আব্দুল্লাহ ও জায়েদ এসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে ভর্তি এবং বিষয় নির্বাচন নিয়ে তারা আলোচনা করছিল। আব্দুল্লাহ বলল, পার্থিব জীবনে উন্নতির শিখরে পৌঁছা যায় এমন কয়েকটি বিষয় নিয়ে আমি পড়তে চাই। উচ্চ মাধ্যমিকে ইসলাম শিক্ষা পড়তে চাই না। জায়েদ বলল, ইসলাম শিক্ষা পৃথিবী ও আখিরাতের সমন্বিত শিক্ষা। তাওহিদ, রিসালাত, ইবাদত-বন্দেগি, নৈতিকতাসহ সকল বিষয়ের জ্ঞানার্জনের জন্য আমি ইসলাম শিক্ষা অধ্যয়ন করতে চাই।
জায়েদের উক্তিতে ইসলামি শিক্ষার স্বরূপ ফুটে উঠেছে, যা সম্পূর্ণ সঠিক।
ইসলামি শিক্ষা দুনিয়া ও আখিরাতের সমন্বিত শিক্ষা। এ শিক্ষায় পার্থিব জগতের কল্যাণকে গুরুত্বহীন মনে করা হয় না। সাথে সাথে আখিরাতের জীবনকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে দোয়া শিক্ষা, দিয়েছেন- হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের দুনিয়ার জীবনে কল্যাণ দাও, পরকালেও দাও আর রক্ষা কর জাহান্নামের আজাব থেকে। (সুরা বাকারা: ২০১)
এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, ইসলামি শিক্ষা দুনিয়া ও আখিরাতের সমন্বিত শিক্ষা, যা জায়েদের বক্তব্যে ফুটে উঠেছে। তাছাড়া জায়েদের বক্তব্য অনুযায়ী এ শিক্ষা তাওহিদ ও রিসালাতভিত্তিক। তার এ বক্তব্য সঠিক। কারণ এ শিক্ষার মূলকথা হলো- আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ (স) আল্লাহর রাসুল। এ কালিমার প্রথম অংশে আমরা তাওহিদের ঘোষণা দেই আর শেষাংশে ঘোষণা দেই রিসালাতের।
তাছাড়া এ শিক্ষা ইবাদতকেন্দ্রিক। এ শিক্ষা আমাদেরকে অবহিত করে যে, আল্লাহ আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদতের জন্য। সুতরাং বলা যায়, জায়েদের উক্তিটিতে মূলত ইসলামি শিক্ষার এ শাশ্বত স্বরূপটিই ফুটে উঠেছে।