প্লাসমিড আবিস্কার করেন কে ?
প্লাজমিডঃ জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর প্রধান জীবজ উপাদান হলো প্লাজমিড। ব্যাকটেরিয়ার সাইটোপ্লাজমে মূল ক্রোমোজোম ছাড়াও যে বৃত্তাকার বা রিং আকৃতির দ্বিসূত্রক DNA থাকে তাকে প্লাজমিড বলে। Lederberg 1952 সালে সর্বপ্রথম প্লাজমিড শব্দটি ব্যবহার করেন। কিন্তু বর্তমানে কেবল ব্যাকটেরিয়ার বহিঃক্রোমোজোমীয় DNA-কেই প্লাজমিড হিসেবে গণ্য করা হয়।
ব্যাকটেরিয়ার দেহে প্রধানত তিন ধরনের প্লাজমিড পাওয়া যায়- ৩ প্রকার
ক.F factor- এক ব্যাকটেরিয়া থেকে অন্য ব্যাকটেরিয়াতে জেনেটিক বস্তু স্থানান্তরের জন্য দায়ী।
খ.R plasmid- এদের মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন জিন রয়েছে।
গ.Col factor- এরা বিষাক্ত পদার্থ কোলিসিন উৎপাদন করার জন্য দায়ী।
প্লাজমিড-এর বৈশিষ্ট্যঃ
*বৃত্তাকার দ্বিসূত্রক DNA গঠিত স্বতন্ত্র জেনেটিক বস্তু।
*ব্যাকটেরিয়ার মূল ক্রোমোজোম হতে ছোট ও আলাদা ।
* অর্ধ-রক্ষণশীল প্রক্রিয়ায় প্রতিলিপন ক্ষমতাসম্পন্ন।
* অন্য প্লাজমিড বা ব্যাকটেরিয়ার মূল DNA অথবা অন্য যে কোন জীবের DNA-এর সাথে পুনঃসমন্বয় করতে সক্ষম।
* এক ব্যাকটেরিয়া হতে অন্য ব্যাকটেরিয়াতে স্থানান্তর হতে পারে।