Blog
Created: Sep 10, 2024, 11:32 AM Updated: Oct 18, 2024, 05:02 AM
1
7018

সেভেন সিস্টার্স ও বাংলাদেশ

সেভেন সিস্টার্স কি?

"সেভেন সিস্টার্স" (Seven Sisters) বা সাত বোন  হলো ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্যের সমষ্টিগত নাম। এই রাজ্যগুলো হলো:

  1. আসাম (Assam)
  2. অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh)
  3. মণিপুর (Manipur)
  4. মেঘালয় (Meghalaya)
  5. মিজোরাম (Mizoram)
  6. নাগাল্যান্ড (Nagaland)
  7. ত্রিপুরা (Tripura)

এই সাতটি রাজ্য ভৌগোলিক, সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যগতভাবে একে অপরের সাথে জড়িত। তাদের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি, ভাষা, এবং বিভিন্ন জাতিগত গোষ্ঠীর মেলবন্ধনের কারণে অঞ্চলটি অনন্য। এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পাহাড়, বনাঞ্চল, এবং আদিবাসী সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত।

"সেভেন সিস্টার্স" (Seven Sisters) বা সাত বোন বলতে কী বোঝায়? 

"সেভেন সিস্টার্স" বা "সাত বোন" বলতে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্যের একটি সমষ্টিগত পরিচয়কে বোঝানো হয়। এই সাতটি রাজ্য হলো:

  1. আসাম (Assam)
  2. অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh)
  3. মণিপুর (Manipur)
  4. মেঘালয় (Meghalaya)
  5. মিজোরাম (Mizoram)
  6. নাগাল্যান্ড (Nagaland)
  7. ত্রিপুরা (Tripura)

"সেভেন সিস্টার্স" এর ধারণা এবং গুরুত্ব:

সংহতি এবং ঐক্য: "সেভেন সিস্টার্স" নামটি এই রাজ্যগুলোর মধ্যে ভৌগোলিক, সাংস্কৃতিক, এবং অর্থনৈতিক সম্পর্কের প্রতীক। এগুলো একে অপরের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত, এবং প্রায় একই ধরনের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ভাগ করে নেয়।

ভৌগোলিক অবস্থান: এই রাজ্যগুলো ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে শিলিগুড়ি করিডর (চিকেনস নেক) নামক একটি সংকীর্ণ করিডরের মাধ্যমে সংযুক্ত। এই করিডরের বাইরে তারা ভুটান, তিব্বত, মিয়ানমার, এবং বাংলাদেশ দ্বারা পরিবেষ্টিত।

ভাষা ও সংস্কৃতি: "সেভেন সিস্টার্স" অঞ্চলের প্রতিটি রাজ্যই বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী, ভাষা, ও সংস্কৃতির অধিকারী। এই বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি তাদের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য এবং ঐক্যের প্রতীক।

অর্থনৈতিক ও কৌশলগত গুরুত্ব: এই সাতটি রাজ্য প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর, যেমন বনাঞ্চল, খনিজ সম্পদ, এবং জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের উৎস। তাদের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে তারা ভারতের জন্য সামরিক এবং অর্থনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

"সেভেন সিস্টার্স" নামকরণ:

"সেভেন সিস্টার্স" নামটি প্রথম প্রচলিত হয় ১৯৭২ সালে, যখন ত্রিপুরা, মেঘালয়, এবং মণিপুর স্বাধীন রাজ্যের মর্যাদা লাভ করে। সেই সময় আসামের সাংবাদিক জ্যোতি প্রকাশ সাইকিয়া এই নামটি জনপ্রিয় করে তোলেন এবং এটি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীরও সমর্থন পায়।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্যকে "সেভেন সিস্টার্স" বা "সাত বোন" নামে ডাকার ধারণা প্রথম প্রচলিত হয় ১৯৭২ সালে। এই নামটি ব্যবহার করেন সাংবাদিক জ্যোতি প্রকাশ সাইকিয়া, যিনি আসামের একজন বিশিষ্ট সাংবাদিক ছিলেন।

Getty Images
| ১৯৭৬-এ গুয়াহাটিতে কংগ্রেসের অধিবেশনে ইন্দিরা গান্ধী ও তার পুত্র সঞ্জয়। এই সভাতেই ‘সেভেন সিস্টার্স’ কথাটি ব্যবহার করেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী শরৎচন্দ্র সিনহা

১৯৭২ সালে মেঘালয়, মণিপুর, এবং ত্রিপুরা রাজ্যগুলি স্বতন্ত্র রাজ্যের মর্যাদা লাভ করে, যা এই অঞ্চলের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মানচিত্রে পরিবর্তন আনে। এর পরই উত্তর-পূর্বের এই সাতটি রাজ্যের মাঝে ভৌগোলিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক সংযোগকে তুলে ধরার জন্য এই নামকরণ করা হয়।

সেভেন সিস্টার্স নামটি এই অঞ্চলের ঐক্য এবং পারস্পরিক নির্ভরশীলতাকে প্রতীকীভাবে উপস্থাপন করে।

"সেভেন সিস্টার্স" বা "সাত বোন" নামটি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীরও পছন্দ হয়েছিল। ১৯৭২ সালে যখন মেঘালয়, মণিপুর, এবং ত্রিপুরা স্বতন্ত্র রাজ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন ইন্দিরা গান্ধী এই নামটিকে সমর্থন করেছিলেন। উত্তর-পূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্যের মধ্যে ঐক্য ও সংহতির প্রতীক হিসেবে এই নামটি গ্রহণ করা হয়, যা ঐ সময়ের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক পরিবর্তনকে চিহ্নিত করে। ইন্দিরা গান্ধী এই অঞ্চলগুলোর উন্নয়নের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন এবং এই নামকরণ তার সমর্থন পেয়েছিল।

"সেভেন সিস্টার্স" (Seven Sisters) বা সাত বোন এর আয়তন

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্য, যাকে "সেভেন সিস্টার্স" বলা হয়, তাদের মোট আয়তন প্রায় ২,৫৫,৫১১ বর্গকিলোমিটার। এই সাতটি রাজ্য ভারতের মোট ভূখণ্ডের প্রায় ৭ শতাংশ জুড়ে রয়েছে।

এগুলো হচ্ছে:

  1. আসাম – ৭৮,৪৩৮ বর্গকিলোমিটার
  2. অরুণাচল প্রদেশ – ৮৩,৭৪৩ বর্গকিলোমিটার
  3. মণিপুর – ২২,৩২৭ বর্গকিলোমিটার
  4. মেঘালয় – ২২,৪২৯ বর্গকিলোমিটার
  5. মিজোরাম – ২১,০৮১ বর্গকিলোমিটার
  6. নাগাল্যান্ড – ১৬,৫৭৯ বর্গকিলোমিটার
  7. ত্রিপুরা – ১০,৪৯১ বর্গকিলোমিটার

এই সাতটি রাজ্য ভারতের পাহাড়ি ও বনাঞ্চলপূর্ণ অঞ্চলগুলির মধ্যে পড়ে এবং এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য অনেক বৈচিত্র্যময়।

শিলিগুড়ি করিডর তথা ‘চিকেনস নেক’

শিলিগুড়ি করিডর, যা সাধারণত ‘চিকেনস নেক’ (Chicken's Neck) নামে পরিচিত, হলো একটি সংকীর্ণ ভূখণ্ড, যা ভারতের মূল ভূখণ্ডকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত করে। এই করিডরটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের শিলিগুড়ি শহরের নিকটবর্তী এলাকায় অবস্থিত।

শিলিগুড়ি করিডরের গুরুত্বপূর্ণ দিক:

প্রস্থ: এই করিডরের প্রস্থ প্রায় ২০ থেকে ২৪ কিলোমিটারের মধ্যে, যা এটিকে ভৌগোলিকভাবে অত্যন্ত সংকীর্ণ এবং কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে।

অবস্থান: এটি ভুটান, নেপাল, এবং বাংলাদেশের সীমানার কাছাকাছি অবস্থিত। শিলিগুড়ি করিডর ভারতের আসাম ও অন্যান্য উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে প্রবেশের একমাত্র প্রধান স্থলপথ সরবরাহ করে।

কৌশলগত গুরুত্ব: শিলিগুড়ি করিডর ভৌগোলিক ও সামরিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ভারতের মূল ভূখণ্ডের সাথে "সেভেন সিস্টার্স" রাজ্যগুলোর সংযোগের একমাত্র সরু করিডর। এই অঞ্চলটি চীনের সীমান্তের কাছাকাছি হওয়ায় আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্যও বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

ঝুঁকি: করিডরটি খুব সংকীর্ণ হওয়ায় কোনো সামরিক বা প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটলে এটি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে, যা উত্তর-পূর্ব ভারতের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে পারে।

শিলিগুড়ি করিডর বা 'চিকেনস নেক' ভারতের ভৌগোলিক, সামরিক এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য ভারত সরকার সবসময় বিশেষ নজর দিয়ে থাকে।

‘চিকেনস নেক’ (Chicken's Neck)

সেভেন সিস্টার্স ও বাংলাদেশ

বাংলাদেশ এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্য, যাকে "সেভেন সিস্টার্স" বলা হয়, ভূগোল, ইতিহাস, সংস্কৃতি, এবং অর্থনীতির ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। এই সাতটি রাজ্য হলো আসাম, অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, এবং ত্রিপুরা। এই রাজ্যগুলো বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব এবং পূর্ব সীমান্ত বরাবর অবস্থিত, যা দুই দেশের মধ্যে বিশেষ সংযোগের সুযোগ তৈরি করেছে।

" ‘সেভেন সিস্টার্সে’র সার্বিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির নেপথ্যে বিশেষ করে বিগত দেড় দশকে বাংলাদেশের ভূমিকা ছিল অপরিসীম।

বছর কয়েক আগে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে কথা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, “ভারতকে আমি যা দিয়েছি, তা তারা সারা জীবন মনে রাখবে!”

বহুল-আলোচিত সেই মন্তব্য নিয়ে পরে বহু চর্চা হলেও শেখ হাসিনা সে দিন ঠিক কী দেওয়ার কথা বলেছিলেন, তা কখনওই ভেঙে বলেননি বা স্পষ্ট করেননি।

কিন্তু দুই দেশেই পর্যবেক্ষক ও বিশ্লেষকরা ধারণা করে থাকেন, তিনি সেদিন সেভেন সিস্টার্সে শান্তি ও প্রগতি ফিরিয়ে আনার দিকেই ইঙ্গিত করেছিলেন– ভারতের যে অঞ্চলটি ঢাকায় ক্ষমতার পালাবদলের পর আবার নতুন করে আলোচনায়!

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল তথা সেভেন সিস্টার্স যে নিরাপত্তাগত দৃষ্টিতে গত এক দশকে অনেকটাই স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ– তার পেছনে শেখ হাসিনা সরকারের অবদান ভারতের কর্মকর্তা ও পর্যবেক্ষকরাও তাই অকুণ্ঠে স্বীকার করেন।

সেভেন সিস্টার্সের জন্য শেখ হাসিনা সরকারের আর একটি বড় উপহার ছিল বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ভারতকে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া।

এই দুটি বন্দর ব্যবহারের সুযোগ স্থলবেষ্টিত সেভেন সিস্টার্সকে শুধু সামুদ্রিক বাণিজ্যের নতুন দিগন্তই খুলে দেয়নি, ভারতের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে ভৌগোলিক দূরত্বও অনেক কমিয়ে দিয়েছে। মাতারবাড়ি বন্দর চালু হলে সেই সুযোগ আরও বাড়বে নিশ্চিতভাবে।

মিয়ানমারের মধ্যে দিয়ে ভারত যে কালাদান মাল্টিমোডাল প্রোজেক্ট বাস্তবায়নের কাজে হাত দিয়েছিল, সেটার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তাও অনেক কমে গিয়েছিল বাংলাদেশ সরকারের ওই সিদ্ধান্তের ফলে। " সূত্র : বিবিসি

সেভেন সিস্টার (Seven Sisters) : নর্থ-ইস্ট ইন্ডিয়া ও বাংলাদেশ

বাংলাদেশ এবং সেভেন সিস্টার্সের সম্পর্কের কয়েকটি দিক:

ভৌগোলিক সংযোগ:

  • বাংলাদেশের সাথে সেভেন সিস্টার্সের কয়েকটি রাজ্যের সীমান্ত রয়েছে। বিশেষ করে ত্রিপুরা, আসাম, মেঘালয়, এবং মিজোরামের সাথে বাংলাদেশের সীমান্ত ভাগাভাগি রয়েছে।
  • এই সংযোগ দুই অঞ্চলের মধ্যে বাণিজ্য, যাতায়াত এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ের সুযোগ করে দেয়।

ইতিহাস:

  • ভারত-পাকিস্তান বিভক্তির আগে, এই অঞ্চলগুলো বাংলাদেশের সাথে একটি একক ভৌগোলিক সত্তা ছিল (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান এবং আসাম সহ), যা দুই অঞ্চলের মধ্যে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ককে জোরালো করেছে।
  • ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ত্রিপুরা, আসাম, এবং মেঘালয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের শিবির ছিল, এবং এখান থেকে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা পরিচালনা করতেন।

বাণিজ্য ও পরিবহন:

  • বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর সঙ্গে ভারতের বাকি অংশের যোগাযোগ সহজতর করা হয়েছে।
  • আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ, চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের অনুমতি এবং বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে অন্যান্য পরিবহন সুবিধা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য বড় ধরনের অর্থনৈতিক সুবিধা হিসেবে বিবেচিত হয়।
  • ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর অনেক পণ্য বাংলাদেশ হয়ে রপ্তানি এবং আমদানির সুবিধা পায়, যা বাণিজ্যিক সহযোগিতাকে আরও বাড়িয়ে তোলে।

সাংস্কৃতিক সংযোগ:

  • উত্তর-পূর্ব ভারতের অনেক ভাষা, সংস্কৃতি, এবং রীতিনীতি বাংলাদেশের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত। বিশেষ করে আসাম, ত্রিপুরা, এবং মেঘালয়ের জনসংখ্যার একটি বড় অংশের সাথে বাংলাদেশের সংস্কৃতির মিল রয়েছে।

কৌশলগত গুরুত্ব:

  • শিলিগুড়ি করিডর বা "চিকেনস নেক" বাংলাদেশের খুব কাছাকাছি অবস্থিত। এই সংকীর্ণ ভূখণ্ডের নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর একমাত্র ভূমি সংযোগ।
  • বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা এবং পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নতি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

চ্যালেঞ্জ এবং সহযোগিতা:

  • দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত নিরাপত্তা, অবৈধ অনুপ্রবেশ, এবং পাচারজনিত সমস্যা থাকলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি এবং সহযোগিতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

ভারতের ‘সেভেন সিস্টার্স’ বা সাত বোনের সংসারে বাংলাদেশের ভূমিকা কী?

বাংলাদেশ "সেভেন সিস্টার্স" বা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্যের (আসাম, অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, এবং ত্রিপুরা) জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক, অর্থনৈতিক, এবং কৌশলগত অংশীদার হিসেবে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই ভূমিকা মূলত বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছড়িয়ে রয়েছে, যেমন বাণিজ্য, যোগাযোগ, নিরাপত্তা, এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্ক।

ভারতের মানচিত্রে ‘সেভেন সিস্টার্স’ ও ‘চিকেনস নেক’
The Week
| ভারতের মানচিত্রে ‘সেভেন সিস্টার্স’ ও ‘চিকেনস নেক’

বাংলাদেশের ভূমিকা:

১. যোগাযোগ ও পরিবহন হাব:

  • ভূগোলগত সুবিধা: ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো সরাসরি ভারতের মূল ভূখণ্ডের সাথে সরু শিলিগুড়ি করিডরের মাধ্যমে যুক্ত। তবে, এই অঞ্চলগুলোকে দ্রুত এবং কার্যকরভাবে ভারতের অন্যান্য অংশের সাথে যুক্ত করার জন্য বাংলাদেশ ভৌগোলিকভাবে একটি আদর্শ পথ।
  • পরিবহন ও ট্রানজিট সুবিধা: বাংলাদেশ তার ভূমি ও বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে ভারতের জন্য, যার ফলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর পণ্য পরিবহনের সুবিধা বৃদ্ধি পেয়েছে। যেমন, চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে আসাম, ত্রিপুরা, এবং মেঘালয়ের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছে।
  • আখাউড়া-আগরতলা রেল সংযোগ: এই রেলপথটি ত্রিপুরার সাথে বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে কাজ করছে এবং ভবিষ্যতে এর গুরুত্ব আরও বাড়বে।

২. বাণিজ্যিক অংশীদারিত্ব:

  • বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর বাণিজ্যিক সম্পর্ক ক্রমাগত বাড়ছে। ত্রিপুরা, মিজোরাম, এবং আসামের মতো রাজ্যগুলো বাংলাদেশের বাজারে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে এবং বাংলাদেশের থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানি করে।
  • বাংলাদেশের মাধ্যমে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো উপকূলবর্তী বন্দরগুলোর সহজ প্রবেশাধিকার পাচ্ছে, যা তাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে ত্বরান্বিত করছে।

৩. সীমান্ত নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা:

  • বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা বজায় রাখা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অবৈধ অনুপ্রবেশ, পাচার এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপ প্রতিরোধে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ ও ভারত যৌথভাবে কাজ করছে।

৪. কৌশলগত অংশীদারিত্ব:

  • শিলিগুড়ি করিডরের (চিকেনস নেক) নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা বাংলাদেশের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই করিডরটি ভারতের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একমাত্র সরাসরি সংযোগ। বাংলাদেশের সঙ্গে মিত্র সম্পর্ক এই অঞ্চলের নিরাপত্তা বজায় রাখতে সহায়ক হয়।
  • উত্তর-পূর্ব ভারতের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর কার্যক্রম এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোকে দমন করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার এ ধরনের গোষ্ঠীগুলোর কার্যক্রমকে নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।

৫. সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক:

  • বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর গভীর ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে। ভাষা, খাদ্য, পোশাক, এবং ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে এই সম্পর্কের প্রতিফলন ঘটে। ত্রিপুরা ও আসামের মতো রাজ্যগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের সাথে সরাসরি সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন রয়েছে।
  • দুই অঞ্চলের মানুষ সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান এবং সামাজিক বন্ধনের মাধ্যমে সম্পর্ক আরও জোরদার করে চলেছে।

সার্বিক প্রভাব:

বাংলাদেশের ভূমিকা ভারতের "সেভেন সিস্টার্স" রাজ্যগুলোর জন্য ভৌগোলিক সংযোগের চেয়ে অনেক বেশি। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অংশীদার, স্থিতিশীলতার জন্য কৌশলগত মিত্র, এবং সাংস্কৃতিকভাবে সংযুক্ত অংশ হিসেবে কাজ করছে।

"সেভেন সিস্টার্স" (Seven Sisters) বা সাত বোন নিয়ে বাংলাদেশের সাথে বিরোধ

বাংলাদেশ এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্য, যাকে "সেভেন সিস্টার্স" বলা হয়, তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান থাকলেও সীমিত কিছু ক্ষেত্রে বিরোধও রয়েছে। এই বিরোধগুলো সাধারণত সীমান্ত, জলবণ্টন, নিরাপত্তা এবং অভিবাসন সংক্রান্ত সমস্যার কারণে উদ্ভূত হয়েছে। এখানে বাংলাদেশ ও "সেভেন সিস্টার্স" রাজ্যগুলোর মধ্যে বিরোধের কয়েকটি প্রধান ক্ষেত্র তুলে ধরা হলো:

১. সীমান্ত বিরোধ:

সীমান্ত চিহ্নিতকরণ এবং অনুপ্রবেশ: বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি রাজ্যের দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। বিশেষ করে আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, এবং মিজোরামের সাথে বাংলাদেশের সীমানা ভাগাভাগি রয়েছে। অনেক সময় সীমান্ত এলাকায় সঠিক সীমা চিহ্নিতকরণে বিভ্রান্তি বা সমস্যার কারণে উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। সীমান্তবর্তী এলাকায় অনুপ্রবেশ এবং জমি নিয়ে ছোটখাটো বিরোধ দেখা যায়, যা উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সংঘাতের সৃষ্টি করতে পারে।

বেড়া নির্মাণ এবং সীমান্ত টহল: অবৈধ অভিবাসন এবং নিরাপত্তাজনিত কারণে ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর বেড়া নির্মাণ করেছে, যা উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাঝে মাঝে বিরোধ সৃষ্টি করে। ভারত এই বেড়া নির্মাণকে তার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে, তবে এই প্রকল্প স্থানীয় জনগণের মাঝে উত্তেজনা বাড়ায়।

২. অবৈধ অভিবাসন:

  • ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো, বিশেষ করে আসাম, বাংলাদেশের অবৈধ অভিবাসনের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। ভারতের দাবি অনুযায়ী, বাংলাদেশের অভিবাসীরা আসামে প্রবেশ করে এবং এখানকার সামাজিক ও রাজনৈতিক ভারসাম্য নষ্ট করছে। এই সমস্যা আসামে দীর্ঘদিন ধরে একটি বড় রাজনৈতিক ও সামাজিক ইস্যু হিসেবে বিরাজ করছে এবং এটি উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনার একটি কারণ।
  • আসামের এনআরসি (National Register of Citizens) ইস্যুটিও বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিরোধের সৃষ্টি করেছে, কারণ এতে অনেক মুসলিম অধিবাসীকে ‘অবৈধ অভিবাসী’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ এ সমস্যাকে আন্তর্জাতিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করেছে, কিন্তু এটি এখনও একটি বিতর্কিত বিষয়।

৩. জলবণ্টন সংক্রান্ত বিরোধ:

  • টিপাইমুখ বাঁধ: টিপাইমুখ বাঁধ প্রকল্প, যা মণিপুর রাজ্যে বরাক নদীর উপর নির্মিত হওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তা বাংলাদেশের সঙ্গে বিরোধের অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বাংলাদেশের দাবি ছিল, এই বাঁধ নির্মিত হলে বরাক নদীর পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হবে এবং দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিশেষ করে সিলেট অঞ্চলে খরার সৃষ্টি হতে পারে। এই প্রকল্প নিয়ে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা চললেও প্রকল্পটি শেষ পর্যন্ত স্থগিত হয়।

৪. নিরাপত্তা ও বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী:

  • বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোর কার্যক্রম: ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে বেশ কয়েকটি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী সক্রিয় ছিল, যাদের অভিযোগ ছিল তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে সেখান থেকে ভারত-বিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করত। ভারত সরকার দীর্ঘদিন ধরে দাবি করেছে যে বাংলাদেশে থাকা এই গোষ্ঠীগুলো সেখান থেকে অস্ত্রশস্ত্র এবং রসদ সংগ্রহ করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
  • তবে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের সরকার ভারতের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে এই গোষ্ঠীগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছে এবং সীমান্ত অঞ্চলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। এর ফলে, উভয় দেশের মধ্যে নিরাপত্তা সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে।

৫. বাণিজ্য এবং ট্রানজিট নিয়ে বিরোধ:

  • যদিও বাণিজ্য এবং ট্রানজিটের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে সহযোগিতা ক্রমাগত বাড়ছে, কিছু ক্ষেত্রে বিরোধের সৃষ্টি হয়েছে। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে সড়ক ও রেলপথে সরাসরি সংযোগের সুবিধা চাইছে, তবে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে এ ধরনের সংযোগ নিয়ে মাঝে মাঝে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব সংক্রান্ত উদ্বেগ।

৬. সাংস্কৃতিক ও সামাজিক টানাপোড়েন:

  • সীমান্ত অঞ্চলে থাকা জনগোষ্ঠীর মাঝে সাংস্কৃতিক মিল থাকলেও সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে দ্বন্দ্ব মাঝে মাঝে বিরোধ সৃষ্টি করে। যেমন, ত্রিপুরা রাজ্যের মধ্যে বাংলাদেশের শরণার্থীদের আগমন স্থানীয় জনগণের মধ্যে গণতান্ত্রিক ও সামাজিক অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে।

সমাধানের দিক:

বাংলাদেশ এবং ভারতের "সেভেন সিস্টার্স" রাজ্যগুলোর মধ্যে সম্পর্ক উন্নত করতে ইতোমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার, অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ, এবং বাণিজ্যিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে একাধিক আলোচনার মাধ্যমে অনেক বিরোধ মিটিয়ে ফেলা হয়েছে, এবং ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

"সেভেন সিস্টার্স" (Seven Sisters) বা সাত বোন সম্পর্কিত বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর

'Seven Sisters' বলতে কী বোঝায়?

’Seven Sisters' কোন দেশে অবস্থিত?

ভারতের সেভেন সিস্টারভুক্ত কোন রাজ্যগুলোর সাথে বাংলাদেশের সীমান্ত সংযোগ নেই?

সেভেন সিস্টার্স কী?

কোনটি ভারতের 'সেভেন সিস্টার্সভুক্ত' রাজ্য নয়?

ভারতে কোন রাজ্যটি সেভেন সিস্টার্স -এর অন্তর্ভুক্ত ?

সেভেন সিস্টার কী?

ভারতের সেভেন সিস্টার্সের মধ্য কোনটার সাথ বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষা নেই?

সেভেন সিস্টার্স বলা হয় কোন অঞ্চলকে?

কোন রাজ্যটি সেভেন সিস্টার এর অন্তর্ভক্ত নয়?

ভারতের কোন অঞ্চলের সাতটি প্রদেশকে একত্রে 'সেভেন সিস্টার্স' বলা হয় ?

কোন রাজ্যটি সেভেন সিস্টার এর অন্তর্ভক্ত নয়?

ভারতের সেভেন সিস্টারখ্যাত কোন রাজ্যের সাথে বাংলাদেশের সীমান্ত নেই?

সেভেন সিস্টার্স বলা হয় কোন অঞ্চলকে?

সেভেন সিস্টার্স কোন দেশে

কোনটি ভারতের 'সেভেন সিস্টার ' রাজ্যসমূহের অন্তভূক্ত নয় ?

ভারতের কোন কোন রাজ্যকে সেভেন সিস্টার্স বলা হয়?

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কোন কোন রাজ্যকে সেভেন সিস্টারস বলা হয় ?

সেভেন সিস্টার্স কোন দেশে অবস্থিত?

ভারতের কোন ৭টি রাজ্যকে সেভেন সিস্টার বলা হয়?

বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী অথচ সেভেন সিষ্টার্সভুক্ত নয় ভারতের রাজ্যটির নাম লিখুন।

‘‘সেভেন সিস্টার্স’’কোন দেশে অবস্থিত?

ভারতে ‘সেভেন সিস্টার্স' বলতে কী বুঝায়? সেভেন সিস্টার্সের নামগুলো কী কী?

“সেভেন সিস্টার্স (Seven Sisters) বলতে ভারতের কোন রাজ্যগুলোকে বুঝায়?

সেভেন সিস্টার্স বলতে কোন কোন ভারতীয় রাজ্যগুলােকে বুঝায়?

7k

Author

674 Followers

অনন্ত মহাকালে মোর যাত্রা অসীম মহাকাশের অন্তে

All Comments

Fatima Tahsin 4 months ago
There is more information that can be add which is missing. Half information knowledge more dangerous to humankind.
Promotion