ব্যাকরণ মেনে লিখতে শিখি

নবম শ্রেণি (মাধ্যমিক ২০২৪) - বাংলা - Bangla - NCTB BOOK
Please, contribute to add content into ব্যাকরণ মেনে লিখতে শিখি.
Content
Please, contribute to add content into শব্দ.
Content

বিভিন্ন শ্রেণির শব্দের প্রয়োগ

নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের শব্দের প্রয়োগ করো।

 

বিশেষ্য

লোকটি উদার। তাঁর _________________ আমি মুগ্ধ হলাম। 'উদার' শব্দটিকে দ্বিতীয় বাক্যে বিশেষ্য হিসেবে প্রয়োগ করো

তিনি দরিদ্র। কিন্তু ____________________ তাঁকে লোভী করেনি। ('দরিদ্র' শব্দটিকে দ্বিতীয় বাক্যে বিশেষ্য হিসেবে প্রয়োগ করো)

কত বিচিত্র ধরনের পাখি রয়েছে। শুধু পাখি নয়, এই ____________ প্রাণীজগতের সবখানেই লক্ষ করা  যায়। ('বিচিত্র' শব্দটিকে দ্বিতীয় বাক্যে বিশেষ্য হিসেবে প্রয়োগ করো)

 

সর্বনাম

বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছেন। (এই বাক্যে কর্তা হিসেবে একটি সর্বনাম যোগ করো)

শিক্ষার্থীরা ক্লাসে নিজেদের দলে আলোচনা করছিল। শিক্ষক শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন। (দ্বিতীয় বাক্যে 'শিক্ষার্থীদের' বদলে সর্বনাম বসাও)

বরকত সাহেব সিলেটে বেড়াতে গেছেন। সিলেটে অনেক চা-বাগান আছে। (দ্বিতীয় বাক্যে স্থাননামের বদলে সর্বনাম বসাও)

 

বিশেষণ

মামা কুড়িতে করে ফল নিয়ে এসেছেন। ('ঝুড়ি' ও 'ফল' শব্দের আগে বিশেষণ যোগ করো)

লোকটি সাহায্যের জন্য হাত পাতল। ('লোকটি' শব্দের আগে একাধিক শব্দযুক্ত বিশেষণ যোগ করো)

তাঁর সরলতায় আমি মুগ্ধ হলাম। লোকটি আসলেই ____ । ('সরলতা' শব্দটিকে দ্বিতীয় বাক্যে বিশেষণ হিসেবে প্রয়োগ করো)

 

ক্রিয়া 

তিনি শোকে পাথর হয়ে এসেছেন। (ক্রিয়ার রূপ সংশোধন করো)

সে চেয়ার ছেড়ে ওঠে শিক্ষকের কাছে গেল। (অসমাপিকা ক্রিয়ার রূপ সংশোধন করো)

পাখি আকাশে উড়ে। (সমাপিকা ক্রিয়ার রূপ সংশোধন করো)

 

ক্রিয়াবিশেষণ

ছেলেটি হাঁটছে। (বাক্যটিতে ক্রিয়াবিশেষণ যোগ করো)

বৃষ্টি পড়ছে। (বাক্যটিতে ক্রিয়াবিশেষণ যোগ করো)

তিনি নদীর ধারে হাঁটতেন। (বাক্যটিতে কালবাচক ক্রিয়াবিশেষণ যোগ করো।)

 

অনুসর্গ

মানার _________ নীল আকাশ। (বাক্যে একটি অনুসর্গ বসাও।)

কার ___________ গেলে জানা যাবে? (বাক্যে একটি অনুসর্গ বসাও।)

মন ____________ লেখাপড়া করবে। (বাক্যে একটি অনুসর্গ বসাও।)

 

যোজক

কলা, পাউরুটি কিনে নিয়ে এসো। ('কমা'র বদলে যোজক ব্যবহার করো।)

তাকে আসতে বললাম। সে এলো না। (দ্বিতীয় বাক্যের শুরুতে যোজক যোগ করো।)

বসার সময় নেই। যেতে হচ্ছে। (দ্বিতীয় বাক্যের শুরুতে যোজক যোগ করো।)

 

আবেগ

তুমি তো দারুন লিখেছ (প্রশংসাসূচক আবেগ যোগ করো)

ছেলেটির কী কষ্ট। (করুণাসূচক আবেগ যোগ করো)

অবশ্যই আমি যাব। (সম্মতিসূচক একটি আবেগ যোগ করো।)

Content added By

নিচের বাক্যগুলোতে 'মহিষ' এবং 'টান' শব্দের সঙ্গে যুক্ত অতিরিক্ত শব্দাংশগুলো আলাদা করো।

শব্দ যখন বাক্যে ব্যবহৃত হয়, তখন তার সঙ্গে কিছু শব্দাংশ যুক্ত হয়। শব্দের সঙ্গে যুক্ত এসব শব্দাংশকে লগ্নক বলে।

লগ্নক বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে, যথা- ১. শব্দবিভক্তি, ২. ক্রিয়াবিভক্তি, ৩. নির্দেশক, ৪. বচন এবং ৫. বলক।

১. শণবিভক্তি: বাক্যের মধ্যে এক শব্দের সঙ্গে আরেক শব্দের সম্পর্ক বোঝাতে কিছু শব্দাংশ যুক্ত হয়, সেগুলোকে শব্দবিভক্তি বলে। যেমন: কে, রে, র, এর, এ, -তে ইত্যাদি। শব্দবিভক্তির প্রয়োগ:

তিনি ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বাজারে গেছেন।
বাড়ির পিছনে বড়ো ভাইয়ের হাঁসের খামার।
সিলেটে বৃষ্টি বেশি হয়, রাজশাহীতে কম হয়।

২. ক্রিয়াবিভক্তি: যেসব বিভক্তি ক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকে, সেগুলোকে ক্রিয়াবিভক্তি বলে। ক্রিয়াবিভক্তিগুলো ক্রিয়ার কাল ও পক্ষ নির্দেশ করে। যেমন: এ, এন, এছিলে ইত্যাদি। ক্রিয়াবিভক্তির প্রয়োগ:

সে বই পড়ে

তিনি বই পড়েন

তুমি বই পড়েছিলে

৩. নির্দেশক: যেসব লগ্নক শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নির্দিষ্টতা জ্ঞাপন করে, সেগুলোকে নির্দেশক বলে। যেমন: -টা, টি, খানা, খানি, টুকু, জন ইত্যাদি। নির্দেশকের প্রয়োগ:

পুরাতন বাড়িটা ভেঙে পড়ছে।
ঝড়ে পড়া আহত পাখিটি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠল।
ব্যাপারখানা মন্দ নয়।
মুখখানি কেন ভার করে রেখেছ?
লোকজন একসঙ্গে বসে গল্প করছে।

৪. বচন: যেসব লগ্নক শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে একাধিক সংখ্যা বোঝায়, সেগুলোকে বচন বলে। যেমন: গুলো, -রা, গণদের, সব, বৃন্দ ইত্যাদি। বচনের প্রয়োগ:

বইগুলো সরিয়ে রাখো।
ছেলেরা বল খেলছে।
শিক্ষকগণ একজন একজন করে বক্তৃতা করছেন।
প্রধান অতিথি মেয়েদের হাতে বই তুলে দিলেন।
ভাইসব, আগামীকাল বিকাল তিনটায় জনসভা।
দর্শকবৃন্দ নাটকের শেষে করতালি দিলেন।

৫. বলক: যেসব লগ্নক শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শব্দের উপরে বাড়তি জোর তৈরি করে, সেগুলোকে বলক বলে। বহুল ব্যবহৃত বলক:ও, ই। বলকের প্রয়োগ:

সে একটু আগে শরবত খেয়েছে, এখন কফিও যেতে চাচ্ছে।
শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড।

Content added By

শব্দের লগ্নক খুঁজি

নিচে কাজী আবদুল ওদুদের (১৮৯৪-১৯৭০) একটি প্রবন্ধ দেওয়া হলো। এটি তাঁর 'শাশ্বত বঙ্গ' গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে। কাজী আবদুল ওদুদ 'মুসলিম সাহিত্য সমাজে'র প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। তিনি মূলত প্রাবন্ধিক। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে 'বাংলার জাগরণ', 'কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ', 'নজরুল প্রতিভা' ইত্যাদি। তাঁর একটি বিখ্যাত উপন্যাসের নাম 'নদীবক্ষে'।

এই প্রবন্ধ থেকে বিভিন্ন ধরনের লগ্নক শনাক্ত করো এবং প্রদত্ত ছকে লেখো।

সাহিত্য-জগৎ

কাজী আবদুল ওদুদ

সাহিত্য-জগৎ বলে একটা স্বতন্ত্র স্বয়ং-পূর্ণ জগৎ আছে কি? যাঁরা 'শিল্পের জন্য শিল্প'-বাদী তাঁরা সোৎসাহে বলে উঠবেন: নিশ্চয়ই। তাঁদের দলে কৃতী সাহিত্যিকের অভাব নেই, তবু তাঁদের দলে ভিড়তে স্বতই সংকোচ জাগে, বিশেষ করে এই যুগে। মানব-কল্যাণ জীবন-কল্যাণ তত্ত্ব সব শিরোধার্য করেও সাহিত্য-প্রচেষ্টার সামনে দাঁড়িয়ে না বলে যেন উপায় থাকে না যে, সাহিত্য-জগৎ একটা স্বত্য জগত। 

কথাটা মনে পড়ছে কয়েকজন তরুণ বন্ধুর সাহিত্য-প্রচেষ্টা দেখে। বোঝা যাচ্ছে, আন্তরিকতায় তাঁদের ত্রুটি নেই, বাস্তবিকই তাঁরা কিছু একটা করতে চাচ্ছেন বা হতে চাচ্ছেন, আর তাঁদের দৃষ্টিও সাহিত্যের জগতের দিকে। তবু মনে হচ্ছে, যে পথে তাঁরা অগ্রসর হচ্ছেন তা ঠিক সাহিত্যের পথ নয়।

সমসাময়িক রাজনৈতিক সমস্যা, নর-নারীর সমস্যা, সব বিষয়ে তাদের কৌতুহল যথেষ্ট তীব্র, কিন্তু মনে হচ্ছে সেই তীব্রতা এতখানি যে, সেই জন্যই সাহিত্যের সুর তাতে ঠিক লাগছে না। সাহিত্য সমস্ত সমস্যারই আলোচনার ক্ষেত্র হতে পারে, হয়েও এসেছে চিরকাল, এমনকি যখন হয়নি তখনই সাহিত্য স্বাদহীন পানসে হয়ে উঠেছে। কিন্তু সেই আলোচনার একটা বিশিষ্ট ধরন আছে-যেমন নাচের একটা বিশিষ্ট ধরন আছে, তার বাইরে গেলেই তা মাত্র লাফালাফি।

সাহিত্যের সেই ধর্মের একটি নাম মাত্রা-বোধ। সাহিত্য অনুভূতির প্রকাশক্ষেত্র-মাত্র নয়, অনুভূতির সুপ্রকাশ-ক্ষেত্র। সেই সুপ্রকাশের সঙ্গে কৌতূহল এবং স্থৈর্য গাম্ভীর্য এবং ব্যঙ্গ আশ্চর্যভাবে মিশ্রিত। এই সব পরস্পর-বিরোধিতার যেখানে মিলন ঘটেছে, সেখানেই সাহিত্যিক-শ্রী দেখা দিয়েছে। শুধু উৎসুক্য, শুধু গাম্ভীর্য মূল্যহীন নয় কখনো, কিন্তু যত মূল্যবানই হোক সাহিত্যিক-শ্রী থেকে বঞ্চিত।

মনে হতে পারে তাহলে তো সাহিত্যে 'শিল্পের জন্য শিল্প'-বাদীদের মতই সত্য। এক হিসেবে এ কথা মিথ্যা নয়, কিন্তু 'শিল্পের জন্য শিল্প'-বাদে এমন একটা স্বস্তিবোধ রয়েছে, যাকে স্বাভাবিক ভাবা কঠিন। গাছে যে ফুল হয় তা গাছের কান্ড, ডালপালা ও পাতা থেকে স্বতন্ত্র নিশ্চয়ই। কিন্তু স্বতন্ত্র হয়েও তা গাছের অংশ ভিন্ন আর কিছু নয়। সাহিত্যও তেমনি, হাসি-কান্না-সুখ-দুঃখ-বিকার-ব্যর্থতাময় যে জীবন তারই একটি প্রকাশ। সেই বিরাট জীবনের সঙ্গে তার অঙ্গাঙ্গী যোগ নষ্ট হলে, তা হয়ে পড়ে অদ্ভুত এবং অসার। যেমন সত্যিকার ফুলের সঙ্গে তুলনায় কাগজের ফুল অদ্ভুত এবং অসার।

সাহিত্য জীবনের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত। আবার তার থেকে এক হিসেবে স্বতন্ত্র। এ কথাটা পরস্পরবিরোধী মনে হতে পারে।

ব্যাপারটা বাস্তবিকই বড়ো জটিল। তবে কিছু বোঝা যায় যদি এই কথা মনে রাখা যায়: জীবন থেকে সাহিত্যের জন্ম হলেও তার সঙ্গে সাহিত্যের পার্থক্য এই যে, তা জীবনের মতো অস্থির, অপূর্ণাঙ্গ ও সতত পরিবর্তনশীল নয়। বরং, এই সতত পরিবর্তনশীল জীবনের বুকে সে যেন এক অচঞ্চল স্বপ্ন, তা যত অল্পক্ষণের জন্যেই হোক।

যে পূর্ণাঙ্গতা আমাদের জীবনে নেই, তারই সাধনা করি বা স্বপ্ন দেখি সাহিত্যে। এই পূর্ণাঙ্গতার জন্যেই অবশ্য স্বপ্নের পূর্ণাঙ্গতা, সাহিত্য-জগৎ বাস্তবিকই একটু স্বতন্ত্র জগৎ।

 

শব্দের অর্থ

 

Content added By
Please, contribute to add content into বাক্য.
Content

উদ্দেশ্য ও বিধেয় খুঁজি

নিচের বাক্যগুলো থেকে উদ্দেশ্য, উদ্দেশ্যের প্রসারক, বিধেয় ও বিধেয়ের প্রসারক আলাদা করো।

মেয়েটি গান করছে। 

লাল জামা পরা  মেয়েটি গান করছে।

 লাল জামা পরা মেয়েটি হারমোনিয়াম নিয়ে গান করছে।

 এই ভরদুপুরে লাল জামা পরা মেয়েটি হারমোনিয়াম নিয়ে গান করছে।

 

উদ্দেশ্য ও বিধেয়

উদ্দেশ্য : বাক্যে যার সম্পর্কে কিছু বলা হয়, তাকে বলে উদ্দেশ্য। যেমন, উপরের বাক্যগুলোতে 'মেয়েটি' হলো উদ্দেশ্য।

উদ্দেশ্যের প্রসারক: উদ্দেশ্যকে ব্যাখ্যা করার জন্য যে শব্দ বা শব্দগুচ্ছ ব্যবহৃত হয়, তাকে উদ্দেশ্যের প্রসারক বলে। যেমন, উপরের বাক্যগুলোতে 'লাল জামা পরা' হলো উদ্দেশ্যের প্রসারক।

বিধেয়: উদ্দেশ্য সম্পর্কে যা বলা হয়, তাকে বলে বিধেয়। যেমন, উপরের বাক্যগুলোতে 'গান করছে' হলো বিধেয়।

বিষেয়ের প্রসারক: বিধেয়কে ব্যাখ্যা করার জন্য যে শব্দ বা শব্দগুচ্ছ ব্যবহৃত হয়, তাকে বিধেয়ের প্রসারক বলে। যেমন, উপরের বাক্যগুলোতে 'হারমোনিয়াম নিয়ে' এবং 'এই ভরদুপুরে' হলো বিধেয়ের প্রসারক।

 

বাক্যের শব্দ ও শব্দগুচ্ছ শনাক্ত করি

বাক্যে ব্যবহৃত শব্দসমূহ প্রায়ই গুচ্ছ আকারে ব্যবহৃত হয়। যেমন: এই ভরদুপুরে লাল জামা পরা মেয়েটি হারমোনিয়াম নিয়ে গান করছে। এই বাক্যের বর্গসমূহ: এই ভরদুপুরে। লাল জামা পরা/ মেয়েটি। হারমোনিয়াম নিয়ে। গান করছে।

নিচের বাক্যগুলো থেকে বর্গ আলাদা করো। একটি করে দেওয়া হলো।

সুমিতা কিছুক্ষন ধরে গান গাইছে।

শায়িরা ও রিতা বাগানে খেলছে।

সুমিতা/ কিছুক্ষণ ধরে। গান গাইছে। 

আমার বোন পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করেছে।

 প্রতিবন্ধী ছেলেটি অসাধারণ ছবি আঁকে। 

আমার বাবা প্রতিদিন বিকালে নদীর ধারের পার্কে হাঁটেন। 

পরীক্ষা শুরু হবে ঠিক সকাল দশটায়।

 

বর্গ

বাক্যে ব্যবহৃত শব্দগুচ্ছ বা বাক্যাংশকে বর্গ বলে। বর্গ কয়েক ধরনের হতে পারে:

১. বিশেষ্য বর্গ: একাধিক বিশেষ্য নিয়ে বিশেষ্য বর্গ তৈরি হয়। বিশেষ্য শব্দের আগে সম্বন্ধপদ যুক্ত হয়েও বিশেষ্য বর্গ তৈরি হতে পারে।

যেমন: রহিম ও করিম বৃষ্টিতে খেলছে। মোল্লাবাড়ির কায়সার ভালো একটা চাকরি পেয়েছে।

২. বিশেষণ বর্গ: বিশেষণজাতীয় শব্দের গুচ্ছকে বলা হয় বিশেষণ বর্গ।

যেমন: নীল শার্ট পরা ছেলেটি কবিতার বই পড়ছে। আমটা দেখতে ভারী সুন্দর

৩. ক্রিয়াবিশেষণ বর্গ: যে শব্দগুচ্ছ ক্রিয়াবিশেষণ হিসেবে কাজ করে, তাকে ক্রিয়াবিশেষণ বর্গ বলে।

যেমন: সকাল আটটার সময়ে সে রওনা হলো। আমরা তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ালাম।

৪. ক্রিয়া বর্গ বাক্যের বিধেয় অংশের ক্রিয়া প্রায় ক্ষেত্রেই ক্রিয়া বর্গ তৈরি করে।

যেমন: অস্ত্রসহ সৈনাদল এগিয়ে চলেছে। সে লিখছে আর হাসছে

 

বিভিন্ন ধরনের বর্গ খুঁজি

নিচের বাক্যগুলোতে বর্ণ চিহ্নিত করা আছে। এগুলো কোন ধরনের বর্গ তা পাশে লেখো।

 

Content added By
Please, contribute to add content into শব্দের অর্থ.
Content

নিচের অনুচ্ছেদের কোনো কোনো জায়গায় প্রতিশব্দ হিসেবে কিছু বিকল্প শব্দ রয়েছে। এসব বিকল্প শব্দের মধ্যে যে কোনো একটি শব্দ ব্যবহার করে অনুচ্ছেদটি আবার লেখো। প্রয়োজনে ঐসব জায়গায় অন্য প্রতিশব্দও ব্যবহার করতে পারো।

মানুষ বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য/আহার গ্রহণ করে। কিন্তু বেঁচে থাকাই মানুষের একমাত্র লক্ষ্য/কাজ/উদ্দেশ্য নয়। প্রাণীজগতের অন্য প্রাণীও খাদ্যের খাবারের অন্বেষণে দিনের/জীবনের অধিকাংশ সময় ব্যয় নষ্ট করে। এছাড়া প্রকৃতিতে টিকে থাকার জন্য সবাইকেই নিরাপদ আশ্রয়ের/বাসস্থানের সন্ধান/খোঁজ করতে হয়। মানুষ বাড়িঘর বানিয়ে সমাজবদ্ধভাবে/গোষ্ঠীবদ্ধভাবে/সম্মিলিতভাবে বাস করে। কিন্তু এই বেঁচে থাকা বা টিকে থাকার বাইরেও তাকে ভাবতে হয় সমাজের/সভ্যতার উন্নতির বিষয়ে ব্যাপারে। মানুষ তার জান/প্রজ্ঞা দিয়ে এগিয়ে চলেছে সামনের দিকে/পানে। এই অগ্রসরতা আগামীর ভবিষ্যতের পৃথিবীকে/দুনিয়াকে সহজতর/সুন্দর করবে বলেই আমাদের বিশ্বাস ধারণা।

প্রতিশব্দ শিখি

প্রায় একইরকম অর্থযুক্ত পরস্পর প্রতিস্থাপনযোগ্য শব্দকে প্রতিশব্দ বলে। নিচে কিছু শব্দের কয়েকটি করে প্রতিশব্দ দেওয়া হলো।

 

Content added By

গদ্যে রুপান্তর করি

কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬) বাংলাদেশের জাতীয় কবি। তিনি বিদ্রোহী কবি হিসেবেও পরিচিত। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যের মধ্যে আছে 'অগ্নি-বীণা', 'বিষের বাঁশী', 'ভাঙার গান', 'সাম্যবাদী', 'দোলনচাঁপা' ইত্যাদি। তাঁর লেখা উপন্যাস ও গল্পগ্রন্থের মধ্যে আছে 'বাঁধন-হারা', 'মৃত্যুক্ষুধা', 'শিউলিমালা' ইত্যাদি। তাঁর লেখা প্রবন্ধের বই 'যুগবাণী', 'দুর্দিনের যাত্রী', 'রুদ্রমঙ্গল' ইত্যাদি।

নিচের কবিতাটি কবির 'সর্বহারা' কাব্য থেকে নেওয়া হয়েছে। কবিতাটি গদ্যে রূপান্তর করো। গদ্যে রূপান্তরের সময়ে কবিতায় ব্যবহৃত শব্দের বদলে যত বেশি সম্ভব প্রতিশব্দ বসানোর চেষ্টা করো। শব্দের অর্থ বোঝার জন্য এবং প্রতিশব্দ খোঁজার জন্য প্রয়োজনে অভিধানের সহায়তা নাও।

 

কান্ডারি হুঁশিয়ার 

কাজী নজরুল ইসলাম

দুর্গম গিরি কান্তার-মরু, দুস্তর পারাবার

লঙ্ঘিতে হবে রাত্রি নিশীথে, যাত্রীরা হাঁশিয়ার।

দুলিতেছে তরি, ফুলিতেছে জল, ভুলিতেছে মাঝি পথ, 

ছিঁড়িয়াছে পাল, কে ধরিবে হাল, আছে কার হিম্মত?

 কে আছ জোয়ান, হও আগুয়ান, হাঁকিছে ভবিষ্যৎ।

 এ তুফান ভারি, দিতে হবে পাড়ি, নিতে হবে তরি পার।

২ 

তিমির রাত্রি, মাতৃমন্ত্রী সান্ত্রীরা সাবধান। 

যুগ-যুগান্ত সঞ্চিত ব্যথা ঘোষিয়াছে অভিযান।

 ফেনাইয়া ওঠে বঞ্চিত বুকে পুঞ্জিত অভিমান,

 ইহাদের পথে, নিতে হবে সাথে, দিতে হবে অধিকার

৩ 

অসহায় জাতি মরিছে ডুবিয়া,  জানে না সন্তরণ, কান্ডারি! 

আজ দেখিব তোমার মাতৃমুক্তিপণ।  "হিন্দু না ওরা মুসলিম?" 

ওই জিজ্ঞাসে কোন জন? কান্ডারি! বলো ডুবিছে মানুষ, সন্তান মোর মা-রা

৪ 

গিরি-সংকট, ভীরু যাত্রীরা, গুরু গরজায় বাজ, 

পশ্চাৎ-পথ-যাত্রীর মনে সন্দেহ জাগে আজ। কান্ডারি! 

তুমি ভুলিবে কি পথ? ত্যজিবে কি পথ-মাঝ? 

করে হানাহানি, তবু চলো টানি, নিয়াহু যে মহাভার।

কান্ডারি! তব সম্মুখে ঐ পলাশীর প্রান্তর, 

বাঙালির খুনে লাল হলো যেথা ক্লাইভের খঞ্জর! 

ঐ গঙ্গায় ডুবিয়াছে হায়, ভারতের দিবাকর

 উদিবে সে রবি আমাদেরই খুনে রাঙিয়া পুনর্বার।

ফাঁসির মঞ্চে গেয়ে গেল যারা জীবনের জয়গান,

আসি অলক্ষ্যে দাঁড়ায়েছে তারা, দিবে কোন বলিদান?

আজি পরীক্ষা জাতির অথবা জাতের করিবে ত্রাণ?

দুলিতেছে তরি, ফুলিতেছে জল, কান্ডারি হাঁশয়ার!

 

Content added || updated By

ইসমাইল হোসেন সিরাজী (১৮৮০-১৯৩১) একজন কবি, ঔপন্যাসিক ও প্রাবন্ধিক। তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে 'অনল-প্রবাহ', 'রায়নন্দিনী', 'তারাবাঈ', 'স্ত্রীশিক্ষা' ইত্যাদি। নিচে ইসমাইল হোসেন সিরাজীর একটি কবিতা দেওয়া হলো। কবিতায় যেসব শব্দের নিচে দাগ দেওয়া আছে, সেগুলোর বিপরীত শব্দ লেখো।

জন্মভূমি

ইসমাইল হোসেন সিরাজী

হউক সে মহাজ্ঞানী মহা ধনবান, 

অসীম ক্ষমতা তার অতুল সম্মান

হউক বিভব তার সম সিন্ধু জল

 হউক প্রতিভা তার অক্ষুন্ন উচ্ছল 

হউক তাহার বাস রম্য হ্য মাঝে

 থাকুক সে মণিময় মহামূল্য সাজে 

হউক তাহার রূপ চন্দ্রের উপম 

হউক বীরেন্দ্র সেই যেন সে রোস্তম 

শত শত দাস তার সেবুক চরণ 

করুক স্তাবক দল স্তব সংকীর্তন।

 

কিন্তু যে সাধেনি কতু জন্মভূমি হিত 

স্বজাতির সেবা যেবা করেনি কিঞ্চিৎ 

জানাও সে নরাধমে জানাও সত্তর,

 অতীব ঘৃণিত সেই পাষন্ড বর্বর। 

 

বিপরীত শব্দ

যেসব শব্দ পরস্পর বিপরীত অর্থ প্রকাশ করে, সেগুলোকে বিপরীত শব্দ বলে। বিপরীত শব্দ একে অন্যের
পরিপূরক। যেমন-জীবিত-মৃত, গভীর-অগভীর, স্থির-গতিশীল ইত্যাদি। এসব শব্দযুগলের একটি বৈশিষ্ট্য
হলো, এগুলোর একটিকে অস্বীকার করার মানে অন্যটিকে স্বীকার করে নেওয়া। যদি কারো সম্পর্কে বলা হয়
তিনি 'জীবিত', তবে বোঝায় যে তিনি 'মৃত' নন। আবার যদি বলা হয় তিনি 'মৃত', তবে বোঝায় তিনি
'জীবিত' নন।
শব্দের পূর্বে অ, অনু, অনা, অপ, অব, অবি, দুর, না, নি, নির্ প্রভৃতি উপসর্গ যুক্ত করে বিপরীত শব্দ তৈরি করা
যায়। যেমন-চেনা থেকে অচেনা, আদর থেকে অনাদর, নশ্বর থেকে অবিনশ্বর। তবে এমন বহু শব্দ রয়েছে
যেগুলোর বিপরীত শব্দ গঠনগতভাবে আলাদা। যেমন-ধনী-গরিব, আদি-অন্ত, নিন্দা-প্রশংসা ইত্যাদি।

 

Content added By

বিবৃতিবাচক বাক্য দুই ধরনের: হ্যাঁ-বাচক ও না-বাচক। নিচের অনুচ্ছেদের হ্যাঁ-বাচক বাক্যগুলোকে না-বাচক বাক্যে এবং না-বাচক বাক্যগুলোকে হ্যাঁ-বাচক বাক্যে রূপান্তর করো। এই কাজের জন্য শব্দের বদলে বিপরীত শব্দ বসানোর প্রয়োজন হতে পারে।

লোকটি প্রবাসী। কিছু দিন আগে তিনি বিদেশে এসেছেন। এখানে আসার পর বেশিরভাগ সময়ে তাঁর মন খারাপ থাকে। মা-বাবার কথা মনে পড়ে। বাংলাদেশে কত অলসতায় সময় কাটিয়েছেন। কিন্তু এখন তাঁকে সারাদিন কর্মব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। বছর দুয়েক পর দেশে যাবেন। নিশ্চয় ততদিনে তাঁর ছোটো ভাইবোনগুলো ছোটো থাকবে না। তবু তাদের জন্য তিনি হাতে করে কিছু নিয়ে যাবেন।

 

Content added || updated By
Please, contribute to add content into বানান ও অভিধান.
Content

বর্ণানুক্রমে শব্দ সাজাই

বাংলা অভিধানে যে ক্রমে বর্ণমালা সাজানো থাকে তা নিচে দেখো।

____________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________

এই ক্রমের সঙ্গে শিশুপাঠ্য বইয়ের বর্ণানুক্রমের তফাত কোথায়?

____________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________________

নিচের বাম কলামের শব্দগুলোকে অভিধানের বর্ণক্রম অনুযায়ী সাজিয়ে ডান কলামে লেখো। লেখা শেষ হলে সহপাঠীর সঙ্গে মিলিয়ে দেখো এবং প্রয়োজনে সংশোধন করো।

এলোমেলো নন্দ

বর্ণক্রম অনুযায়ী সাজানো শব্দ

দুরন্ত, জাগরণী, দুর্জয়, জাঁকানো, ঘাপটি, আভরণ, মনোরম, সুকুমার, আবিষ্কার, সন্ধি, আড্ডা, বক্তব্য, ধৌত, বুভুক্ষা, সিঁধেল, চৌচির, শিয়র, কায়া, মুমূর্ষু আকাশ, প্রত্যুক্তি, হর্ষ, খামখেয়ালি, কোন্দল, তৎপর, ছুতার, মৃন্ময়, তৃষিত, হেরফের, লৌকিক, নিরীক্ষক, বাঁশ, বন্ধু, বালতি, খেয়াল, ক্ষমা, খাঁ খাঁ, ঘুমন্ত, ডুবুরি, আড়াই, তত্ত্ব, আঁশ, কার্যকর। 

 

Content added By

অভিধানে শব্দ খুঁজি

আহমদ শরীফ (১৯২১-১৯৯৯) বাংলাদেশের একজন গবেষক ও প্রাবন্ধিক। তাঁর লেখা বইয়ের মধ্যে আছে 'বাঙালি ও বাঙলা সাহিত্য', 'বাঙলার সুফি সাহিত্য', 'বিচিত চিন্তা' ইত্যাদি।

নিচে আহমদ শরীফের লেখার একটি অংশবিশেষ দেওয়া হলো। এখানকার কিছু শব্দের নিচে দাগ দেওয়া আছে। শব্দগুলো অভিধান থেকে খুঁজে বের করো এবং খাতায় শব্দগুলোর অর্থ লেখো।

 

জিগীষা

আহমদ শরীফ

আরবিতে যা মাগাজি, ফারসিতে তা-ই জঙ্গ, সংস্কৃতে যুদ্ধ এবং বাংলায় লড়াই। বাঘ-সিংহের প্রতি ভয়াল বলেই যেমন মানুষের একটা আকর্ষণ রয়েছে, গা-পা বাঁচিয়ে নিরাপদ দূরত্বে থেকে হিংস্র শ্বাপদ-সরীসৃপ দেখা যেমন আনন্দজনক, তেমনি নিজের নিরাপত্তা সম্বন্ধে নিশ্চিন্ত হয়ে অন্যদের লড়াই বা যুদ্ধ দেখা, তার বর্ণনা শোনা সুখকর। এ যুগে যুদ্ধের ধরন বদলে গেছে, বিবর্তিত হয়েছে যুদ্ধাস্ত্র, তবু আজও তরবারির প্রতীকী মান, অশ্বের ও হস্তীর পার্বনিক মর্যাদা আর সেনানিবাসে রণবাদের প্রাত্যহিক প্রয়োজন ফুরায়নি। 

স্বস্থ ও সুস্থ মানুষের চেতনার গভীরে জীবনের যা মূল প্রেরণা তা হচ্ছে জিগীষা, সেই ভিনি-ভিডি-ডিসি আত্মপ্রত্যয়ী মানুষ বাস্তবে এ জিগীষা চরিতার্থ করে, আত্মপ্রত্যয়হীন দুর্বল মানুষ বিকৃত উপায়ে তা অনুভব উপভোগ করেই থাকে তুষ্ট। বিভিন্নভাবে অপরকে উপকৃত করে খণী কৃতজ্ঞ রেখেই সাধারণ মানুষ জিগীষা পূরণ করে, অন্যেরা গুণে-মানে-মাহাত্ম্যে শ্রেষ্ঠতর হয়ে কিংবা ধনবলে, জনবলে, বাক্যবলে, জনবলে অতুল্য হয়ে কর্মে-ক্রীড়ায়-কৌশলে নৈপুণ্যে-উৎকর্ষে অননা-অজেয় হয়ে মানুষ বিজয়ানন্দ অনুভব করে। আর রাজতন্ত্রের যুগে দিগ্বিজয়ী রাজারা, সেনারা, মল্লরা, পালোয়ানরা প্রতিপক্ষের সঙ্গে বাহুবলে কিংবা অস্ত্রযোগে লড়ে জয়ী হয়ে বিজয়গৌরব উপভোগ করত। এ যুগেও সৈনিকরা তা-ই করে, সমুদ্রতলার পর্বতচূড়ার ও গ্রহলোকের অভিযাত্রীরাও এ জিগীয় বীর। মৃত্যুকে যে ভয় পায় না সে-ই বীর।

আজও ব্যক্তিক, পারিবারিক, সাম্প্রদায়িক, জাতিক, রাষ্ট্রিক জীবনে লড়াই-ই-যুদ্ধই জীবনের জয়-পরাজয় নির্ধারণ করে। এ লড়াইয়ের নাম প্রতিযোগিতা, প্রতিদ্বন্দ্বিতা। ধনের মানের যুশ্রের কথার লড়াই, ক্ষমতার ভোগের চিন্তার মতের লড়াই চলছে সর্বদা সর্বদা জেতাই লক্ষ্য।

তাই লড়াই করতে-করাতে নয় শুধু লড়াই দেখতেও সুখ। যেখানে প্রতিযোগিতা, যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা, যেখানে যুদ্ধ সেখানেই মানুষের উৎসুক দৃষ্টি নিবন্ধ। তাই যুদ্ধকাব্য লোকপ্রিয়, পৃথিবীর প্রাচীন মহাকাব্যগুলো নয় কেবল, রূপকথাগুলোও রাজকুমারদের প্রাণপণ সংগ্রামের, বিপন্ন নায়কের সংকট উত্তরণের এবং বিরুদ্ধ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ইতিকথা

 

অভিধানের ভুক্তি

অভিধানের যে অংশে কোনো শব্দের অর্থ ও অন্যান্য পরিচিতি থাকে, তাকে ঐ শব্দের ভুক্তি বলে। নিচে চারটি ভুক্তি দেওয়া হলো। ভুক্তিগুলো থেকে শব্দের অর্থ ও পরিচিতি পাওয়া যাবে। যেমন:

অচেতন/অচেতোন/ [অ+চেতন] ১. বিণ. চেতনাহীন। ২. বিন, জড়বস্তু।

গরম/গরোম/ [ফা.) ১. বিণ. তপ্ত। ২. বি. গ্রীষ্মকাল।

মেঘাবৃত/মেঘাবুবুতো। [মেঘ+আবৃত] বিণ মেঘে ঢাকা।

সাহেব/শাহের/ [আ. সাহিব] বি. সম্মানিত ব্যক্তি।

শীর্ষণপ: ভুক্তির প্রথমে মোটা হরফে শব্দের বানান দেওয়া থাকে। মোটা হরফের এই শব্দটিকে শীর্ষশব্দ বলে। উপরের উদাহরণে অচেতন, গরম, মেঘাবৃত ও সাহেব শীর্ষশব্দ।

উচ্চারণ: শীর্ষশব্দের পরে বাঁকা দুই দাগের মধ্যে শব্দের উচ্চারণ দেখানো হয়। এখানে অচেতোন,/ গরোম্/, /মেঘাবৃবৃতো/ এবং /শাহেব। শব্দগুলোর উচ্চারণ।

শব্দের গঠন: উচ্চারণের পরে তৃতীয় বন্ধনীর মধ্যে শব্দের গঠন দেওয়া থাকে। এখানে প্রথম ও তৃতীয় চুক্তিতে [অ+চেতন) এবং (মেঘ+ আবৃত] হলো শব্দের গঠন।

শব্দের উৎস: উচ্চারণের পরে তৃতীয় বন্ধনীর মধ্যে শব্দের উৎস দেওয়া হয়ে থাকে। এখানে দ্বিতীয় ও চতুর্থ ভুক্তিতে দেখানো [ফা.] এবং [অ সাহিব) হলো শব্দের উৎস। এখানে [ফা.] বলতে ফারসি এবং [আ.] বলতে আরবি উৎস থেকে শব্দগুলো এসেছে বোঝানো হচ্ছে।

অর্থান্তর সংখ্যা: কোনো কোনো ভুক্তিতে ক্রমিক সংখ্যা দিয়ে শব্দের ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করা হয়। এই সংখ্যাগুলোকে বলে অর্থান্তর সংখ্যা। উপরের প্রথম দুটি ভুক্তিতে সংখ্যা (১, ২) দিয়ে ওই শব্দের একাধিক অর্থ বোঝানো হয়েছে।

শব্দের শ্রেণি: ভুক্তির শব্দটি কোন শ্রেণির তা প্রথম বন্ধনীতে সংক্ষেপে নির্দেশ করা থাকে। উপরের উদাহরণগুলোতে (বি.) দিয়ে বিশেষ্য এবং (বিন) দিয়ে বিশেষণ বোঝানো হয়েছে।

শব্দের অর্থ: তুক্তির শীর্ষশব্দের এক বা একাধিক অর্থ থাকে। উপরের উদাহরণে প্রথম ভুক্তির দুটি অর্থ- চেতনাহীন ও জড়বস্তু। একইভাবে দ্বিতীয় ভুক্তির দুটি অর্থ-তপ্ত ও শ্রীষ্মকাল; তৃতীয় ভুক্তির একটি অর্থ-মেঘে ঢাকা; এবং চতুর্থ চুক্তির একটি অর্থ-ব্যক্তি।

Content added || updated By

অভিধান দেখে যেসব শব্দের অর্থ লিখেছ, তার মধ্য থেকে দুটি শব্দের ভুক্তি তৈরি করো। ভুক্তিগুলো যথাযথ হলো কি না, তা নিয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে আলোচনা করো। প্রয়োজনে অভিধানের সহায়তা নাও এবং সংশোধন করো।

 

Content added By

আরও দেখুন...

Promotion