জৈব যোগ গঠনে কার্বন মৌলের বিশিষ্টতা

একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি - রসায়ন রসায়ন - দ্বিতীয় পত্র | - | NCTB BOOK
447
447

জৈব যোগ গঠনে কার্বন মৌলের বিশিষ্টতা

১. টেট্রাভ্যালেন্সি

  • কার্বনের পরমাণুতে ৪টি ভালোেন্ট ইলেকট্রন থাকে, যা ৪টি সমযোজী বন্ধন গঠনে সক্ষম।
  • এই গুণের জন্য কার্বন একক, দ্বৈত বা ত্রৈত বন্ধন গঠন করতে পারে।

২. শৃঙ্খল গঠন (Catenation)

  • কার্বন-কার্বন বন্ধন শক্তিশালী হওয়ায় কার্বন একই ধরনের পরমাণুর সাথে দীর্ঘ শৃঙ্খল বা রিং তৈরি করতে পারে।
  • এটি সরল শৃঙ্খল, শাখাময় শৃঙ্খল, বা চক্রাকার হতে পারে।

৩. বহুস্তরিক বন্ধন ক্ষমতা

  • কার্বন একক (C-C), দ্বৈত (C=C), বা ত্রৈত (C≡C) বন্ধন গঠন করতে পারে।
  • এই বৈশিষ্ট্য জৈব যৌগের গঠন বৈচিত্র্যকে বাড়ায়।

৪. হাইব্রিডাইজেশন ক্ষমতা

  • কার্বন sp³, sp², এবং sp হাইব্রিডাইজেশন করতে পারে।
  • এটি বিভিন্ন আকৃতি এবং বৈশিষ্ট্যের জৈব যৌগ তৈরিতে সক্ষম।

৫. বৈচিত্র্যময় যৌগ গঠন

  • কার্বন বিভিন্ন মৌলের সাথে (যেমন: হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, সালফার) বন্ধন গঠন করতে পারে।
  • ফলে অ্যালকেন, অ্যালকিন, অ্যালকোহল, কার্বোক্সিলিক অ্যাসিডের মতো অসংখ্য জৈব যৌগ গঠিত হয়।

৬. সমমেরুতা

  • কার্বন যৌগসমূহ সমমেরুতা প্রদর্শন করতে পারে, যা একই রাসায়নিক গঠন কিন্তু ভিন্ন ভৌত ও রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য তৈরি করে।
  • উদাহরণ: স্টেরিওসমেরিজম ও জ্যামিতিক সমমেরুতা।

৭. পলিমার গঠন

  • কার্বনের শৃঙ্খল গঠনের ক্ষমতা পলিমার তৈরি করতে সাহায্য করে।
  • উদাহরণ: পলিথিন, পলিস্টাইরিন, যা দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত হয়।

৮. কার্যকরী দল যুক্ত করার ক্ষমতা

  • কার্বন বিভিন্ন কার্যকরী দল (যেমন: -OH, -COOH, -NH₂) যুক্ত করে নতুন বৈশিষ্ট্যের যৌগ তৈরি করতে পারে।

৯. জৈব যৌগের স্থায়িত্ব

  • কার্বন-কার্বন এবং কার্বন-হাইড্রোজেন বন্ধন অত্যন্ত স্থিতিশীল, যা জৈব যৌগের দীর্ঘস্থায়ী প্রকৃতি নিশ্চিত করে।

এই বৈশিষ্ট্যগুলির জন্যই কার্বন জৈব রসায়নের কেন্দ্রবিন্দু এবং জীবনের প্রধান নির্মাণ উপাদান হিসেবে বিবেচিত হয়।

Content added By
টপ রেটেড অ্যাপ

স্যাট অ্যাকাডেমী অ্যাপ

আমাদের অল-ইন-ওয়ান মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সীমাহীন শেখার সুযোগ উপভোগ করুন।

ভিডিও
লাইভ ক্লাস
এক্সাম
ডাউনলোড করুন
Promotion
;