Translate into Bangla
প্রাকৃতিক আইন ও প্রাকৃতিক অধিকার তত্ত্ব থেকে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধ সম্পর্কে সাধারণ ধারণা লাভ করা যায়। নির্দিষ্ট কিছু কাজ মানুষের মূল্যবোধ ও মর্যাদাকে ব্যাহত করে এবং প্রত্যেক মানুষেরই জানা উচিৎ যে এগুলো সাধারণ নৈতিক মূল্যবোধের উপর প্রতিষ্ঠিত। এখানে এটা কোনো হিসেবের মধ্যে আসবে না যে তারা (বিশেষত যুদ্ধক্ষেত্রে সৈনিকরা) কি ধরনের কাজের জন্য আদিষ্ট হচ্ছে। এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা এই যে সৈনিকরা তাদের সন্ত্রাসীমূলক কর্মকান্ডের জন্য শুধু এই বলে পার পাবে না যে তারা এই সন্ত্রাসীমূলক ঘটনা সংঘটনের জন্য আদিষ্ট হয়েছিল। নুরেমবার্গের ট্রাইব্যুনাল আদালতের ৪নং শর্ত অনুযায়ী, “যেখানে নৈতিক মূল্যবোধ দেখানোর সুযোগ ছিল সেখানে কোনো সৈনিক সেটা না দেখিয়ে সরকারের প্ররোচনামূলক সন্ত্রাসী কিছু করলে আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী এই অজুহাতে তাকে রক্ষাকবচ দেয়া হবে না” । অধিকন্তু ৩নং শর্তানুযায়ী “কোনো নেতা বা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এই ধরনের যন্ত্রনাদায়ক ঘটনার জন্য দায়ী থাকলে পার পাবেন না”। যুদ্ধপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও আন্তর্জাতিক আইন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে নুরেমবার্গের বিচার আদালতকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে দেখা হয়। নুরেমবার্গ প্রতিষ্ঠার পর হতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়সমূহ অধিকতর নিরপেক্ষতার সহিত এই যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে কাজ করছে। পাশাপাশি এটি হেগ শহরে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত প্রতিষ্ঠায়ও ভূমিকা রাখে ৷