এ গল্পে লেখক সরস ভাষায় গ্রাম্য দুজন হাতুড়ে ডাক্তারের প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা বলেছেন । হোমিওপ্যাথ ডাক্তারের নাম ছিল অঘোর এবং এ্যালোপ্যাথ ডাক্তারের নাম ছিল তোরাপ । ম্যালেরিয়ার প্রকোপে গ্রামের ছেলেবুড়ো সকলে কাতর হলে তোরাপের আয় রোজগারের সুবিধা হতো; আর অঘোর ডাক্তারের কাছে কেউ যেতই না। রোগীর অভাবে অঘোর ডাক্তারের সংসার চলাই দায় হয়ে উঠল। তাই অঘোর ডাক্তার একদিন গোপনে বাজার থেকে সিরিঞ্জ আর কুইনাইন ইনজেকশন কিনে এনে এ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা শুরুর চেষ্টা করলেন । অঘোর ডাক্তার কাঁপা কাঁপা হাতে ইদরিস নামের এক রোগীর কোমরের গভীর মাংসে সিরিঞ্জের সুচ ঢুকিয়ে দিতে গিয়ে সুচটা ভেঙে ফেললেন । ওই সময়ে একটি বুদ্ধিমান ছেলে বিষয়টার ভয়াবহ পরিণতি আঁচ করতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে দাঁত দিয়ে সুচটা বের করে নেয়। লজ্জা, ক্ষোভ, দুঃখ, অপমান ও অভিমানে অঘোর ডাক্তারের চোখে অশ্রু ঝরে। তিনি নিজের ভুলটা বুঝতে পারলেন।
যার যেটা কাজ সেটাই করা উচিত, নয়তো দুঃখ ও অপমান বয়ে বেড়াতে হয়; গল্পটিতে এ ভাবই প্রতিফলিত হয়েছে।
আরও দেখুন...