জয়নাল সাহেব দেশের বাইরে থাকা অবস্থায় তার একটি পুত্রসন্তান জন্মগ্রহণ করে। তখন পরিবারের সদস্যরা খুশি হয়ে ব্যাপক নাচ-গানের আয়োজন করে এবং তার অনৈসলামিক একটি নাম রাখে। কিছুদিন পর জয়নাল সাহেব দেশে এসে বিষয়টি জানতে পেরে খুব অসন্তুষ্ট হন এবং পরিবারের সদস্যদের সতর্ক করে বলেন- 'তোমরা ইসলামি সংস্কৃতি বর্জন করেছ। মুসলিম সন্তানের জীবন শুরু করতে হয় ইসলামি সংস্কৃতির মাধ্যমে।'
মুসলিম সন্তানের জীবন শুরু করতে হয় ইসলামি সংস্কৃতির মাধ্যমে- জয়নাল সাহেবের উক্তিটি যথার্থ। মুসলিম সন্তানের জন্ম থেকে শুরু করে জীবনের প্রতিটি কাজই ইসলামের আদর্শ ও রীতি অনুযায়ী হতে হবে। ইসলামি সংস্কৃতির রীতি অনুযায়ী কোনো মুসলিম শিশু জন্মগ্রহণ করলে তার ডান কানে আজান ও বাম কানে ইকামত দেওয়া, অর্থবহ সুন্দর নাম রাখা ও আকিকা করতে হয়।
উদ্দীপকে দেখা যায়, জয়নাল সাহেবের সন্তানের জন্মের পর ইসলামি রীতিগুলো অনুসরণ করা হয়নি। নাচ-গানের আয়োজন, অনৈসলামিক নাম রাখা প্রভৃতির মাধ্যমে ইসলামি সংস্কৃতি বর্জন করা হয়েছে। অথচ মুসলিম সন্তানের জন্মের পর ইসলামি রীতিনীতি অনুযায়ী তাকে লালন-পালন করতে হয়। ইসলামের আদর্শ এবং রীতিনীতিকে ঘিরেই এ সংস্কৃতি গড়ে ওঠে। আর এ সংস্কৃতির চর্চা শুরু হয় জীবনের প্রথম পর্যায় থেকেই এবং । মুসলিমদের পুরো জীবনেই ইসলামি আদর্শ ও মূল্যবোধ অব্যাহত থাকে। মুসলিমের জন্ম-মৃত্যু, লেনদেন, দেখা-সাক্ষাৎ, দৈনন্দিন জীবনের সবক্ষেত্রেই এ সংস্কৃতি বিরাজমান। এমনকি মৃত্যুর পর জানাজা করাও ইসলামি সংস্কৃতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক।
উপরের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, মুসলিম শিশুর জন্মের পর থেকেই ইসলামি সংস্কৃতির অনুসরণ করতে হয়। সন্তানের লালনপালন, বেড়ে ওঠা, চলাফেরা, শিক্ষালাভ সবকিছুই ইসলামের আদর্শ ও মূল্যবোধ অনুযায়ী করতে হয়। তাই জয়নাল সাহেবের উক্তিটিকে যথার্থ বলা যায়।