Admission

উচ্চারণের রীতি অনুসারে ব্যঞ্জনধ্বনির চারটি শ্রেণিবিভাগ বর্ণনা কর।

Created: 1 month ago | Updated: 1 month ago
Updated: 1 month ago
শ্রেণিবিভাগ বৈশিষ্ট্য উদাহরণ 
স্পৃষ্ট ব্যঞ্জন 

যেসব ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময়ে দুটি বাপ্রত্যঙ্গ পরস্পরের সংস্পর্শে এসে বায়ুপথে বাধা তৈরি করে, সেগুলোকে স্পৃষ্ট ব্যঞ্জন বলে। এগুলো স্পর্শ ব্যঞ্জনধ্বনি নামেও পরিচিত। 

উচ্চারণস্থান অনুযায়ী এগুলোকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়। 

কণ্ঠ স্পৃষ্ট ব্যঞ্জন: ক, খ, গ, ঘ 
তালু স্পৃষ্ট ব্যঞ্জন: চ, ছ, জ, ঝ 
মূর্ধা স্পৃষ্ট ব্যঞ্জন: ট, ঠ, ড, ঢ 
দন্ত স্পৃষ্ট ব্যঞ্জন: ত, থ, দ, ধ 
ওষ্ঠ স্পৃষ্ট ব্যঞ্জন: প, ফ, ব, ভ
নাসিক্য ব্যঞ্জন যেসব ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময়ে ফুসফুস থেকে আসা বাতাস মুখের মধ্যে প্রথমে বাধা পায় এবং নাক ও মুখ দিয়ে বেরিয়ে যায়, সেসব ধ্বনিকে নাসিক্য ব্যঞ্জন বলে। ঙ, ন, ম
উষ্ম ব্যঞ্জন 

যেসব ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময়ে দুটি বাপ্রত্যঙ্গ কাছাকাছি এসে নিঃসৃত বায়ুতে ঘর্ষণ সৃষ্টি করে, সেগুলোকে উষ্ম ব্যঞ্জন বলে।

উচ্চারণস্থান অনুসারে উষ্ম ব্যঞ্জন ধ্বনিগুলোকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়: 

দন্তমূলীয় (স), তালব্য (শ) এবং কণ্ঠনালীয় (হ)। 

সালাম, শসা, হুঙ্কার প্রভৃতি শব্দের স, শ, হ উষ্ম ধ্বনির উদাহরণ। 

স এবং শ-কে আলাদাভাবে শিস ধ্বনিও বলা হয়ে থাকে। কারণ স, শ উচ্চারণে শ্বাস অনেকক্ষণ ধরে রাখা যায় এবং শিসের মতো আওয়াজ হয়। 

পার্শ্বিক ব্যঞ্জন যে ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময়ে জিভের ডগা দন্তমূল স্পর্শ করে এবং ফুসফুস থেকে আসা বাতাস জিভের দুই পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়, তাকে পার্শ্বিক ব্যঞ্জন বলে। 'ল' পার্শ্বিক ব্যঞ্জনধ্বনির উদাহরণ। 
কম্পিত ব্যঞ্জন যে ধ্বনি উচ্চারণের সময়ে জিভ একাধিক বার অতি দ্রুত দন্তমূলকে আঘাত করে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে, তাকে কম্পিত ব্যঞ্জন বলে। 'র' কম্পিত ব্যঞ্জনধ্বনির উদাহরণ। 
তাড়িত ব্যঞ্জন যে ধ্বনি উচ্চারণের সময়ে জিভের সামনের অংশ দন্তমূলের একটু উপরে অর্থাৎ মূর্ধায় টোকা দেওয়ার মতো করে একবার ছুঁয়ে যায়, তাকে তাড়িত ব্যঞ্জন বলে। 'ড়' ও 'ঢ়' তাড়িত ব্যঞ্জনধ্বনির উদাহরণ।
3 weeks ago

বাংলা

Please, contribute to add content.
Content
Promotion