হাঁসের খাদ্য সরবরাহের জন্য সুনির্দিষ্ট সময়সূচি প্রয়োজন। সময়সূচি অনুযায়ী প্রতিদিন একই সময়ে খাদ্য সরবরাহ করতে হবে। উন্মুক্ত অবস্থায় হাঁস পালন করা হলে হাঁসকে সকাল বেলায় জলাশয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। জলাশয় থেকে সারাদিন খাদ্য সংগ্রহ করে খেয়ে থাকে। সন্ধ্যাবেলা ঘরে তোলার সময় কিছু খাবার প্রদান করা হয়। অপরদিকে আবদ্ধ পদ্ধতিতে হাঁস পালন করলে শুধুমাত্র প্রদানকৃত খাবারের উপর নির্ভর করে চলতে হয়। সে কারণে হাঁসকে তার বয়স ও উৎপাদন এর উপর ভিত্তি করে সুষম রেশন প্রদান করা হয় ।
ডিম উৎপাদনকারী হাঁসের বয়স অনুযায়ী দৈনিক খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ
বিভিন্ন বয়সের মাংস উৎপাদনকারী হাঁসের দৈনিক খাদ্য গ্রহণের পরিমাণ
হাঁসকে দুই প্রকারে খাদ্য তৈরি করে খাওয়ানো হয়। যথা:
১. ম্যাশ আকারে খাদ্য তৈরি করে খাওয়ানো
২. পিলেট আকারে খাদ্য তৈরি করে খাওয়ানো
ম্যাশ খাদ্য
খাদ্য উপকরণসমূহ একত্রে মিশিয়ে যে দানাদার বা গুঁড়া খাদ্য তৈরি করা হয় তাকে ম্যাশ খাদ্য বলে। ম্যাশ খাদ্য পোল্ট্রি ফিড মিলে বা হাতে তৈরি করা যায়। ম্যান খাদ্য হাতে প্রস্তুত করার সময় খেয়াল রাখতে হবে খাদ্যের সবগুলো উপকরণ যেন ভালোভাবে মিশে যায়।
পিলেট খাদ্য
পিলেট খাদ্য কারখানার এক করা হয়। পিলেটার মেশিন কিনে ক্ষুদ্র পরিসরে নিজেরাই খাদ্য নত করতে পারি। এই জাতীয় খাদ্য হাতে ছত করা যায় না। পিলেট খাদ্য হাঁসের জন্য অধিকতর উপযোগী। এতে খাদ্য অপচয় কম হয়।
আজকাল বাজারের তৈরি সিলেট জাতীয় খাদ্য কিনতে পাওয়া যায়। তবে এসব খাদ্য ব্যবহারের পূর্বে এদের গুণাগুণ, উপকরণের মান এবং কতদিন পূর্বে তৈরি তা অবশ্যই ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। খাদ্য ৭(সাত) দিনের বেশি নামজাত করা যাবে না, তাহলে ছত্রাকজনিত রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
শ্রেণির তাত্ত্বিক কাজ
আরও দেখুন...