বন্ধুরা এবার আমরা সাইবার অপরাধ সম্পর্কে জানব। সাইবার হচ্ছে আলাদা একটা জগৎ, যেখানে আমাদের ভার্চুয়াল পরিচয় থাকে আমাদের আরেকটি ভার্চুয়াল জগৎ তৈরি হয়। আমাদের সেই জগতের নিরাপত্তা জানতে হবে সেই জগতে কীভাবে আমরা নিজেদের নিরাপদ রাখব এবং পরিবার ও সমাজকেও নিরাপদে রাখব সেই বিষয় শিখব আমরা সাইবারে গোয়েন্দাগিরিতে। সব সময় মনে রাখবে যে সাইবার জগৎ এবং বাস্তব জগৎ একে অন্যের সঙ্গে জড়িত। যেকোনো একটিতে সমস্যা হলে অন্যটিও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আমাদের এই ব্যাপারে যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হবে। আমরা নিজেরা সচেতন হব এবং কীভাবে সবাইকে সচেতন করা যায় সেটি নিয়ে কাজ করব।
পিনাকে তো তোমরা সবাই চেনো, ক্লাস সিক্স ইমেইল পাঠানোর সময় তোমাদের ন্যানো -এর সঙ্গেও পরিচয় হয়েছে। ছোট্ট রোবট ন্যানো পিনাকে অনেক সাহায্য করেছিল। পিনা ক্লাস সেভেনে উঠেছে। গতকাল তার অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মামার সঙ্গে কথা হয়। মামা পিনাকে বলেন— ‘পিনা তুই এখন বড় হচ্ছিস তোকে এখন সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কে জানতে হবে। এই সাইবার জগৎ আমাদের অনেকভাবে উপকার করলেও এখানেও অনেক খারাপ মানুষ রয়েছে। যারা প্রযুক্তি ব্যবহার করে নানা ধরনের অপরাধ সংঘটিত করে। এর মধ্যে রয়েছে নানা ধরনের হ্যাকিং, হুমকি দেওয়া, কারও মনে কষ্ট দেওয়া , ভুল তথ্য বা গুজব ছড়িয়ে দেশ ও রাষ্ট্রের ক্ষতি করা, অন্যের নাম ব্যবহার করে অন্যায় করে এরকম অনেক কিছু'। পিনা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে ‘এই ছোট্ট কম্পিউটারের মধ্যে এত কিছু !! কীভাবে মামা?” মামা বলেন ‘তুই এখন ক্লাস সেভেনে উঠেছিস তোকে তোর শিক্ষক সব সুন্দর করে বুঝাবেন; আর হ্যাঁ স্যাররা যা বলবেন মেনে চলবি। আজ আর কথা বাড়াবোনা আরেক দিন কথা হবে'
পিনা খুব চিন্তায় পড়ে গেল— এক এ তো সে নতুন ইমেইল আইডি খুলেছে, এখন সে ভাবছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম গুলতেও আইডি খুলবে তার বড় ভাই প্লাবনের সামাজিকমাধ্যম আইডি আছে। প্লাবন সেখানে ছবি পোস্ট দেয়। অনেকের সঙ্গে কথা বলে যোগাযোগ করে। পিনা তো এখন মহা চিন্তায় পড়ে গেল। এই কথা ভাবতে ভাবতে পিনা ঘুমিয়ে গেল। হঠাৎ তার ঘুম ভেঙে গেল দেখল তার রুমের কম্পিউটার থেকে নিল আলো আসছে। সঙ্গে সঙ্গে পিনা আনন্দে চিৎকার করে উঠল
পিনা:- ‘ন্যানো তুমি এসেছো! কত্তদিন পর। '
ন্যানো মুচকি হাসছে
ন্যানো: ‘হ্যাঁ পিনা, আমি দেখলাম তুমি সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে অনেক চিন্তায় পড়ে গেছ। আমি আবার তোমার চিন্তা বুঝতে পারি আর তাই চলে এলাম সাহায্য করতে।'
পিনা: খুব ভালো করেছ ন্যানো, আমি মনে মনে তোমাকে খুঁজছিলাম। আচ্ছা বলোতো মামা যে বললেন সাইবার অপরাধ, হ্যাকিং, আমরা নাকি নিরাপদ নই এসব কী?
ন্যানো: এবার আমরা হবো সাইবার গোয়েন্দা, তুমি সব করবে আর আমি তোমাকে সাহায্য করব গোয়েন্দাগিরিতে।
বন্ধুরা আমাদের বাস্তব জগতে যেমন অপরাধ সংঘটিত হয়, ভার্চুয়াল জগৎ মানে সাইবার স্পেসেও নানা রকম অপরাধ সংঘটিত হয়। এই অপরাধ সংঘটিত হয় নানা ডিভাইস যেমন কম্পিউটার মোবাইল ফোন, ইন্টারনেটসহ নানা প্রযুক্তি ডিভাইসের মাধ্যমে। এই সাইবারে যেমন যেমন খারাপ মানুষ রয়েছে, তেমনি আমাদের সাহায্য করার জন্য ভালো মানুষও রয়েছে। আমাদের জানতে হবে কোনোগুলো সাইবার অপরাধ, আর আমরা কাদের কাছে থেকে সাহায্য নেব এবং বিপদ থেকে দূরে থাকব।
এবার চলো, আমরা বর্তমান সময়ে ঘটছে এমন কিছু সাইবার অপরাধ সম্পর্কে জানি— প্রথমে আমরা একটি পত্রিকার সংবাদ পড়বো তারপর আমরা কিছু সাইবার অপরাধের সঙ্গে জড়িত শব্দের সঙ্গে পরিচিত হব
সাইবার অপরাধে নিরাপত্তা হুমকিতে বাংলাদেশ
বাংলাদেশও বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো সাইবার অপরাধ বাড়ছে। সাইবারে অন্যতম অপরাধ হচ্ছে মিথ্যা তথ্যকে সত্য বলে তুলে ধরা এবং গুজব ছড়ানো। এমন ঘটনা বলা যেটি বাস্তবে ঘটেইনি। মানুষ না বুঝেই অনেক বিপদে পড়ে যায়। আরেক ধরনের অপরাধ হচ্ছে হ্যাকিং (Hacking), হ্যাকিং অর্থ হলো কাউকে না বলে তার কম্পিউটারে ঢুকে পড়া। হ্যাকিং মানেই যে ক্ষতিকর কিছু কাজকর্ম হতে হবে তা ঠিক নয় । কম্পিউটারের মধ্যে থাকা কোনো সফটওয়্যারের ডিজাইনের সাধারণ পরিবর্তনকেও হ্যাকিং হিসেবে ধরা যেতে পারে। কারণ, এটি ওই সফটওয়্যার ডিজাইনের অন্তর্ভুক্ত নয়, যদিও এটি এমন কোনো শাস্তিমূলক অপরাধ নয় কিন্তু না জানিয়ে কোনো কিছু পরিবর্তন করাও হ্যাকিংয়ের মধ্যে পড়ে। সাইবার অপরাধের মধ্যে হ্যাকিং-এর পরিমাণ সব থেকে বেশি। ভাইরাস কম্পিউটারের এমন একটি সফটওয়্যার যা ব্যাবহারকারীকে না জানিয়েই অনেক ক্ষতি করতে পারে। এমন কি নিজে নিজে ইমেইল ও পাঠিয়ে দিতে পারে। এই ভাইরাস দিয়েও অনেক সাইবার অপরাধ সংঘটিত হয়। আমরা অনেক সময় মনে করি অনলাইনে কাউকে গালমন্দ করলে কেউ বুঝবে না। আসলে কিন্তু তা নয়, এটি হচ্ছে একটি সাইবার অপরাধ। এটিকে ছদ্মবেশধারী (Imposter) বলে, সাইবারে অনেক সময় মানুষ নিজের সঠিক তথ্য দেয় না এবং অন্যের নাম ও পরিচয় নিজের বলে ধারন করে এতে অনেক অপরাধ ঘটতে পারে।
সাইবারে অন্যকে যদি গালমন্দ করা হয় বা তার কোন ছবি বা বক্তব্য নিয়ে কষ্ট দেওয়া হয়, তাহলে সেটিও সাইবার অপরাধ। অন্যকে গালমন্দ করা বা কষ্ট দেওয়া (Bullying) মোটেও ভালো কাজ নয়, এটিও এক ধরনের সাইবার অপরাধ। আমাদের সাইবার অপরাধ থেকে বাঁচতে সচেতন হতে হবে।
আমরা সাইবার অপরাধ সম্পর্কে জানতে গিয়ে নতুন কিছু শব্দের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছি। চলো দেখি আমরা শব্দগুলো চেনার চেষ্টা করি
১. সাইবার নিরাপত্তা
২. সাইবার বুলিং
৩. হ্যাকিং
৪. গুজব ছড়ানো
৫.
৬.
আমরা অনেকগুলো নতুন বিষয় শিখলাম। এখন আমরা জানি, সাইবার অপরাধ কী। কিন্তু আমাদের জানতে হবে কোনোটি আসলে সাইবার অপরাধ। তাহলেই আমরা নিজেকে রক্ষা করতে পারব এবং রাষ্ট্রের সহায়তা করতে পারব সাইবার অপরাধ সম্পর্কে সচেতন হয়ে।
বন্ধুরা, আজকে আমরা নিজেরাই হব সাইবার গোয়েন্দা, আমরা আমাদের আশপাশে ঘটে যাওয়া সাইবার অপরাধ খুঁজে বের করব। চলো এবার কাজে নামা যাক— আমাদের আশপাশে ঘটে যাওয়া একটি করে সাইবার অপরাধের ঘটনা চিরকুট লিখি- ঘটনাগুলো এমন হতে হবে যা সাইবারে ঘটেছে এবং কোনো না কোনোভাবে মানুষ এবং সমাজকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে বা নিরাপত্তা বিঘ্নিত করেছে।
নমুনা ঘটনা
ঘটনা | কোন মাধ্যমে ঘটেছে? | সাইবার অপরাধ হলে টিক চিহ্ন দিই |
---|---|---|
১. মোবাইল অ্যাকাউন্টের পিন নিয়ে টাকা আত্মসাত করেছে | মোবাইল এবং ইন্টারনেট | |
২. অনুমতি ছাড়া অন্যের ব্যক্তিগত ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে | মোবাইল/কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট | |
৩. | ||
৪. | ||
৫. | ||
৬. | ||
৭. | ||
৮. | ||
৯. | ||
১০. |
পিনা এখন জানে কোনোগুলো সাইবার অপরাধ। মানুষ এত্তভাবে সাইবার অপরাধ করে! কিন্তু এদের ধরার কি কোনো উপায় নেই? কীভাবে এই অপরাধ থেকে বাঁচবে?
গতকালের চিন্তা ছিল সাইবার অপরাধ কী; আর আজকে রাতে তার ঘুম আসছে না কীভাবে রুখবে এই অপরাধ? ইস যদি আজকে ন্যানো আসত! পিনা ধীরে ধীরে ঘুমিয়ে যায়।
‘পিনা, এই পিনা ঘুম থেকে ওঠো, আমি ন্যানো, আমি এসেছি।' পিনা দেখতে পায়, তার মাথার কাছে বসে আছে ন্যানো। ‘শোনো পিনা সাইবার অপরাধ দমনের জন্য অনেক ব্যবস্থা আছে, অনেক আইন আছে। বাংলাদেশেও অনেক আইন আছে, তোমার ভয় পাওায়ার কোনো কারণ নেই। আমি তোমাকে দেখাচ্ছি কী করবে।
সবার প্রথমে তোমার সঙ্গে ঘটে যাওয়া সাইবার ক্রাইম তোমার মা-বাবাকে জানাবে। তাদেরকে কাছে না পেলে পরিবারে অন্য কোনো বড় সদস্য কে জানাবে। তারপর তোমার শিক্ষককে জানাবে। পিনা, সবাই
তোমাকে সাহায্য করার জন্য আছে, তাই ভয়ের কিছু নেই; কিন্তু কিছু লুকানো যাবে না।'
এবার আমরা নিজের ছকে বিভিন্ন সাইবার অপরাধের ঘটনায় কী কী করব তা কার্টুনের শুন্য স্থানে পুরণ করব।
পিনার পাখির ডাকে ঘুম ভেঙে গেল। সে আজকে খুব খুশি মনে স্কুলে যাচ্ছে কারণ সে জানে সাইবার অপরাধ যেমন আছে, তা থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়ও আছে । আজ সে শিক্ষককে অনেক কিছু জানাতে পারবে
পিনা ডিজিটাল প্রযুক্তি ক্লাসের জন্য অপেক্ষা করছিল, স্যার এসে বললেন, গতকাল আমরা অনেকগুলো সাইবার অপরাধ লিখেছিলাম। আজকে আমরা তার সমাধানে কী করণীয় তা খুঁজে বের করব। কিন্তু আমরা একাই এই কাজটি করব না। এখানে শ্রেণিকক্ষে করার পর তা বাসায় নিয়ে যাব। তারপর বাবা-মা/পরিবারের সদস্যর সঙ্গে নিয়ে সমাধান করব। তারপর ওনাদের স্বাক্ষর নিয়ে জমা দিতে হবে। বন্ধুরা চলো আমরাও পিনার সঙ্গে কাজটি করে ফেলি—
ঘটনা | কোনো মাধ্যমে ঘটেছে? | সাইবার অপরাধে আমরা যা করব | আমার বাবা –মা পরিবারের সদস্য যা করবেন |
---|---|---|---|
১. মোবাইল ব্যাংক এর পিন নিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেছে | মোবাইল এবং ইন্টারনেট | ||
২. অনুমতি ছাড়া অন্যের ব্যক্তিগত ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে | মোবাইল/কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট | ||
৩. অন্যের আইডি হ্যাক করেছে | |||
৪. মিথ্যা / গুজব ছড়িয়েছে | |||
৫. | |||
৬. |
বন্ধুরা, এবার আমরা আমাদের নিজেদের জন্য সাইবার নিরাপত্তা নীতিমালা বানাব, যেখানে আমরা শপথ করব, সেই সকল নিরাপত্তা নিয়মকানুন আমরা নিজেরা মেনে চলব এবং স্কুলের অন্যদের জানাব যেন সবাই মেনে চলে। তারপর সেই নিরাপত্তা নীতিমালাতে সকল শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর সংগ্রহ করে আমাদের
আমরা ……………………………………………………..বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির……………………………………শাখার সকল শিক্ষার্থী শপথ করছি যে সাইবার নিরাপত্তায় আমরা নিম্নলিখিত কাজগুলো কখনোই করবো না বা অন্যকে উৎসাহিত করব না। ১. নিজের নাম গোপন রেখে অন্যের সঙ্গে মোবাইল বা ইন্টারনেটে কথা বলব না। ২. অপরিচিত কারও কাছে নিজের বা পরিবারের ব্যক্তিগত তথ্য দেব না। ৩. কাউকে সাইবার জগতে গালি/মনঃকষ্ট দেব না। 8. ৫. ৬. ৭. নীতিমালার সঙ্গে একমত শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর নাম রোল নম্বর স্বাক্ষর |
স্কুলের দেওয়ালে রেখে দেব যেন সবাই সচেতন হতে পারে। নিচের নীতিমালাটি পূরণ করব এবং সবাই মিলে যেটি তৈরি করব সেটি আলাদা কাগজ লিখবে।
শ্রেণির বাইরের কাজ— আমরা স্কুলের বড় ক্লাসের শিক্ষার্থীদের কাছে নিজদের নীতিমালা উপস্থাপন করব এবং তারা কি এই নীতিমালার সঙ্গে একমতো কিনা জানব এবং উপরের ছকের মতো করে একমতো শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষর গ্রহণ করব। যদি কোনো বিষয়ে একমতো না হয়, সেটি নিয়ে কথা বলব এবং সবাই মিলে যেটি সঠিক সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।
পিনা বাবার সঙ্গে বসে সবগুলো সমস্যার সমাধান করেছে। এখন পিনা ভাবছে এলাকার সবাই কি জানে কীভাবে সাইবারক্রাইম প্রতিরোধ করতে হয়? বাবা বলেন, এই যে তুই যেভাবে আমাকে জানালি, ঠিক সেভাবে এবার জানাবি সবাইকে। পিনা খুব চিন্তায় পড়ে গেলো কীভাবে সে সবাইকে জানাবে।
পরদিন ক্লাসে গিয়ে শিক্ষককে বিষয়টি জানাল। শিক্ষক বললেন, তোমাদের সমাজের সবাইকে জানানোর দায়িত্ব তোমাদের। তোমরা একটি নাটিকা বানাবে, যেখানে তোমরা মোবাইল ফোন দিয়ে ভিডিও করে এডিট করবে। তোমাদের মূল কাজ হবে সবাইকে জানানো সাইবার অপরাধ কী এবং কীভাবে নিরাপদ থাকা যায়। যদি মোবাইল ক্যামেরা না থাকে, তাহলেও কোনো সমস্যা নেই, তোমরা একটি নাটিকা বানিয়ে অভিনয় করবে। যেটি উপস্থাপন করা হবে সবার সামনে (শিক্ষক, পরিবারে সদস্য, সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা থাকবেন। বার্ষিক অনুষ্ঠানে উপস্থাপন করবে।
বন্ধুরা, এবার আমাদের কাজ হবে পিনার স্কুলশিক্ষক যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন সেভাবে একটি নাটিকা পরিকল্পনা করা। যেখানে কিছু ঘটনা থাকবে সাইবার অপরাধ হওয়ার এবং সেখান থেকে উদ্ধার পাওয়ার উপায়। এই নাটিকার মাধ্যমে আমরা আসলে সমাজের সকলকে সাইবার অপরাধ সম্পর্কে জানাব। সবাই যেন সাইবার অপরাধ থেকে নিজে নিরাপদ থাকে এবং অন্যকে নিরাপদ রাখে।
দলে ভাগ হয়ে নাটিকার পরিকল্পনাটি সংক্ষেপে লিখি
|
আরও দেখুন...