গাছের প্রাণ আছে - কে প্রমাণ করেন?
প্রাণিজগতের শ্রেণিবিন্যাস
অ্যানিম্যালিয়া বা প্রাণিজগতের প্রাণীদেরকে দশটি প্রধান পর্বে ভাগ করা হয়েছে। যথা-
১) প্রোটোজোয়া (Protozoa) : এককোষী জীব। যেমন-অ্যামিবা, ম্যালেরিয়া জীবাণু।
২) পরিফেরা (Porifera) : সরলতম বহুকোষী প্রানী। যেমন- স্পনজিলা, সাকাইফা।
৩) সিলেন্টারেটা (Coellenterata) : হাইড্রা, জেলী ফিস ইত্যাদি।
৪) প্লাটিহেলমিনথেস (Platyhelminthes) : ফিতাকৃমি, যকৃতকৃমি প্রভৃতি। ফিতাকৃমি অন্তঃপরজীবী।
৫) নেমাটোডা (Nematoda) : যেমন- গোলকৃমি, ফাইলেরিয়া কৃমি ইত্যাদি।
৬) অ্যানিলিডা (Annelida) : যেমন- কেঁচো, জোঁক ইত্যাদি।
৭) আর্থোপোডা (Arthopoda) : প্রাণিজগতের বৃহত্তম পর্ব। যেমন -চিংড়ি, আরশোলা, প্রজাপতি, ফড়িং, কাঁকড়া, মাকড়সা, মাছি, পিঁপড়া, মৌমাছি, রেশম পোকা ইত্যাদি।
৮) মলাস্কা (Mollusca) : যেমন – শামুক, ঝিনুক, অক্টোপাস ইত্যাদি।
৯) একাইনোডার্মাটা (Echinodermata) : তারা মাছ, সমুদ্র শশা, একাইনাস ইত্যাদি।
১০) কর্ডাটা (Chordata) : মানুষ, নীলতিমি, গরু, ছাগল, ব্যাঙ প্রভৃতি।
পর্ব : সিলেন্টারেটা
হাইড্রার দুটি স্বতন্ত্র চলন পদ্ধতি আছে। যথা- লুপিং বা হামাগুড়ি এবং সমারসল্টিং বা ডিগবাজি। এদের মধ্যে হামাগুড়ি ধীরে এবং ডিগবাজি দ্রুত চলনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করে।
জেলিফিস সামনের দিকে সাঁতার কাটতে পারে না।
পর্ব : নেমাটোডা
ফাইলেরিয়া কৃমি গোদ রোগের জন্য দায়ী। কিউলেক্স মশার কামড়ে এ রোগের জীবাণু মানুষের দেহে প্রবেশ করে। বৃহত্তর দিনাজপুর ও রংপুর অঞ্চলে ফাইলেরিয়া রোগের প্রকোপ বেশি।
পর্ব : অ্যানিলিডা
কেঁচো (Earthworm) ত্বকের সাহায্যে শ্বাসকার্য সম্পন্ন করে। এরা মাটির নিচে বাস করে। কেঁচো মাটির উর্বরা শক্তির জন্য বিশাল আশীর্বাদ। এরা ফসলের জমি ওলট-পালট করে ওপরের মাটি নিচে ও নিচের মাটি ওপরে তুলে আনে। তাই কেঁচোকে ‘প্রকুতির লাঙ্গল’ বলে।
পর্ব : আর্থোপোডা
আর্থোপোডা পর্বের প্রাণীদের পাগুলো সন্ধিযুক্ত হয়। দেহে হিমোসিল থাকে।
পিঁপড়া নিজের ওজনের ৫০ গুণ বেশি ওজন বহন করতে পারে। মাকড়সা ৪ জোড়া এবং প্রজাপতি ও মাছির ৩ জোড়া পা থাকে।