* স্পর্শ বা অনুভব পরীক্ষা (Feeling test )
স্পর্শ পরীক্ষা সাধারণত অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার উপর নির্ভর করে। যে সমস্ত প্রযুক্তিবিদ ফাইবার নিয়ে কাজ করে, শুধু তাঁরাই আঁশ দেখে এবং অনুভব করে আঁশের নাম এবং কোয়ালিটি সমন্ধে ধারণা করতে পারেন।
আগুনে পুড়ে পরীক্ষা (Burningtes )
টেক্সটাইল বিভিন্ন ফাইবারের গঠনগত উপাদানের কারণে আগুনে পোড়ার পর আঁশের আচরণ- ভিন্ন ভিন্ন পরিলক্ষিত হয়। ফলে উক্ত আচরণ শনাক্ত করে আঁশকে চিহ্নিত করা হয়। সাধারণত আঁশের গুচ্ছ থেকে করেকটি আঁশ অথবা কাপড়ে থেকে মমুনা টুকরো সংগ্রহ করে তার থেকে একটা বা দুইটা করে সুতা আগুনের শিখার উপর ধরা হয় এবং আনুমানিক ১০ সেকেন্ড জ্বলতে দেওয়া হয়।
নাইলন
• ধীরে ধীরে পুড়ে ও গলে যায় ।
• আগুন হতে সরালে শিখা আস্তে আস্তে নিভে যায়।
• পিরিডন-এর হালকা পক্ষ পাওয়া যায়।
• চকচকে বা বাদামি শক্ত গোলাকার পুঁতির দানার মতো অবশিষ্ট থাকে।
পলিয়েস্টার
• পুড়ে ধীরে ধীরে গলে যায়।
• শিখা আস্তে আস্তে নিতে যায়, সহজে দাহ্য থাকে না।
• মৃদু মিষ্টি অ্যারোমেটিকের পদ্ধ পাওয়া যায়।
• চকচকে বা বাদামি শক্ত গোলাকার ভঙ্গুর পুঁজির দানার মতো ছাই পাওয়া যায় ।
জ্যাকরাইলিক
• দ্রুত জ্বলে ও মিটমিট করে।
• আগুন হতে সরালে অবিরাম পলে ও পুড়তে থাকে।
• মৃদু মাংস পোড়া গন্ধ ।
• ভঙ্গুর শক্ত অসমান পুঁজির দানার মতো ছাই পাওয়া যায় ।
অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে পরীক্ষা
বিভিন্ন আঁশের প্রকৃতি নির্ধারণে অণুবীক্ষণিক পরীক্ষাই সর্বাপেক্ষা উত্তম, নির্ভরযোগ্য ও নির্ভুল। অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নিচে রাখলে বিভিন্ন আকৃতির আঁশ বিভিন্ন দেখায়।
নাইলন
অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে পরীক্ষা বিভিন্ন আঁশের প্রকৃতি নির্ধারণে অণুবীক্ষণিক পরীক্ষাই সর্বাপেক্ষা উত্তম, নির্ভরযোগ্য ও নির্ভুল। অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নিচে রাখলে বিভিন্ন আকৃতির আঁশ বিভিন্ন দেখায়।
পলিয়েস্টার
মসৃণ এবং সোজা, ক্রস সেকশন গোলাকার সাধারণত চকচকে তবে কখনও কখনও কম চকচকে করা হয়।
রাসায়নিক পরীক্ষা (Chemical test )
এই পদ্ধতিতে ফাইবার শনাক্ত করা খুবই কষ্টসাধ্য, যখন একই কাপড়ে বা সুতয় বিভিন্ন ধরনের ফাইবার ব্লেন্ডেড অবস্থায় মিশ্রিত থাকে।
আরও দেখুন...