আমাদের অনেক বন্ধু চোখে দেখতে পায় না। অনেকে কানে শুনতে পায় না। অনেকে কথা বলতে পারে না। অনেকে হাঁটতে পারে না। এদের প্রত্যেকের জন্য বিশেষ সহযোগিতা প্রয়োজন। তাই এদের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু বলা হয়।
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সাহায্য করতে হবে। সহযোগিতা পেলে এরা স্বাভাবিক মানুষের মতোই পড়ালেখা করতে পারবে। অন্যান্য কাজও করতে পারবে। মনে রাখতে হবে যে, তারা আলাদা নয়। সকল ধরনের শিশুর বিদ্যালয়ে পড়ার অধিকার রয়েছে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরাও একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করবে। বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তারাও অংশগ্রহণ করবে। সকলের সাথে সকল কাজে তারা অংশগ্রহণ করবে। অংশগ্রহণের মাধ্যমে তারা আনন্দ পাবে। তাদের স্বাভাবিক জীবনের জন্য সকলকেই সচেতন থাকতে হবে।
একদিন শিক্ষার্থীরা দেখল, শ্রেণিকক্ষের বাইরে একজন নতুন শিক্ষার্থী বসে আছে। সে কোন দিকে তাকিয়ে আছে ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। মাঝে মাঝে আপন মনে হাসছে। শিক্ষিকা এলে সবাই বলে উঠল, আমাদের শ্রেণিকক্ষের বাইরে একটি পাগল বসে আছে।
শিক্ষিকা বললেন, না জেনে কাউকে পাগল বলো না। ওর নাম শুভ। শুভর বুদ্ধি স্বাভাবিকভাবে বাড়েনি। তাই তার আচরণ অন্যদের চেয়ে একটু ভিন্ন। শুভ এ স্কুলেই ভর্তি হতে এসেছে। কিছুক্ষণ পর প্রধান শিক্ষক শুভ ও তার মাকে নিয়ে শ্রেণিকক্ষে এলেন।
তিনি বললেন, ও তোমাদের নতুন বন্ধু। ওর একটু অসুবিধা আছে। একটু দেরিতে বোঝে। তবে ডাক্তার বলেছেন, শুভ স্বাভাবিক পরিবেশে থাকলে এবং ওর সাথে ভালোভাবে কথা বললে ওর সমস্যা কমে যাবে। তাই তোমরা সহযোগিতা করলে শুভ সহজে পড়াশোনা করতে পারবে। তোমরা শুভকে সহযোগিতা করবে তো?
সবাই বলল, করব স্যার।
তারা শুভকে হাত ধরে নিয়ে পাশে বসতে দিল। টিফিনের সময়ে ওকে খেলতে নিয়ে গেল। এভাবে সবাই শুভকে সহযোগিতা করল। শুভ বন্ধুদের সাহায্যে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে লাগল।
শুভ ভালো ছবি আঁকতে পারত। অল্পদিনের মধ্যে ছবি আঁকার জন্য শুভ সবার প্রিয় হয়ে উঠল। কিছুদিন আগে সে জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কার পেয়েছে। তার জন্য পুরো দেশ ঐ প্রাথমিক বিদ্যালয়টির নাম জেনেছে।
আরও দেখুন...