Academy

জয়নাল সাহেব দেশের বাইরে থাকা অবস্থায় তার একটি পুত্রসন্তান জন্মগ্রহণ করে। তখন পরিবারের সদস্যরা খুশি হয়ে ব্যাপক নাচ-গানের আয়োজন করে এবং তার অনৈসলামিক একটি নাম রাখে। কিছুদিন পর জয়নাল সাহেব দেশে এসে বিষয়টি জানতে পেরে খুব অসন্তুষ্ট হন এবং পরিবারের সদস্যদের সতর্ক করে বলেন- 'তোমরা ইসলামি সংস্কৃতি বর্জন করেছ। মুসলিম সন্তানের জীবন শুরু করতে হয় ইসলামি সংস্কৃতির মাধ্যমে।' 

ইসলামি সংস্কৃতি বর্জনের কথা বলে জয়নাল সাহেব কোন বিষয়গুলোর প্রতি ইঙ্গিত করেছেন? ব্যাখ্যা করো। (প্রয়োগ)

Created: 8 months ago | Updated: 8 months ago
Updated: 8 months ago
Answer :

ইসলামি সংস্কৃতি বর্জনের কথা বলে জয়নাল সাহেব সন্তান জন্মের পর তার কানে আজান ও ইকামত না দেওয়া, আকিকা না করা এবং অনৈসলামিক নাম রাখার প্রতি ইঙ্গিত করেছেন।

ইসলামি সংস্কৃতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো জন্মের পর শিশুর ডান কানে আজান ও বাম কানে ইকামত দেওয়া। শিশুর আকিকা করা ও সুন্দর ইসলামি নাম রাখাও ইসলামি সংস্কৃতির বিশেষ দিক। এ প্রসঙ্গে রাসুল (স) বলেন- 'যখন শিশুর জন্ম হয়, তার একটি সুন্দর নাম রাখো' (বায়হাকি)। তিনি আরও বলেন- 'সন্তানের জন্য আকিকা আবশ্যক। সুতরাং তার পক্ষে রক্ত প্রবাহিত করো এবং তার কষ্ট দূর করো' (বুখারি)। সন্তান জন্মের ৭ম, ১৪তম বা ২১তম দিনে আকিকা দেওয়া সুন্নত। জয়নাল সাহেবের সন্তান জন্মগ্রহণের পর তার পরিবারের সদস্যরা ইসলামি সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ এ কাজগুলো সম্পন্ন করেনি। তারা এর পরিবর্তে অনৈসলামিক কাজগুলো করেছে।

উদ্দীপকে দেখা যায়, জয়নাল সাহেবের পুত্রসন্তান জন্মগ্রহণ করার পর তার পরিবারের সদস্যরা খুশি হয়ে ব্যাপক নাচ-গানের আয়োজন করে এবং তার অনৈসলামিক একটি নাম রাখে। তাদের এসব কাজ ইসলামি সংস্কৃতির সম্পূর্ণ পরিপন্থি। তাই বলা যায়, ইসলামি সংস্কৃতি বর্জনের কথা বলে জয়নাল সাহেব উল্লিখিত বিষয়গুলোর প্রতি ইঙ্গিত করেছেন।

8 months ago

ইসলাম শিক্ষা

**'Provide valuable content and get rewarded! 🏆✨**
Contribute high-quality content, help learners grow, and earn for your efforts! 💡💰'
Content
Promotion