শামীম ও শাহীন ইসলামি শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করছিল। শামীম বলল, ইসলামে শিক্ষার গুরুত্ব এতই বেশি যে, আল্লাহ তায়ালা মহানবি (স) এর ওপর সর্বপ্রথম যে ওহি নাজিল করেছেন, তাতে বলা হয়েছে 'তুমি পড়ো'। শাহীন বলল, আল্লাহ তায়ালা ইসলামি শিক্ষা অর্জনকারীদের পছন্দ করেন। ফেরেশতারা তাদের জন্য পাখা বিছিয়ে দেন। ইসলামি শিক্ষা অর্জনকারীকে আল্লাহ সহজেই ক্ষমা করেন।
শাহীনের উক্তিটিতে ইসলামি শিক্ষার গুরুত্ব অত্যন্ত সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। শাহীনের প্রথম বাক্য, আল্লাহ তায়ালা ইসলামি শিক্ষা অর্জনকারীকে পছন্দ করেন। তার এ বক্তব্যটি হাদিসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। মহানবি (স) বলেছেন- আল্লাহ যার কল্যাণ চান তাকে দীনের গভীর জ্ঞানদান করেন। (বুখারি-মুসলিম) অর্থাৎ, আল্লাহ যাকে পছন্দ করেন, তাকেই তিনি ইসলামি শিক্ষায় পাণ্ডিত্য দান করেন। শাহীন দ্বিতীয় বাক্যে বলেছেন, ইসলামি শিক্ষা অর্জনকারীর জন্য ফেরেশতারা পাখা বিছিয়ে দেন। এ কথাটি শাহীন বলেছে হাদিসের আলোকে। রাসুলুল্লাহ (স) বলেছেন, ইলম (ইসলামি শিক্ষা) অর্জনকারীর প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে ফেরেশতারা তাদের জন্য নিজেদের পাখা বিছিয়ে দেন। শাহীন তৃতীয় বাক্যে বলেছে, ইসলামি শিক্ষা অর্জনকারীকে আল্লাহ সহজেই ক্ষমা করেন। তার এ বাক্যটির সাথে হাদিসের হুবহু মিল রয়েছে। রাসুলুল্লাহ (স) বলেছেন, যে ব্যক্তি ইসলামি ইলম অর্জন করে, তার অর্জিত ইলম তার পূর্বের কৃত পাপসমূহ মাফের জন্য কাফফারাস্বরূপ। অর্থাৎ ইসলামি শিক্ষা অর্জনের ফলে পূর্বের গুনাহ মাফ হয়ে যায়।
উপর্যুক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, ইসলামি শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে শাহীনের উক্তিটি সম্পূর্ণ সঠিক এবং যথার্থ।