৩। নিম্নলিখিত খাঁটি বাংলা তদ্ধিতান্ত শব্দসমূহে কী অর্থে কোন কোন প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়েছে, তা পাশাপাশি লিখে দাও
হাজিরা - জলা - মিঠাই-লেজুড়- চামচা
দরকারি- টেকো- মিথ্যুক-ঘরোয়া-ঢাকাই
১. ছেলেটি বড় লাজুক।
২. বড়াই করা ভালো না ।
৩. ঘরামি ডেকে ঘর ছেয়ে নে।
ওপরের ‘লাজুক’, ‘বড়াই' শব্দগুলো গঠিত হয়েছে এভাবে : লাজুক= লাজ + উক; বড়াই=বড়+আই; ঘরামি ঘর+আমি। ‘লাজ’ ‘বড়’ ও ‘ঘর' শব্দগুলোর পরে যথাক্রমে ‘উক’, ‘আই’ ও ‘আমি' (প্রত্যয়) যোগ করে নতুন শব্দ গঠিত হয়েছে।
শব্দের সঙ্গে (শেষে) যেসব প্রত্যয় যোগে নতুন শব্দ গঠিত হয়, তাদের তদ্ধিত প্রত্যয় বলা হয় ৷
দ্রষ্টব্য : ‘লাজ’ ‘বড়’ ও ‘ঘর’– এ শব্দগুলোর সাথে কোনো শব্দ/বিভক্তি যুক্ত হয় নি। বিভক্তিহীন নাম শব্দকে
বলা হয় প্রাতিপদিক। প্রাতিপদিক তদ্ধিত প্রত্যয়ের প্রকৃতি বলে প্রাতিপদিককে নাম প্রকৃতিও বলা হয় । ধাতু যেমন কৃৎ-প্রত্যয়ের প্রকৃতি, তেমনি প্রাতিপদিকও তদ্ধিত প্রত্যয়ের প্রকৃতি। প্রত্যয় যুক্ত হলে ধাতুকে বলা হয় ক্রিয়া প্রকৃতি এবং প্রাতিপদিককে বলা হয় নাম প্রকৃতি ।
তদ্ধিত প্রত্যয়গুলো বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়। বাংলা ভাষায় তদ্ধিত প্রত্যয় তিন প্রকার
ক. বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়
খ. বিদেশি তদ্ধিত প্রত্যয় ৷
গ. তৎসম বা সংস্কৃত তদ্ধিত প্ৰত্যয় ।
(ক) বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়
১. আ-প্রত্যয়
(ক) অবজ্ঞার্থে : চোর + আ চোরা, কেষ্ট + আ = কেষ্টা।
(খ) বৃহদার্থে : ডিঙি + আ= ডিঙা (সপ্তডিঙা মধুকর)
(গ) সদৃশ অর্থে : বাঘ+আ=বাঘা, হাত + আ=হাতা। এরূপ : কাল - কালা (চিকন কালা), কান–কানা ।
(ঘ) ‘তাতে আছে’ বা ‘তার আছে' অর্থে : জল + আ=জলা, গোদ + আ=গোদা। এরূপ : রোগ -রোগা, : চাল- চালা, লুন-লুনা>লোনা ।
(ঙ) সমষ্টি অর্থে : বিশ –বিশা, বাইশ-বাইশা (মাসের বাইশা> বাইশে।
(চ) স্বার্থে : জট+আ=জটা, চোখ-চোখা, চাক—চাকা ।
(ছ) ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য গঠনে : হাজির - হাজিরা, চাষ-চাষা।
(জ) জাত ও আগত অর্থে : মহিষ ভইস-ভয়সা (ঘি), দখিন-দখিনা> দখনে (হাওয়া)।
২. আই-প্রত্যয়
(ক) ভাববাচক বিশেষ্য গঠনে : বড়+আই=বড়াই, চড়া +আই=চড়াই।
(খ) আদরার্থে : কানু+আই=কানাই, নিম+আই=নিমাই।
(গ) স্ত্রী বা পুরুষবাচক শব্দের বিপরীত বোঝাতে : বোন+আই= বোনাই, ননদ-নন্দাই, জেঠা-জেঠাই (মা) (ঙ) জাত অর্থে : ঢাকা+আই=ঢাকাই (জামদানি), পাবনা-পাবনাই (শাড়ি)।
(ঘ) সমগুণবাচক বিশেষ্য গঠনে : মিঠা +আই=মিঠাই।
(ঙ) বিশেষণ গঠনে : চোর চোরাই (মাল), মোগল-মোগলাই (পরোটা)।
৩. আমি/আম/আমো / মি 2 -প্রত্যয়
(ক) ভাব অর্থে : ইতর+আমি =ইতরামি, পাগল+ আমি = পাগলামি, চোর+আমি =চোরামি, বাঁদর+আমি =বাঁদরামি, ফাজিল +আমো=ফাজলামো । (খ) বৃত্তি (জীবিকা) অর্থে : ঠক+আমো=ঠকামো (ঠকের বৃত্তি বা ভাব), , ঘর+আমি=ঘরামি ।
(গ) নিন্দা জ্ঞাপন : জেঠা+আমি-জেঠামি, ছেলে+আমি=ছেলেমি।
৪. ই/ঈ-প্রত্যয়
(ক) ভাব অর্থে : বাহাদুর + ই = বাহাদুরি, উমেদার-উমেদারি।
(খ) বৃত্তি বা ব্যবসায় অর্থে : ডাক্তার-ডাক্তারি, মোক্তার-মোক্তারি, পোদ্দার-পোদ্দারি, ব্যাপার- ব্যাপারি, চাষ-চাষি ।
(গ) মালিক অর্থে : জমিদার-জমিদারি, দোকান-দোকানি।
(ঘ) জাত, আগত বা সম্বন্ধ বোঝাতে : ভাগলপুর-ভাগলপুরি, মাদ্রাজ -মাদ্রাজি, রেশম-রেশমি,
৫. ইয়া> এ-প্রত্যয়
সরকার—সরকারি (সম্বন্ধ বাচক)।
(ক) তৎকালীনতা বোঝাতে : সেকাল + এ-সেকেলে, একাল+এ=একেলে, ভাদর +ইয়া = ভাদরিয়া> ভাদুরে (কইমাছ)।
(খ) উপকরণ বোঝাতে : পাথর - পাথরিয়া পাথুরে, মাটি –মেটে, বালি- বেলে।
(গ) উপজীবিকা অর্থে : জাল-জালিয়া জেলে, মোট-মুটে।
(ঘ) নৈপুণ্য বোঝাতে : খুন-খুনিয়া খুনে, দেমাক-দেমাকে, না (নৌকা) – নাইয়া নেয়ে ৷
(ঙ) অব্যয়জাত বিশেষণ গঠনে : টনটন— টনটনে (জ্ঞান), কনকন – কনকনে (শীত), গনগন –গনগনে (আগুন), চকচক— চকচকে (জুতা)।
৬. উয়া> ও-প্রত্যয়
(ক) রোগগ্রস্ত অর্থে : জ্বর + উয়া = জ্বরুয়া জ্বরো। বাত+উয়া=বাতুয়া> বেতো (ঘোড়া)।
(খ) যুক্ত অর্থে : টাক – টেকো ।
(গ) সেই উপকরণে নির্মিত অর্থে : খড়খড়ো (খড়োঘর)।
(ঘ) জাত অর্থে : ধান–ধেনো ।
(ঙ) সংশ্লিষ্ট অর্থে : মাঠ-মেঠো, গাঁ-গাঁইয়া গেঁয়ো ।:
(চ) উপজীবিকা অর্থে : মাছ-মাছুয়া> মেছো ।
(ছ) বিশেষণ গঠনে : দাঁত-দেঁতো (হাসি), ছাঁদ-ছেঁদো (কথা), তেল-তেলো> তেলা (মাথা), কুঁজ- কুঁজো (লোক) ।
৭. উ-প্রত্যয় : বিশেষণ গঠনে : ঢাল +উ = ঢালু, কল+উ= =কলু।
৮. উক-প্রত্যয় : বিশেষণ গঠনে : লাজ-লাজুক, মিশ-মিশুক, মিথ্যা-মিথ্যুক ।
১. আরি/আরী/আরু-প্রত্যয় : বিশেষণ গঠনে : ভিখ-ভিখারি, শাঁখ-শাখারি, বোমা-বোমারু
১০. আলি/আলো/আলি/আলী>এল-প্রত্যয় : বিশেষ্য ও বিশেষণ গঠনে : দাঁত-দাঁতাল, লাঠি-লাঠিয়াল> লেঠেল, তেজ-তেজাল, ধার-ধারাল, শাঁস-শাঁসাল, জমক-জমকালো, দুধ দুধাল > দুধেল, হিম-হিমেল, চতুর চতুরালি, ঘটক — ঘটকালি, সিঁদ-সিঁদেল, গাঁজা-গেঁজেল।
১১. উরিয়া>উড়িয়া/উড়ে/রে-প্রত্যয় : হাট-হাটুরিয়া> হাটুরে, সাপ সাপুড়িয়া সাপুড়ে, কাঠ-কাঠুরে।
১২. উড়-প্রত্যয় : অর্থহীনভাবে : লেজ-লেজুড় ।
১৩. উয়া/ওয়া>ও-প্রত্যয় : সম্পর্কিত অর্থে : ঘর+ওয়া = ঘরোয়া, জল+ উয়া=জলুয়া>জলো (দুধ)। ১৪. আটিয়া / টে—প্রত্যয় : বিশেষণ গঠনে : তামা-তামাটিয়া> তামাটে, ঝগড়া-ঝগড়াটে, ভাড়া— ভাড়াটে, রোগা-রোগাটে ।
১৫. অট>ট-প্রত্যয় : স্বার্থে : ভরা ভরাট, জমা-জমাট।
১৬. লা-প্রত্যয় : (ক) বিশেষণ গঠনে : মেঘ-মেঘলা
(ক) স্বার্থে : এক-একলা, আধ-আধলা ।
(খ) বিদেশি তদ্ধিত প্রত্যয়
১. ওয়ালা > আলা (হিন্দি) : বাড়ি-বাড়িওয়ালা (মালিক অর্থে), দিল্লি-দিল্লিওয়ালা (অধিবাসী অর্থে), মাছ-মাছওয়ালা (বৃত্তি অর্থে), দুধ-দুধওয়ালা (বৃত্তি অর্থে)।
ওয়ান>আন (হিন্দি) : গাড়ি-গাড়োয়ান, দার -দারোয়ান ৷
৩. আনা>আনি (হিন্দি) : মুনশি-মুনশিয়ানা, বিবি-বিবিআনা, হিন্দু-হিন্দুয়ানি
8. সা (হিন্দি) : পানি-পানসা> পানসে, এক–একসা, কাল (কাল) – কালসা> কালসে।
৫.গর> কর (ফারসি) : কারিগর, বাজিকর, সওদাগর ।
৬. দার (ফারসি) : তাঁবেদার, খবরদার, বুটিদার, দেনাদার, চৌকিদার, পাহারাদার
৭.বাজ (দক্ষ অর্থে –ফারসি) : কলমবাজ, ধড়িবাজ, ধোঁকাবাজ, গলাবাজ+ই=গলাবাজি (বিশেষ্য)।
৮.বন্দি (বন্দ্-ফারসি) : জবানবন্দি, সারিবন্দি, নজরবন্দি, কোমরবন্দ।
৯. সই : মতো অর্থে : জুতসই, মানানসই, চলনসই, টেকসই। ১০. পনা : মতো অর্থে : গিন্নীপনা, বেহায়াপনা
দ্রষ্টব্য : ‘টিপসই’ ও ‘নামসই’ শব্দ দুটোর ‘সই’ প্রত্যয় নয়। এটি ‘সহি’ (অর্থ-স্বাক্ষর) শব্দ থেকে উৎপন্ন । (গ) সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়
ষ্ণ, ষ্ণি, ষ্ণ্য, ষ্ণিক, ইত, ইমন, ইল, ইষ্ট, ঈন, তর, তম, তা, ত্ব, নীন, নীয়, বতুপ্, বিন্, র, ল প্রভৃতি সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়যোগে যে সমস্ত শব্দ গঠিত হয়, সেগুলো বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত হয় । এখানে কতগুলো সংস্কৃত ' তদ্ধিত প্রত্যয়ের উদাহরণ দেয়া হলো ।
কয়েকটি সাধারণ সূত্র
১. যে শব্দের সঙ্গে ষ্ণ (অ)-প্রত্যয় যুক্ত হয়, তার মূল স্বরের বৃদ্ধি হয়। যথা— নগর+ষ্ণ=নাগর, মধুর +ষ্ণ= =মাধুর্য।
বৃদ্ধি : (১) অ-স্থানে আ, (২) ই, ঈ-স্থানে ঐ, (৩) উ, ঊ-স্থানে ঔ এবং (৪) ঋ-স্থানে আর হওয়াকে বৃদ্ধি বলে।
২.যে শব্দের সঙ্গে ষ্ণ (অ) প্রত্যয় যুক্ত হয়, তার প্রাতিপদিকের অন্ত্যস্বরের উ-কারও ও-কারে পরিণত হয়। ও +অ সন্ধিতে ‘অব’ হয়। যথা—গুরু+ষ্ণ=গৌরব, লঘু+ষ্ণ =লাঘব, শিশু +ষ্ণ=শৈশব, মধু +ষ্ণ=মাধব, মনু + ষ্ণ=মানব।
৩. দুটি শব্দের দ্বারা গঠিত সমাসবদ্ধ শব্দের অথবা উপসর্গযুক্ত শব্দের সঙ্গে তদ্ধিত প্রত্যয় যুক্ত হয়ে উপসর্গসহ শব্দের বা শব্দ দুটির মূল স্বরের বৃদ্ধি হয়। যথা—
পরলোক + ষ্ণিক =পারলৌকিক।
সুভগ+ষ্ণ্য=সৌভাগ্য।
পঞ্চভূত+ষ্ণিক=পাঞ্চভৌতিক ।
সর্বভূমি+ ষ্ণ=সার্বভৌম ।
ব্যতিক্রম : ‘বর্ষ’ শব্দ পরপদ হলে পূর্বপদের সংখ্যাবাচক শব্দের মূল স্বরের বৃদ্ধি হয় না। যথা—দ্বিবর্ষ + ষ্ণিক= দ্বিবার্ষিক। সংখ্যাবাচক শব্দ না থাকলেও নিয়মমতো মূল স্বরের বৃদ্ধি হয়। যেমন –বর্ষ + ষ্ণিক=বার্ষিক।
৪. ‘য’ প্রত্যয় যুক্ত হলে প্রাতিপদিকের অন্তে স্থিত অ, আ, ই এবং ঈ-এর লোপ হয়। যথা – সম্+য =সাম্য, কবি +য =কাব্য, মধুর + য =মাধুর্য, প্রাচী+য=প্রাচ্য।
ব্যতিক্রম : সভা+য=সভ্য (‘সাভ্য' নয়)
বিশেষ নিয়মে : পর-পরকীয়, স্ব-স্বকীয়, রাজা-রাজকীয় ।
১০. বতুপ্ (বৎ) এবং মতুপ্ (মৎ)-প্রত্যয় [প্রথমার এক বচনে যথাক্রমে ‘বান্ এবং ‘মান্’ হয়] : বিশেষণ গঠনে : গুণ+বতুপ্=গুণবান, দয়া+বতুপ্ = দয়াবান ৷ শ্রী+মতুপ্=শ্রীমান, বুদ্ধি+মতুপ্=বুদ্ধিমান
১১. বিন (বী) প্রত্যয় : আছে অর্থে বিশেষণ গঠনে মেধা+বিন্=মেধাবী, মায়া+বিন্ = মায়াবী, তেজঃ+বিন্= তেজস্বী, যশঃ +বিন্=যশস্বী।
১২. র-প্রত্যয় : বিশেষ্য গঠনে
মধু+র=মধুর, মুখ+র=মুখর।
১৩. ল-প্রত্যয় : বিশেষ্য গঠনে
শীত +ল = শীতল, বস +ল= বৎসল।
১৪. ফ (অ) প্রত্যয়
(ক) অপত্য অর্থে: মনু+ষ্ণ =মানব, যদু +ষ্ণ=যাদব।
(খ) উপাসক অর্থে: শিব+ ষ্ণ= শৈব, জিন+ষ্ণ=জৈন। এরূপ : শক্তি-শাক্ত, বুদ্ধ-বৌদ্ধ,
গ) ভাব অর্থে : শিশু +ষ্ণ = শৈশব, গুরু+ষ্ণ =গৌরব, কিশোর+ষ্ণ=কৈশোর।
ঘ) সম্পর্ক বোঝাতে : পৃথিবী+ ষ্ণ = পার্থিব, দেব+ষ্ণ=দৈব, চিত্র (একটি নক্ষত্রের নাম)+ ষ্ণ=চৈত্র।
নিপাতনে সিদ্ধ : সূর্য+ষ্ণ=সৌর (সাধারণ নিয়মে সুর+ষ্ণ (অ)=সৌর)
১৫. ষ্ণ্য (য) প্রত্যয়
(ক) অপত্যার্থে : মনুঃ +ষ্ণ্য=মনুষ্য, জমদগ্নি+ষ্ণ্য=জামদগ্ন্য।
(খ) ভাবার্থে : সুন্দর+ষ্ণ্য=সৌন্দর্য, শূর+ষ্ণ্য=শৌর্য। ধীর+ষ্ণ্য=ধৈর্য, কুমার + ষ্ণ্য = =কৌমার্য ।
(গ) বিশেষণ গঠনে : পর্বত +ষ্ণ্য = পার্বত্য, বেদ+ষ্ণ্য =বৈদ্য ।
১৬. ষ্ণি (ই)-প্রত্যয় : অপত্য অর্থে রাবণ+ষ্ণি=রাবণি (রাবণের পুত্র), দশরথ+ ষ্ণি=দাশরথি।
১৭. ষ্ণিক (ইক)-প্রত্যয়
(ক) দক্ষ বা বেত্তা অর্থে : সাহিত্য + ষ্ণিক=সাহিত্যিক, বেদ+ ষ্ণিক=বৈদিক, বিজ্ঞান+ষ্ণিক=বৈজ্ঞানিক।
(খ) বিষয়ক অর্থে সমুদ্র+ষ্ণিক=সামুদ্রিক, নগর-নাগরিক, মাস- - মাসিক, ধর্ম-ধার্মিক, সমর-
(গ) বিশেষণ গঠনে :হেমন্ত +ষ্ণিক=হৈমন্তিক, অকস্মাৎ+ফিক=আকস্মিক ।
১৮. ষ্ণেয় (এয়)-প্রত্যয় : ভগিনী+ষ্ণেয়=ভাগিনেয় অগ্নি+ষ্ণেয়=আগ্নেয়, বিমাতৃ (বিমাতা) +ষ্ণেয়=বৈমাত্রেয় ৷সামরিক, সমাজ-সামাজিক ।