বাজেট তৈরির কতকগুলো নিয়ম আছে, যা অনুসরণ করে প্রকৃত বাজেট তৈরি করা যায়। প্রতিটি কাজ যেমন নিয়ম মাফিক না করলে কাজগুলো সঠিক ও সুন্দরভাবে করা সম্ভব হয় না, তেমনি বাজেট করার সময় নিয়ম অনুযায়ী না করলে বাজেট যথার্থ এবং কার্যকরী হবে না। বাজেট তৈরি করার নিয়মগুলো নিচে বর্ণিত হলো-
একটি মাসিক বাজেটের নমুনা দেওয়া হলো- পরিবারের মাসিক মোট আয়- ৩০,০০০/- টাকা
সদস্য সংখ্যা-৪ জন।
খাত
১। খাদ্য
ক) শুকনা বাজার
5000/- 1000/-
মোট খরচ (টাকা)
শতকরা হার %
80%
৩০%
খ) কাঁচাবাজার
২। বাসস্থান
ক) ভাড়া
খ) বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, জ্বালানি খরচ ইত্যাদি।
৩। ক
ক) বস্ত্র ও পোশাক ক্রয়
খ) পোশাক তৈরি ও মেরামত গ) বস্ত্র ধৌত ও ইস্ত্রি।
৪ ৷ শিক্ষা
ক) স্কুল-কলেজের বেতন
খ) বই, খাতা, কলম, পেনসিল ইত্যাদি।
গ) গৃহশিক্ষকের বেতন
সম্ভাব্য খরচ (টাকা)
১২,০০০/-
1000/- 2000/-
$,000/-
1000/- 800/- 200/-
১,৬০০/-
«.00%
1000/- 500/- 2000/-
3500/-
২০১৮
11.67%
৫। চিকিৎসা
800/-
ক) চিকিৎসকের ফি
200/-
600/-
খ) ঔষধ ও পথ্য
2%
৬। সদস্যদের ব্যক্তিগত কার্যাবলি
৩০০/- 800/-
ক) ভাতা বা হাত খরচ
খ) আমোদ-প্রমোদ ব্যয় ।
900/-
৭। অন্যান্য খরচ
800/-
2.33%
ক) মেহমানদারি
800/-
200/-
খ) উপহার ও চাঁদা
২২০০/-
9.00%
গ) যাতায়াত
200/-
1000/-
ঘ) খবরের কাগজ, ম্যাগাজিন ইত্যাদি। ঙ) গৃহকর্মীর বেতন।
800/-
800/-
00,000/-
১.৩৩% ১০০%
৮। সঞ্চয়
800/-
00,000/-
১.৩৩% ১০০%
বিঃদ্রঃ বর্তমান সময়ের বাজার মূল্যের আলোকে বাজেটটি শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে ব্যাখ্যা করবেন। মন্তব্য— উল্লিখিত বাজেটটিতে আয় ও ব্যয়ের পরিমাণ সমান। এ রকম বাজেটকে সুষম বাজেট বলে। যে বাজেটে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হয়, তাকে বলে ঘাটতি বাজেট। এ ছাড়া বাজেটে যদি আয়ের চেয়ে ব্যয় কম হয় সেটি হচ্ছে উদ্বৃত্ত বাজেট। উদ্বৃত্ত বাজেট হলো সবচেয়ে ভালো বাজেট। ঘাটতি বাজেট কখনোই কাম্য নয় ৷ কারণ এ রকম বাজেটে ঋণের বোঝা বাড়ে ৷
কাজ – অভিভাবকের সহায়তায় তুমি তোমার পরিবারের মাসিক বাজেট তৈরি কর।
আরও দেখুন...