শামীম ও শাহীন ইসলামি শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করছিল। শামীম বলল, ইসলামে শিক্ষার গুরুত্ব এতই বেশি যে, আল্লাহ তায়ালা মহানবি (স) এর ওপর সর্বপ্রথম যে ওহি নাজিল করেছেন, তাতে বলা হয়েছে 'তুমি পড়ো'। শাহীন বলল, আল্লাহ তায়ালা ইসলামি শিক্ষা অর্জনকারীদের পছন্দ করেন। ফেরেশতারা তাদের জন্য পাখা বিছিয়ে দেন। ইসলামি শিক্ষা অর্জনকারীকে আল্লাহ সহজেই ক্ষমা করেন।
শামীমের উক্তিটিতে ইসলামি শিক্ষা গ্রহণের গুরুত্ব প্রকাশিত হয়েছে।
আল্লাহ তায়ালা সুরা আলাকের প্রথম পাঁচটি আয়াত মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স) এর ওপর সর্বপ্রথম নাজিল করেন। আয়াতের প্রথম শব্দটি হলো اقرأ 'তুমি পড়ো'। আল্লাহ তায়ালা সর্বপ্রথম বলেননি, 'ইবাদত করো' বরং বলেছেন, 'পড়ো'। এ দ্বারা স্পষ্টত বোঝা যাচ্ছে, ইসলামি শিক্ষা সবার আগে। বস্তুত ইসলামি জ্ঞানার্জন ব্যতীত ইবাদত করলে তাতে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর ভুল পদ্ধতিতে ইবাদত করলে তা দ্বারা সুফল লাভ করা যায় না। সে কারণে ইসলামে জ্ঞানার্জনকে সবকিছুর আগে স্থান দেওয়া হয়েছে।
ইসলামি শিক্ষা গ্রহণ তথা জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি ইসলামের বিধান অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করতে সক্ষম হবে। জীবনের প্রতিটি কাজে আল্লাহর সন্তুষ্টিকে স্থান দিয়ে কাজ করতে পারবে। আর এভাবে কাজ করলে, তা ইবাদত হিসেবে পরিগণিত হবে। শাহীনের উক্তিটি মূলত ইসলামি শিক্ষা অর্জনের এ গুরুত্বের দিকটি প্রতিফলিত করে, যা কুরআন হাদিসের ভিত্তিতে অত্যন্ত যৌক্তিক।