পরমাণুতে অরবিটালের ধারণা পাওয়া যায় কোনটি থেকে?
শক্তিস্তর বা কক্ষ বা শেল বা অরবিট (Orbit)
বোর পরমাণু মডেলের স্বীকার্য অনুসারে পরমাণু নিউক্লিয়াসের চতুর্দিকে যে নির্দিষ্ট বত্তাকার কক্ষপথে ইলেকট্রন ঘূর্ণায়মান তাকে শক্তিস্তর বা কক্ষ বা অরবিট বলে।
মূলত প্রধান শক্তিস্তরই অরবিট নামে পরিচিত। একে n দ্বারা প্রকাশ করা হয়। n = 1 হলে K শেল বা ১ম অরবিট, n = 2 হলে L শেল বা ২য় অরবিট, n = 3 হলে M শেল বা ৩য় অরবিট, n = 4 হলে N শেল বা ৪র্থ অরবিট।
উপশক্তিস্তর বা উপকক্ষ বা অরবিটাল (Orbital)
পরমাণুস্থ নিউক্লিয়াসের চতুর্দিকে যে নির্দিষ্ট অঞ্চল ব্যাপী ইলেকট্রন প্রাপ্তির সম্ভাবনা সর্বাধিক তাকে উপশক্তিস্তর বা উপকক্ষ বা অরবিটাল বলে। অরবিটাল মূলত ত্রিমাত্রিক অঞ্চল যেখানে ইলেকট্রন মেঘের ঘনত্ব সর্বাধিক (90-95%)।
অরবিটাল বিভিন্ন সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যাকে নির্দেশ করে।
যেমন : সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা-
1 কে s অরবিটাল দ্বারা প্রকাশ করা হয় ।
2 কে p অরবিটাল দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
3 কে d অরবিটাল দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
4 কে f অরবিটাল দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
বিভিন্ন অরবিটালের আকৃতি বিভিন্ন। যেমন :
s-অরবিটাল গোলাকার অর্থাৎ ত্রিমাত্রিক
p- অরবিটাল ডাম্বেল আকৃতির।
d এবং f অরবিটালের আকৃতি জটিল প্রকৃতির।
প্রকৃতপক্ষে, অরবিটাল হলো তরঙ্গ ফাংশন অর্থাৎ তরঙ্গ বলবিদ্যায় গাণিতিক ফাংশন, যা দ্বারা কোনো পরমাণুতে ইলেকট্রনের অবস্থা বর্ননা করা হয়।