উচ্চারণের রীতি অনুসারে ব্যঞ্জনধ্বনির চারটি শ্রেণিবিভাগ বর্ণনা কর।
শ্রেণিবিভাগ | বৈশিষ্ট্য | উদাহরণ |
স্পৃষ্ট ব্যঞ্জন | যেসব ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময়ে দুটি বাপ্রত্যঙ্গ পরস্পরের সংস্পর্শে এসে বায়ুপথে বাধা তৈরি করে, সেগুলোকে স্পৃষ্ট ব্যঞ্জন বলে। এগুলো স্পর্শ ব্যঞ্জনধ্বনি নামেও পরিচিত। উচ্চারণস্থান অনুযায়ী এগুলোকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়। | কণ্ঠ স্পৃষ্ট ব্যঞ্জন: ক, খ, গ, ঘ |
তালু স্পৃষ্ট ব্যঞ্জন: চ, ছ, জ, ঝ | ||
মূর্ধা স্পৃষ্ট ব্যঞ্জন: ট, ঠ, ড, ঢ | ||
দন্ত স্পৃষ্ট ব্যঞ্জন: ত, থ, দ, ধ | ||
ওষ্ঠ স্পৃষ্ট ব্যঞ্জন: প, ফ, ব, ভ | ||
নাসিক্য ব্যঞ্জন | যেসব ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময়ে ফুসফুস থেকে আসা বাতাস মুখের মধ্যে প্রথমে বাধা পায় এবং নাক ও মুখ দিয়ে বেরিয়ে যায়, সেসব ধ্বনিকে নাসিক্য ব্যঞ্জন বলে। | ঙ, ন, ম |
উষ্ম ব্যঞ্জন | যেসব ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময়ে দুটি বাপ্রত্যঙ্গ কাছাকাছি এসে নিঃসৃত বায়ুতে ঘর্ষণ সৃষ্টি করে, সেগুলোকে উষ্ম ব্যঞ্জন বলে। উচ্চারণস্থান অনুসারে উষ্ম ব্যঞ্জন ধ্বনিগুলোকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়: দন্তমূলীয় (স), তালব্য (শ) এবং কণ্ঠনালীয় (হ)। | সালাম, শসা, হুঙ্কার প্রভৃতি শব্দের স, শ, হ উষ্ম ধ্বনির উদাহরণ। স এবং শ-কে আলাদাভাবে শিস ধ্বনিও বলা হয়ে থাকে। কারণ স, শ উচ্চারণে শ্বাস অনেকক্ষণ ধরে রাখা যায় এবং শিসের মতো আওয়াজ হয়। |
পার্শ্বিক ব্যঞ্জন | যে ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময়ে জিভের ডগা দন্তমূল স্পর্শ করে এবং ফুসফুস থেকে আসা বাতাস জিভের দুই পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়, তাকে পার্শ্বিক ব্যঞ্জন বলে। | 'ল' পার্শ্বিক ব্যঞ্জনধ্বনির উদাহরণ। |
কম্পিত ব্যঞ্জন | যে ধ্বনি উচ্চারণের সময়ে জিভ একাধিক বার অতি দ্রুত দন্তমূলকে আঘাত করে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে, তাকে কম্পিত ব্যঞ্জন বলে। | 'র' কম্পিত ব্যঞ্জনধ্বনির উদাহরণ। |
তাড়িত ব্যঞ্জন | যে ধ্বনি উচ্চারণের সময়ে জিভের সামনের অংশ দন্তমূলের একটু উপরে অর্থাৎ মূর্ধায় টোকা দেওয়ার মতো করে একবার ছুঁয়ে যায়, তাকে তাড়িত ব্যঞ্জন বলে। | 'ড়' ও 'ঢ়' তাড়িত ব্যঞ্জনধ্বনির উদাহরণ। |