আব্দুল্লাহ ও জায়েদ এসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে ভর্তি এবং বিষয় নির্বাচন নিয়ে তারা আলোচনা করছিল। আব্দুল্লাহ বলল, পার্থিব জীবনে উন্নতির শিখরে পৌঁছা যায় এমন কয়েকটি বিষয় নিয়ে আমি পড়তে চাই। উচ্চ মাধ্যমিকে ইসলাম শিক্ষা পড়তে চাই না। জায়েদ বলল, ইসলাম শিক্ষা পৃথিবী ও আখিরাতের সমন্বিত শিক্ষা। তাওহিদ, রিসালাত, ইবাদত-বন্দেগি, নৈতিকতাসহ সকল বিষয়ের জ্ঞানার্জনের জন্য আমি ইসলাম শিক্ষা অধ্যয়ন করতে চাই।
আব্দুল্লাহ ইসলামি শিক্ষার গুরুত্ব ও তাৎপর্যগত দিকটি উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়নি। তাই তার বক্তব্যটির সাথে আমি একমত নই। ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা। মানুষের জীবনের প্রতিটি দিক ও বিভাগের সামগ্রিক দিক নির্দেশনা এতে রয়েছে। আর ইসলামি শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমেই মানুষ এ নির্দেশনা পেতে পারে। এ শিক্ষা মানুষকে পার্থিব ও বৈষয়িক উন্নতির নির্দেশনা প্রদান করে।
ইসলামি শিক্ষা অধ্যয়ন করে পার্থিব জগতে উন্নতির সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছা সম্ভব। একই সাথে এ শিক্ষা অধ্যয়নের মাধ্যমে | আখিরাতের শান্তি ও মুক্তি লাভ করা যায়। ইসলামি শিক্ষা আমাদেরকে পার্থিব জগতের উন্নতি করতে নিরুৎসাহিত করে না, বরং উৎসাহিত করে।
এ শিক্ষা অধ্যয়নের মাধ্যমে বৈধ পন্থায় উন্নতির সর্বোচ্চ শিখরে আরোহণ করতে কোনো বাধা নেই। উদ্দীপকের আব্দুল্লাহ পার্থিব জীবনে উন্নতির শিখরে পৌঁছে যায় এমন একটি বিষয় নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক অধ্যয়ন করতে চায়। সে ইসলাম শিক্ষা বিষয় নিয়ে পড়তে অনাগ্রহ প্রকাশ করে, যা অনুচিত। উপরের আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, ইসলামি শিক্ষা একটি সমন্বিত শিক্ষা। এ শিক্ষা অর্জন করে একজন ব্যক্তি বৈষয়িক কল্যাণ অর্জনের পাশাপাশি আখিরাতে মুক্তি অর্জন করতে পারে। কিন্তু আব্দুল্লাহর উক্তিটি এ চরম সত্যকে অস্বীকার করে। তাই তার বক্তব্যটি আমি সমর্থন করি না।