ষ-ত্ব বিধানের চারটি নিয়ম লেখ।
নিয়ম | উদাহরণ |
'ঋ', ঋ (ৃ) কার এবং 'র' (`,্র) এর পর 'ষ' হয়। | ঋষি, কৃষক, উৎকৃষ্ট, দৃষ্টি, সৃষ্টি, বর্ষা, ঘর্ষণ, বর্ষণ ইত্যাদি। |
ট-বর্গীয় ধ্বনির সঙ্গে যুক্তবর্ণ হিসেবে 'ষ' যুক্ত হয়। | কষ্ট, স্পষ্ট, নষ্ট, কাষ্ঠ, ওষ্ঠ ইত্যাদি। |
কতগুলো শব্দে স্বভাবতই 'ষ' হয়। | ষড়ঋতু, রোষ, কোষ, আষাঢ়, ভাষণ, ভাষা, উষা, পৌষ, কলুষ, পাষাণ, মানুষ, ঔষধ, ষড়যন্ত্র, ভূষণ, দ্বেষ, পাষণ্ড, বাষ্প, ষোড়শ ইত্যাদি। |
মূল সংস্কৃত শব্দে মূর্ধন্য-ষ থাকলে তা থেকে আগত বাংলা শব্দেও মূর্ধন্য-ষ থাকা বাঞ্ছনীয়। | পোষ (পৌষ), পোষা (পোষণ), ঘষা (ঘর্ষণ) ইত্যাদি। |
সম্ভাষণসূচক শব্দে এ-কারের পর মূর্ধন্য-ষ হয়। | কল্যাণীয়েষু, প্রীতিভাজনেষু, প্রিয়বরেষু, বন্ধুবরেষু, শ্রদ্ধাভাজনেষু, শ্রদ্ধাস্পদেষু, শ্রীচরণেষু, সুজনেষু, সুহৃদবরেষু ইত্যাদি। |
সন্ধিতে বিসর্গযুক্ত ই-কার বা উ-কারের পর কখপফ-এর যে কোনোটি থাকলে বিসর্গের স্থানে মূর্ধন্য-ষ হয়। এই নিয়মে নিচের শব্দগুলোতে 'ষ' হয়েছে। | আবিষ্কার, জ্যোতিষ্ক, নিষ্কণ্টক, নিষ্কলঙ্ক, নিষ্কর, নিষ্কৃতি, নিষ্পত্তি, নিষ্ক্রমণ, নিষ্প্রদীপ, নিষ্প্রভ, নিষ্ক্রিয়, নিষ্পত্র, নিষ্পন্ন, নিষ্পাপ। |
যুক্তব্যঞ্জন গঠনের ক্ষেত্রে ট এবং ঠ বর্ণের পূর্ববর্তী শিসধ্বনি হিসেবে শুধু মূর্ধন্য-ষ যুক্ত হয়। | অদৃষ্ট, অনাসৃষ্টি, অনির্দিষ্ট, অনিষ্ট, অন্তর্দৃষ্টি, অপচেষ্টা, আষ্টেপৃষ্ঠে, ইষ্ট, উৎকৃষ্ট, উপদেষ্টা, উপবিষ্ট, উষ্ট্র, একদৃষ্টে, দৃষ্টি, দ্রষ্টব্য, ধৃষ্টতা, নষ্ট। |
ই-কারান্ত এবং উ-কারান্ত উপসর্গের পর কতগুলো ধাতুতে 'ষ' হয়। | অভিসেক > অভিষেক, সুসুপ্ত > সুষুপ্ত, অনুসঙ্গ অনুষঙ্গ, প্রতিসেধক> প্রতিষেধক, প্রতিস্থান > প্রতিষ্ঠান, অনুস্থান> অনুষ্ঠান, বিসম > বিষম, সুসমা > সুষমা ইত্যাদি। |
আরবি, ফারসি, ইংরেজি ইত্যাদি বিদেশি ভাষা থেকে আগত শব্দে 'ষ' হয় না। | জিনিস, পোশাক, মাস্টার, পোস্ট ইত্যাদি। |
সংস্কৃত 'সাৎ' প্রত্যয়যুক্ত পদেও 'ষ' হয় না। | অগ্নিসাৎ, ধূলিসাৎ, ভূমিসাৎ ইত্যাদি। |