ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে এলাকার চেয়ারম্যান জনাব আ. হালিম তার নিজ ছেলেকে বেদম প্রহার করেন। ছেলেকে ভালো পথে ফিরিয়ে আনতে তার প্রচেষ্টার অন্ত নেই। নিজ ছেলের উপযুক্ত বিচার করায় এলাকাবাসীও তার ওপর সন্তুষ্ট। তিনি এলাকাবাসীকে বলেন, রাসুল (স) তো আমাদের এ শিক্ষাই দিয়েছেন। আমিও চেষ্টা করছি সত্য দীন প্রচার ও প্রসারের। একজন প্রতিনিধি হিসেবে এটা আমার কর্তব্য।
হ্যাঁ, জনাব আ. হালিমের মধ্যে ইসলাম ও নৈতিকতার সমন্বয় ঘটেছে।
নৈতিকতা হলো ঐ সকল মাপকাঠি যা দ্বারা মানুষের স্বাভাবিক, ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে সংঘটিত কাজগুলোকে ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় দৃষ্টিকোণ থেকে ন্যায়, নাকি অন্যায় তা পরিমাপ করা যায়। খুব স্বাভাবিকভাবেই জনাব হালিমের কাজের দ্বারা ইসলামি নৈতিকতার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
ইসলাম শিক্ষা মূলত ইসলামি নৈতিক শিক্ষা। এ শিক্ষা মানুষকে শাশ্বত সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করে। মানুষ মিথ্যা, প্রতারণা, পাপাচার, খিয়ানত, জুলুম, পরনিন্দা, ফিতনা ফ্যাসাদ প্রভৃতি থেকে মুক্ত হয়ে উন্নত নৈতিক চরিত্রে ভূষিত হয়। ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার দায়ে আ. হালিম সাহেব তার ছেলেকে বেদম প্রহার করেছেন, আর এটি ইসলামি নৈতিক শিক্ষার সাথে পুরোপুরিই মিলে যায়। ইসলাম শিক্ষার অন্যতম লক্ষ্য হলো মানুষের নিকট ইসলামের দাওয়াত দেওয়া, মন্দ কাজ থেকে বিরত রেখে ভালো কাজে উৎসাহিত করা। কেননা এটা মুসলমানের অন্যতম দায়িত্ব। ইসলামি নৈতিক শিক্ষার বলে বলীয়ান আ. হালিমের কণ্ঠেও প্রতিধ্বনিত হচ্ছে- 'রাসুল (স) তো আমাদের এ শিক্ষাই দিয়েছেন। আমি চেষ্টা করছি সত্য দীন প্রচার ও প্রসারের। একজন প্রতিনিধি হিসেবে এটা আমার কর্তব্য।'
উপর্যুক্ত আলোচনার আলোকে বলা যায় যে, আব্দুল হালিম সাহেবের মধ্যে ইসলাম ও নৈতিকতার সুসমন্বয় ঘটেছে। আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত ইসলামি নৈতিকতার শিক্ষা নিয়ে বাস্তব জীবনে অনুশীলন করা।