তথ্য ও তথ্যের প্রকারভেদ

একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি - পরিসংখ্যান - পরিসংখ্যান ১ম পত্র | | NCTB BOOK

তথ্য ও তথ্যের প্রকারভেদ

তথ্য (Data) হলো এমন একটি উপাদান যা কোনো ঘটনা বা বিষয় সম্পর্কে বিভিন্ন উপাত্ত বা মানের মাধ্যমে ধারণা প্রদান করে। এটি গবেষণা, বিশ্লেষণ, এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।


তথ্যের সংজ্ঞা

তথ্য হলো এমন উপাত্ত যা বিভিন্ন উৎস থেকে সংগ্রহ করে বিশ্লেষণের মাধ্যমে অর্থবহ তথ্য বা ফলাফল তৈরি করা হয়।

উদাহরণ:

  • একটি বিদ্যালয়ে ছাত্রের সংখ্যা।
  • একটি দেশের জনসংখ্যা।
  • ব্যবসায় বিক্রির তথ্য।

তথ্যের প্রকারভেদ

তথ্যকে বিভিন্ন ভিত্তিতে শ্রেণিবদ্ধ করা যায়। প্রধানত এটি দুই প্রকারে ভাগ করা হয়:


১. গুণগত তথ্য (Qualitative Data)

গুণগত তথ্য এমন তথ্য যা গুণগত বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে। এটি সংখ্যা নয়, বরং বর্ণনা বা শ্রেণিবিন্যাসের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

বৈশিষ্ট্য:

  • গুণগত বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে।
  • পরিমাপ করা যায় না।
  • শ্রেণি বা বিভাগে ভাগ করা যায়।

উদাহরণ:

  • রঙ (লাল, সবুজ, নীল)
  • লিঙ্গ (পুরুষ, নারী)
  • রুচি (ভাল, খারাপ)

২. পরিমাণগত তথ্য (Quantitative Data)

পরিমাণগত তথ্য সংখ্যার মাধ্যমে প্রকাশিত হয় এবং এটি পরিমাপযোগ্য।

বৈশিষ্ট্য:

  • সংখ্যা দ্বারা প্রকাশিত হয়।
  • সরাসরি পরিমাপ করা যায়।
  • গণনা বা গাণিতিক বিশ্লেষণে ব্যবহার করা হয়।

পরিমাণগত তথ্য আবার দুই ভাগে বিভক্ত:

ক. বিচ্ছিন্ন তথ্য (Discrete Data)

বিচ্ছিন্ন তথ্য এমন তথ্য যা নির্দিষ্ট সংখ্যার মান ধারণ করে এবং পূর্ণসংখ্যা হিসেবে প্রকাশিত হয়।
উদাহরণ:

  • ছাত্রের সংখ্যা।
  • পরিবারের সদস্য সংখ্যা।

খ. সাতত্য তথ্য (Continuous Data)

সাতত্য তথ্য এমন তথ্য যা নিরবচ্ছিন্ন মান ধারণ করতে পারে এবং ভগ্নাংশ বা দশমিক আকারে প্রকাশিত হয়।
উদাহরণ:

  • উচ্চতা।
  • ওজন।
  • সময়।

তথ্যের আরও প্রকারভেদ

তথ্যের উৎস, প্রকৃতি বা প্রয়োগের ভিত্তিতে এর আরও প্রকারভেদ রয়েছে:

ক. প্রাথমিক তথ্য (Primary Data)

প্রাথমিক তথ্য সরাসরি মূল উৎস থেকে সংগ্রহ করা হয়।
উদাহরণ:

  • গবেষণার জন্য সরাসরি সাক্ষাৎকার।
  • মাঠ জরিপ।

খ. গৌণ তথ্য (Secondary Data)

গৌণ তথ্য হলো পূর্বে সংগৃহীত তথ্য যা অন্য উৎস থেকে ব্যবহার করা হয়।
উদাহরণ:

  • সরকারি প্রতিবেদন।
  • পূর্বে প্রকাশিত গবেষণাপত্র।

সারসংক্ষেপ
তথ্য হলো বাস্তব জীবনের বিভিন্ন উপাত্তের সমষ্টি যা বিশ্লেষণের মাধ্যমে জ্ঞান তৈরি করতে সহায়ক। তথ্যকে প্রধানত গুণগত ও পরিমাণগতভাবে শ্রেণিবিন্যাস করা হয় এবং প্রাথমিক ও গৌণ তথ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এটি বিজ্ঞান, ব্যবসা, এবং সমাজবিজ্ঞানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

Content added By
Promotion