হাবিবুর রহমান সাহেব প্রতিদিন সকালবেলা মসজিদের বারান্দায় মুসলিম শিশুদেরকে ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলো শিক্ষা দেন। তিনি তাদেরকে শুদ্ধভাবে কুরআন তেলাওয়াত, হাদিস, নামাজের নিয়মকানুন, বিভিন্ন দোয়া-মোনাজাত ও আদব-কায়দা শেখান। শিশুরা একে অপরের সাথে বন্ধুর মতো আচরণ করে। তারা তাদের শিক্ষক ও পিতামাতাকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও মান্য করে।
ইসলামি শিক্ষাব্যবস্থায় মক্তবের গুরুত্ব অপরিসীম। মুসলিম শিশুদের ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষাদানে মস্তব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এখানে তাদেরকে অক্ষরজ্ঞান ও ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলোর প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়া হয়। মুসলিম ছেলেমেয়েদের মানসিক বিকাশে মক্তব ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন একসাথে একই স্থানে বসে পড়াশুনা করায় তাদের পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা ও মমত্ববোধ গড়ে উঠে। তারা গুরুজনদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে শেখে। যেমনটি উদ্দীপকের শিশুদের ক্ষেত্রে লক্ষ করা যায়।
উদ্দীপকের, হাবিবুর রহমান সাহেবের প্রতিষ্ঠানের শিশুরা একে অপরের সাথে বন্ধুর মতো আচরণ করে। তারা তাদের শিক্ষক ও পিতামাতাকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও মান্য করে। শিশুদের এসব আচরণের মাধ্যমে মক্তবের ইতিবাচক ভূমিকা ফুটে উঠেছে। মক্তব মুসলিম শিশুদের একটি প্রাথমিক পাঠশালা। এখানেই শিশুদেরকে ভবিষ্যতের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণের জন্য প্রস্তুত করা হয়। মক্তবেই শিশুর পড়ার অভ্যাস গড়ে উঠে। মক্তবের শিক্ষা শিশুকে শৈশবেই নীতিবান করে তোলে। সত্য-মিথ্যা, ভালো-মন্দ, পবিত্রতা-অপবিত্রতা, হালাল-হারাম প্রভৃতি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় প্রাথমিক জ্ঞান শিশুরা এখানেই পেয়ে থাকে। শিক্ষার্থীকে ইবাদতে অভ্যস্ত হওয়ার প্রয়োজনীয় শিক্ষা এখানেই দেওয়া হয়। মক্তবেই শিশু ভবিষ্যতের জন্য ভালো কিছু করার এবং সুনাগরিক হওয়ার প্রেরণা পায়।
উপরের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, মুসলিম শিশুর ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষালাভ, মানসিক বিকাশ ও সামাজিকীকরণে মক্তবের ভূমিকা অপরিসীম।