নিচের বাক্যগুলোতে 'মহিষ' এবং 'টান' শব্দের সঙ্গে যুক্ত অতিরিক্ত শব্দাংশগুলো আলাদা করো।
শব্দ যখন বাক্যে ব্যবহৃত হয়, তখন তার সঙ্গে কিছু শব্দাংশ যুক্ত হয়। শব্দের সঙ্গে যুক্ত এসব শব্দাংশকে লগ্নক বলে।
লগ্নক বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে, যথা- ১. শব্দবিভক্তি, ২. ক্রিয়াবিভক্তি, ৩. নির্দেশক, ৪. বচন এবং ৫. বলক।
১. শণবিভক্তি: বাক্যের মধ্যে এক শব্দের সঙ্গে আরেক শব্দের সম্পর্ক বোঝাতে কিছু শব্দাংশ যুক্ত হয়, সেগুলোকে শব্দবিভক্তি বলে। যেমন: কে, রে, র, এর, এ, -তে ইত্যাদি। শব্দবিভক্তির প্রয়োগ:
তিনি ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বাজারে গেছেন।
বাড়ির পিছনে বড়ো ভাইয়ের হাঁসের খামার।
সিলেটে বৃষ্টি বেশি হয়, রাজশাহীতে কম হয়।
২. ক্রিয়াবিভক্তি: যেসব বিভক্তি ক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকে, সেগুলোকে ক্রিয়াবিভক্তি বলে। ক্রিয়াবিভক্তিগুলো ক্রিয়ার কাল ও পক্ষ নির্দেশ করে। যেমন: এ, এন, এছিলে ইত্যাদি। ক্রিয়াবিভক্তির প্রয়োগ:
সে বই পড়ে।
তিনি বই পড়েন।
তুমি বই পড়েছিলে
৩. নির্দেশক: যেসব লগ্নক শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নির্দিষ্টতা জ্ঞাপন করে, সেগুলোকে নির্দেশক বলে। যেমন: -টা, টি, খানা, খানি, টুকু, জন ইত্যাদি। নির্দেশকের প্রয়োগ:
পুরাতন বাড়িটা ভেঙে পড়ছে।
ঝড়ে পড়া আহত পাখিটি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠল।
ব্যাপারখানা মন্দ নয়।
মুখখানি কেন ভার করে রেখেছ?
লোকজন একসঙ্গে বসে গল্প করছে।
৪. বচন: যেসব লগ্নক শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে একাধিক সংখ্যা বোঝায়, সেগুলোকে বচন বলে। যেমন: গুলো, -রা, গণদের, সব, বৃন্দ ইত্যাদি। বচনের প্রয়োগ:
বইগুলো সরিয়ে রাখো।
ছেলেরা বল খেলছে।
শিক্ষকগণ একজন একজন করে বক্তৃতা করছেন।
প্রধান অতিথি মেয়েদের হাতে বই তুলে দিলেন।
ভাইসব, আগামীকাল বিকাল তিনটায় জনসভা।
দর্শকবৃন্দ নাটকের শেষে করতালি দিলেন।
৫. বলক: যেসব লগ্নক শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শব্দের উপরে বাড়তি জোর তৈরি করে, সেগুলোকে বলক বলে। বহুল ব্যবহৃত বলক:ও, ই। বলকের প্রয়োগ:
সে একটু আগে শরবত খেয়েছে, এখন কফিও যেতে চাচ্ছে।
শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড।
আরও দেখুন...