙ্কনের জন্য সেট ক্ষমারকে টি-ক্ষরার বা প্যারালাল বারের সাথে ধরে সেট স্কয়ারের খাড়া বা নত পার্শ্ব ঘেঁষে রেখা অঙ্কন করা হয়।
সাধারণ সেট ক্ষরারের দুটি অংশ থাকে একটি 45°-45°-90° ও অন্যটি 30° 60°-90° যার মাধ্যমে সর্বনিম্ন 15° কোণ পর্যন্ত কৌণিক রেখা টানা যায়। অ্যাডজাস্টেবল সেট করার-এর সাহায্যে খাড়া বা যে কোনো কোণে অ্যাডজাস্ট করে হেলানো রেখাসমূহ টানা যায়।
চিত্রঃ সেট স্কয়ারের সাহায্যে 360° কোণকে 15° কোণে বিভক্ত করা
আনুভূমিক রেখা ও উলম্ব রেখার সমন্বরে ছোট ছোট বর্গ এঁকে গ্রাফ অঙ্কন করা হয়। ড্রাফটিং-এর বিভিন্ন কাজে গ্রাফ ব্যবহার করা হয় যেমন-
চিত্র: গ্রাফ অঙ্কন
ড্রাফটিং-এর অঙ্কিত অংশকে বর্ণনা করার জন্য অক্ষর লেখার প্রয়োজন হয়। চিত্রাঙ্কনের জন্য প্রয়োজন রেখা, বৃত্ত, তল ইত্যাদি তেমনি চিত্রের বিবরণ ও মাপাঙ্ক লিখনের জন্য প্রয়োজন অক্ষর ও সংখ্যা লিখা। অক্ষর ও সংখ্যা লিখনের সৌন্দর্যের উপর ড্রাফটিং-এর সৌন্দর্য বহুলাংশে নির্ভর করে। আর অক্ষর ও সংখ্যা লিখনের নির্ভুলতা ও সুস্পষ্টতার উপর ড্রয়িং-এর কার্যকারিতা নির্ভর করে । কাজেই অক্ষর ও সংখ্যা লিখন নির্ভুল, সুন্দর ও সুস্পষ্ট হওয়া উচিত।
প্রচলিত ইংরেজি অক্ষর চার প্রকারের হয়ে থাকে। এর মধ্যে ড্রয়িং-এ গোথিক স্টাইল সর্বাধিক প্রচলিত । গোথিক স্টাইল আবার সিঙ্গেল বা ডাবল স্ট্রোক হতে পারে। বিভিন্ন প্রকারের অক্ষরসমূহ নিম্নরূপ —
অক্ষরের নাম | অক্ষরসমূহ | সংজ্ঞা |
গোথিক | ABCDEFGH | সর্বত্র সমান পুরু এবং এক টানে লিখা যায় এরূপ অক্ষরসমূহকে গোথিক অক্ষর বলে । |
রোমান | ABCDEFGH | অক্ষর সর্বত্র সমান পুরু হয় না। সরু ও পুরু রেখার সমন্বয়ে লিখতে হয় এরূপ অক্ষরসমূহকে রোমান অক্ষর বলে । |
ইতালিক | ABCDEFGH | যে কোনো কোণে হেলানো বা নত করে লিখিত অক্ষরকে ইতালিক অক্ষর বলে। এটি রোমান ইতালিক, গোথিক ইতালি, টেক্সট ইতালিক যে কোনো অক্ষর হতে পারে । |
টেক্সট | ABCDEFGH | পুরাতন ইংরেজির সব স্টাইলসমূহ, কারুকার্যময় হয়ে থাকে। এরূপ অক্ষরসমূহকে টেক্সট বলে । |
ড্রয়িং-এ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বড় হাতের অক্ষর লিখা হয়ে থাকে। এছাড়া শিরানোম লেখার ক্ষেত্রেও বড় হাতের অক্ষর ব্যবহৃত হয়। অন্যান্য নোট বা বিবরণীতে ছোটো হাতের অক্ষর লেখা হয়ে থাকে। অক্ষরসমূহ লেখার সুবিধার্থে প্রাথমিকভাবে গ্রাফ অঙ্কন করে নেয়া হয়। এতে উচ্চতা ও প্রস্থের অনুপাত ঠিক থাকে। সিঙ্গেল স্ট্রোক অক্ষরের ক্ষেত্রে সধারণত ৬:৫ অনুপাতে অক্ষর লেখা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে সকল অক্ষরের উচ্চতা ৬ ঘর হলেও কিছু কিছু অক্ষর লেখতে প্রস্থে ৫ ঘর এর অধিক প্রয়োজন হয়ে থাকে। ডাবল স্টোক-এর ক্ষেত্রে ৫ : ৪ এবং ৭ : ৪ এই দুটি অনুপাতে অক্ষর লেখা হয়ে থাকে। ৫ : ৪ এর ক্ষেত্রে উচ্চতা ৫ ঘর প্রস্থে ৪ ঘর আর ৭ : ৪ এর ক্ষেত্রে উচ্চতা ৭ ঘর প্রস্থে ৪ ঘর হলেও কিছু কিছু অক্ষর লিখতে প্রস্থে ৪ ঘর এর অধিক প্রয়োজন হয়ে থাকে ।
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
১. কোনো ধরনের রেখা অঙ্কনে প্যারালাল বার ব্যবহার করা হয়?
২. কোনো ধরনের রেখা অঙ্কনে সেট করার ব্যবহার করা হয়?
৩. গ্রাফ কী?
৪. অক্ষর কত প্রকার ও কী কী?
৫. সাধারণ অক্ষর লেখার অনুপাত কয়টি ও কী কী?
সংক্ষিত প্রশ্ন
১. গ্রাফ-এর ব্যবহার বর্ণনা কর।
২. অক্ষর ও সংখ্যা লেখনে বিবেচ্য বিষয় বর্ণনা কর।
৩. গোথিক অক্ষর কাকে বলে?
৪. রোমান অক্ষর কাকে বলে?
৫. ইতালিক অক্ষর কাকে বলে?
রচনামূলক প্রশ্ন
১. গ্রাফের অঙ্কনপ্রণালি বর্ণনা কর ।
২. বিভিন্ন প্রকার অক্ষরের বিস্তারিত বর্ণনা দাও ।
৩. অক্ষরের অনুপাত সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা কর ।
আরও দেখুন...