সমবায় মূলত স্বল্পবিত্ত, নিম্নবিত্ত ও বিত্তহীন লোকদের সংগঠন। যদিও বর্তমানে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ নিজেদের উদ্যোগে ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় আর্থিক ও সামাজিকভাবে স্বনির্ভরতা আনয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের সমবায় সমিতি গঠন করছে। তবে সমবায় বিধিমালা ২০০৪-এ পেশাভিত্তিক নিম্নোক্ত সমবায় সমিতিসমূহের নাম উল্লেখ করা হয়েছে—
১. কৃষি বা কৃষক সমবায় সমিতি
২. মৎস্যজীবী বা মৎস্যচাষী সমবায় সমিতি
৩. শ্রমজীবী সমবায় সমিতি
৪. মৃৎশিল্পী সমবায় সমিতি
৫. তাতি সমবায় সমিতি
৭. ভূমিহীন সমবায় সমিতি (সদস্যগণের সর্বোচ্চ জমির পরিমাণ হবে ৪০ শতক)
৭. বিত্তহীন সমবায় সমিতি
৮. মহিলা সমবায় সমিতি
৯. অটোরিক্সা, অটোটেম্পো, ট্যাক্সিক্যাব, মটর, ট্রাক, ট্যাঙ্ক-লরি চালক সমবায় সমিতি
১০. হকার্স সমবায় সমিতি
১১. পরিবহন মালিক বা শ্রমিক সমবায় সমিতি
১২. কর্মচারী সমবায় সমিতি
১৩. দুগ্ধ সমবায় সমিতি
১৪. মুক্তিযোদ্ধা সমবায় সমিতি
১৫. যুব সমবায় সমিতি (১৮ হতে ৩৫ বছর বয়সী যুব ও যুব-মহিলাদের জন্য)
১৮. গৃহায়ন (হাউজিং) সমবায় সমিতি
১৯. ফ্ল্যাট বা এপার্টমেন্ট মালিক সমবায় সমিতি
২০. দোকান মালিক বা ব্যবসায়ী বা মার্কেট সমবায় সমিতি
সকল ধরনের সমবায় সমিতির মুখ্য উদ্দেশ্য হলো সদস্যগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন। তবে স্বল্পবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের জন্য সমবায়ের উদ্ভব হলেও বর্তমানে বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার বিত্তশালী ব্যক্তিও সমবায় সমিতি গঠন করার সুযোগ পাচ্ছে। ফলে আশা করা যায় যে, স্বকর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হবার ইচ্ছুক দেশের লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত যুবক সমবায় সমিতি গঠনে উদ্বুদ্ধ হবে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
আরও দেখুন...