‘নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার' বিলুপ্ত করা হয় সংবিধানের কোন সংশোধনীর মাধ্যমে?

Created: 3 years ago | Updated: 2 years ago
Updated: 2 years ago

সংশোধনী

বিষয়

প্রথম সংশোধনী- ১৯৭৩

যুদ্ধবন্দী এবং অন্যান্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করণ।

দ্বিতীয় সংশোধনী- ১৯৭৩

অভ্যন্তরীণ কিংবা বাহ্যিক গোলযোগে জরুরী অবস্থা ঘোষণার বিধান।

তৃতীয় সংশোধনী— ১৯৭৪

সীমান্ত চুক্তি অনুযায়ী ভারতকে বেরুবাড়ী হস্তান্তর।

চতুর্থ সংশোধনী- ১৯৭৫

  • সংসদীয় সরকারের পরিবর্তে একদলীয় সরকার ব্যবস্থা চালু।
  • বহুদলীয় রাজনীতির পরিবর্তে একদলীয় রাজনীতি প্রবর্তন ।

পঞ্চম সংশোধনী- ১৯৭৯

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৭৯ সালের ৫ এপ্রিল পর্যন্ত সামরিক সরকারের সকল কাজের বৈধতা দান প্রসঙ্গে ।

ষষ্ঠ সংশোধনী- ১৯৮১

উপ-রাষ্ট্রপতির পদ থেকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের বিধান নিশ্চিত করণ।

সপ্তম সংশোধনী- ১৯৮৬

১৯৮২ থেকে ১৯৮৬ পর্যন্ত সামরিক সরকারের সকল আদেশের বৈধতা অনুমোদন প্রসঙ্গে ।

অষ্টম সংশোধনী- ১৯৮৮

  • রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে স্বীকৃতি।
  • ঢাকার বাইরে হাইকোর্টের ছয়টি বেঞ্চ স্থাপন ।

নবম সংশোধনী- ১৯৮৯

  • প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা দুই মেয়াদে সীমাবদ্ধ করণ।
  • নির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্টের পদ সৃষ্টি।
  • প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।

দশম সংশোধনী- ১৯৯০

সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত ১০ টি আসনের মেয়াদ আরো ১০ বছরের জন্য বৃদ্ধিকরণ ।

একাদশ সংশোধনী- ১৯৯১

অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ এর স্বপদে ফিরে যাওয়ার বিধান সম্বলিত।

দ্বাদশ সংশোধনী- ১৯৯১

রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারের পরিবর্তে সংসদীয় সরকার পুনঃপ্রবর্তন।

ত্রয়োদশ সংশোধনী- ১৯৯৬

অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালুকরণ।

চতুর্দশ সংশোধনী ২০০৪

সংসদে নারীদের জন্য ৪৫ টি সংরক্ষিত আসন বৃদ্ধি।

প্রধান বিচারপতির অবসর বয়সসীমা ৬৫ থেকে ৬৭ বছরে উন্নিত।

পঞ্চদশ সংশোধনী- ২০১১

  • ১৯৭২ সালের সংবিধানের মূলনীতিতে প্রত্যাবর্তন ।
  • তত্ত্ববধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তকরণ ।
  • সংরক্ষিত নারী আসন ৪৫ টি থেকে ৫০ এ বৃদ্ধিকরণ।
  • জাতির পিতার স্বীকৃতি ও প্রকৃতি সংরক্ষণে বাধ্যবাধকতা
  • জাতির পিতার ৭ই মার্চের ভাষণ, স্বাধীনতার ঘোষণা ও ঘোষণাপত্র তফসিলে যুক্তকরণ।

ষোড়শ সংশোধনী- ২০১৪

  • বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে প্রদান প্রসঙ্গে।

নোট: ষোড়শ সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়।

সপ্তদশ সংশোধনী-২০১৮

জাতীয় সংসদের ৫০টি নারী সংরক্ষিত আসন আরো ২৫ বছরের জন্য বহাল রাখা প্রসঙ্গে।
Content added By
Promotion