জনাব আবদুর রহমান ঢাকার একটি কলেজের ইসলাম শিক্ষার শিক্ষক। তিনি ক্লাসে ইসলামি শিক্ষা ও সংস্কৃতি পড়াতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের ইসলাম শিক্ষার উদ্দেশ্য বর্ণনা করতে বলেন। শিক্ষার্থীরা 'ক' ও 'খ' নামে দুইটি দলে বিভক্ত হয়ে পর্যায়ক্রমে ইসলাম শিক্ষার বিভিন্ন উদ্দেশ্য উপস্থাপন করে-
ক. দল | খ. দল |
১. আল্লাহ সম্পর্কে জ্ঞানলাভ | ১. আল্লাহর খিলাফত পরিচালনার যোগ্যতা অর্জন |
২. আল্লাহর ওপর ইমান আনা | ২. আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠা করা |
৩. আল্লাহর ইবাদত করা | ৩. দাওয়াত ও তাবলিগ |
৪. আল্লাহ ও রাসুল (স) এর আনুগত্য করা | ৪. পার্থিব কল্যাণ লাভ |
৫. আল্লাহর সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন। | ৫. হালাল উপার্জন। |
'খ' দলের আলোচনায় ইসলাম শিক্ষার দু'ধরনের উদ্দেশ্যের মধ্যকার সামাজিক উদ্দেশ্যের প্রতিফলন ঘটেছে। আল্লাহ তায়ালা মানুষকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। আর আল্লাহর প্রতিনিধি হিসেবে পৃথিবীতে মানুষের বিশেষ কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। ইসলাম শিক্ষার মাধ্যমে মানুষ সেসব দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সঠিক জ্ঞানলাভ করতে পারে। যা ছকের 'খ' দলের আলোচনায় ফুটে উঠেছে।
ইসলাম শিক্ষার উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর দীন ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করা। তাছাড়া এ শিক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো- মানুষকে ইসলামের দাওয়াত দেওয়া, ভালো কাজের আদেশ দেওয়া এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখা। সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধ করা মুসলমানদের পবিত্র দায়িত্ব। এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, 'তোমরা উত্তম জাতি। মানুষের কল্যাণের জন্যই তোমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে। তোমরা সৎকাজের আদেশ দেবে ও মন্দকাজে নিষেধ করবে' (সুরা আলে ইমরান: ১১০)। ইসলাম শিক্ষার অন্যতম সামাজিক উদ্দেশ্য হলো হালাল-হারাম সম্পর্কে সঠিক জ্ঞানার্জন করা। এর ফলে ব্যক্তি হালাল উপার্জন করতে উৎসাহিত হবে এবং হারাম উপার্জন থেকে বিরত থাকবে। কেননা হালাল উপার্জন, ইবাদত কবুল হওয়ার প্রধান শর্ত। ইসলামের শিক্ষা সঠিকভাবে মেনে চলার মাধ্যমে পরকালীন মুক্তির পাশাপাশি দুনিয়ার জীবনেও কল্যাণ লাভ করা যায়।
উদ্দীপকের 'খ' দলের শিক্ষার্থীদের আলোচনায় উপরের বিষয়গুলোই ফুটে উঠেছে। তাই বলা যায়, তাদের আলোচনায় ইসলাম শিক্ষার সামাজিক উদ্দেশ্যের প্রতিফলন ঘটেছে।