বাচ্চা আবাসনের পূর্বেই হার্ডবোর্ড বা তারের নেট দিয়ে চিক পার্ড তৈরি করে মেঝেতে পরিমাণমত (২-৩ ইঞ্চি পুরু করে) তুব/কাঠের ভূষি বিছিয়ে এর উপর খবরের কাগজ কয়েক স্তরে অথবা পাতলা চট বিছিয়ে নিতে হবে। এ কাগজ দিনে একবার বদলিয়ে দিতে হবে। পাতলা চট দৈনিক একবার পরিষ্কার করে শুকিয়ে পুনরায় বিছাতে হবে।
বাচ্চা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বা হ্যাচারি থেকে বাচ্চা সংগ্রহ করে এনে পূর্ব থেকে প্রস্তুতকৃত ব্রুডার ঘরে ৪৫ মিনিট বাচ্চাগুলোকে বাক্সের মধ্যেই রাখতে হবে। কারণ অন্য পরিবেশ থেকে আনার পর ব্রুডারের পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে কিছু সময় লাগবে। এ সময় পর কিছু বাচ্চাকে ব্রুডারে ছাড়তে হবে। পনেরো মিনিট পর সবগুলো বাচ্চা ব্রুডারে ছাড়তে হবে। এতে পরের বাচ্চাগুলো পূর্বের বাচ্চাগুলোকে অনুসরণ করে দ্রুত পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারবে। চিকগার্ডের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পানি পাত্র ও খাদ্য পাত্র স্থাপন করতে হবে।
পানি পাত্রগুলো দিনে ২-৩ বার পরিষ্কার করতে হবে। সপ্তাহে একবার পানি পাত্রগুলো জীবাণুনাশক ঔষধ, আইওসান দিয়ে ধুইয়ে নিতে হবে। বাচ্চা বড় হওয়ার সাথে চিকগার্ডের পরিধি বৃদ্ধি করে ৪-৫ সপ্তাহের মধ্যে সারা ঘরে লিটার বিছিয়ে বাচ্চাগুলোকে ছেড়ে দিতে হবে। সেই সাথে সমস্ত ঘরে প্রয়োজনীয় সংখ্যক খাদ্য পাত্র ও পানি পাত্র স্থাপন করতে হবে।
স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ রক্ষার্থে প্রতিদিন ঘরের লিটারে আচঁড়া দিয়ে নেড়ে উল্টে-পাল্টে দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। লিটার ভিজে গেলে তা সাথে সাথে পরিবর্তন করে সেখানে শুকনা লিটার বিছিয়ে দিতে হবে।
বাচ্চা বড় হওয়ার সাথে সাথে ঘরের পর্দাগুলো খুলে দিতে হবে যাতে ঘরের মধ্যে প্রয়োজনমত বায়ু চলাচল করতে পারে যা লিটার শুকনা রাখতে সাহায্যে করে ।
শীতকালে ৪-৫ সপ্তাহ এবং গ্রীষ্মকালে ২-৩ সপ্তাহ কৃত্রিম উপায়ে তাপ দেয়ার প্রয়োজন হতে পারে। দুই সপ্তাহ বয়স থেকে হাঁসের বাচ্চাকে পানিতে চড়ার অভ্যাস করাতে হবে।
শ্রেণির তাত্ত্বিক কাজ
আরও দেখুন...