খামারের জীব নিরাপত্তা (বায়োসিকিউরিটি)

এসএসসি(ভোকেশনাল) - পোল্ট্রি রিয়ারিং অ্যান্ড ফার্মিং-২ - প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি) | NCTB BOOK

১.১০ খামারের জীব নিরাপত্তা (বায়োসিকিউরিটি)

বর্তমান বিশ্বে খামার সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে একটি বহুল আলোচিত শব্দ বায়োসিকিউরিটি। খামার স্থাপনের পরিকল্পনা থেকে শুরু করে খামার পরিকল্পনা, উৎপাদন ও উৎপাদিত দ্রব্যের বাজারজাতকরণ, এমনকি ভোক্তার কাছে উৎপাদিত দ্রব্য পৌছে দেওয়া পর্যন্ত প্রক্রিয়াগুলো আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত তথা জীবাণুমুক্ত ও অন্যান্য ক্ষতিকর উপাদানের প্রভাবমুক্তভাবে সম্পন্ন করাই জীব নিরাপত্তা ব্যবস্থা । 

জীব নিরাপত্তা ব্যবস্থার উদ্দেশ্য-

  • বহিরাগত রোগজীবাণু যেমন : বার্ড ফ্লু জাতীয় রোগের কবল থেকে খামার রক্ষা করা । 
  • মানুষের মাধ্যমে ছড়ায় এমন রোগ জীবাণু যেমন- সালমোনেলা থেকে খামারকে রক্ষা করা।
  • খামারের সার্বিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রদান । 
  • রোগ প্রতিরোধের মাধ্যমে চিকিৎসা ব্যয় কমানো, লাভজনক উপায়ে খামার গড়ে তোলা, জনস্বাস্থ্যের প্রতি ঝুঁকি কমানো।

নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল রাখলে জীব নিরাপত্তা ব্যবস্থা সঠিকভাবে মেনে চলা যাবে :

১. খামারের স্থান নির্বাচন :

  • পূর্ব পশ্চিমে লম্বালম্বি করে ঘর তৈরি করতে হবে। 
  • চারিদিকে খোলা মেলা, প্রচুর আলো-বাতাস চলাচলে সক্ষম এমন স্থান বেছে নিতে হবে। 
  • লোকালয় থেকে দূরে কিন্তু খামারের পণ্য বাজারজাতকরণের ভালো যোগাযোগ সুবিধাসম্পন্ন ও শহর থেকে অনতি দূরে খামারের স্থান নির্বাচন করতে হবে।
  • খামারে পর্যাপ্ত পানি ও বিদ্যুতের সুবিধা থাকতে হবে। 
  • অপেক্ষাকৃত উঁচু স্থানে খামার স্থাপন করতে হবে।

২. রোগ জীবাণুর উৎস ও প্রতিরোধের উপার নির্বাচন : 

রোগ জীবাণুর উৎসসমূহঃ

  • বাহক পাখি, বাইরে থেকে আমদানিকৃত জীবাণুবাহী ডিম ও ১ দিন বয়সের বাচ্চা, আক্রান্ত ভিম ও হাঁস, মানুষের হাত-পা ও পোশাকাদি, ধুলাবালি, পালক, বিষ্ঠা ও জৈব বর্জ্য, বন্যপাখি, শিকারি জীবন্ত, ইঁদুর ইত্যাদি ।
  • দূষিত পানি, খাদ্য, বাতাস ইত্যাদি। 
  • রোগ জীবাণু দ্রুত সরবরাহের যন্ত্রপাতি কথা- ট্রাক, খাচা, ডিমের পাত্র ইত্যাদি ।

রোগ বিস্তার প্রতিরোধের উপায় : 

(ক) যাতায়াত নিয়ন্ত্রণঃ

  • বাতায়াত নিণের জন্য খামারের প্রবেশদ্বার বন্ধ রাখতে হবে। 
  • সব ধরনের দর্শনার্থী প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
  • খামারের কর্মীদের খামারে ব্যবহৃত জুতা ও পোশাকাদি আলাদা রাখতে হবে এবং সেগুলো খামারের বাইরে বের করা যাবে না।
  • আমারে প্রবেশের পূর্বে ও পরে হাত পা জীবাণুনাশক দিয়ে ধুতে হবে ও শরীরের বহিরাংশে জীবাণুনাশক স্প্রে করতে হবে।
  • খামারের বন্যপ্রাণি, পোষাপাখি ও অন্যান্য জীব-জন্তু প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
  • এক খামারে একই বয়সের হাঁস পালন করতে হবে। যদি তা সম্ভব না হয় তবে একটি ঘরে একই বয়সের হাঁস রাখতে হবে।

 

খ) খামারে অবাধ প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ :

  • দর্শনার্থীদের জন্য একটি তথ্য বই সংরক্ষণ করতে হবে। খামার পরিদর্শনকারীর নাম-পরিচয়, সাক্ষাৎকারের তারিখ-সময় ইত্যাদি তথ্য বইয়ে লিপিবদ্ধ করে খামারের নির্দিষ্ট স্থানের বাইরে অবাধ যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
  • খামারকর্মী ও খামার পরিদর্শনকারী বহিরাগত উভয়কেই কাজ করার সময় বা খামার পরিদর্শনের সময় জীবাণুমুক্ত জুতা ও পোশাকাদি পরিধান করতে হবে। পরিদর্শন ও কাজের শেষে পুনরায় এদের জীবাণুমুক্ত করা আবশ্যক ।
  • উপকরণ সরবরাহকারী বাস/ট্রাক ড্রাইভার ও সংশ্লিষ্ট শ্রমিকদের যথাসম্ভব জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে। 
  • বন্যপাখি নিয়ন্ত্রণের জন্য খামার ঘরের চারদিকে আলো বিকিরণকারী অ্যালুমিনিয়ামের ফয়েল বেঁধে দিতে হবে।

গ) চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীর তৎপরতা :

  • পোল্ট্রি খামারের সার্বিক ব্যবস্থাপনা অথবা চিকিৎসার কাজে নিয়োজিত চিকিৎসক অথবা স্বাস্থ্যকর্মীকে জৈব-নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে পূর্ণ সচেতন থাকতে হবে।
  • প্রতিটি আলাদা শেডে ঢোকার পূর্বে ও পরে জীবাণুনাশক ঔষধ দিয়ে হাত-পা ধৌত করতে হবে। সম্ভব হলে আলাদা অ্যাপ্রন, হাত পায়ের মোজা ও মাথার আবরণী ব্যবহার করতে হবে।
  • খামারে নিয়োজিক কর্মীবৃন্দ, খামারে প্রবেশকারী যানবাহন, চালক ও সংশ্লিষ্ট সহায়ক কর্মীবৃন্দের যেকোনো ধরনের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলবেন।
  • ময়নাতদন্ত করার জন্য বাতাসের অনুকুলে এমন জায়গা বেছে নিতে হবে যেখান থেকে বাতাসের মাধ্যমে খামারে জীবাণু প্রবেশের কোন সম্ভাবনা নেই। ময়নাতদন্ত শেষে স্থানটি জীবাণুনাশক দিয়ে ধুয়ে দিতে হবে।

 

৩. নিয়মিত টিকা প্রয়োগ : 

খামারে হাঁসকে টিকা প্রয়োগের মাধ্যমে রোগ-মুক্ত রাখা একটি আধুনিক, জটিল ও অত্যন্ত বিজ্ঞানসম্মত প্রক্রিয়া। আধুনিককালে পোল্ট্রি শিল্পের সাফল্য সময়মত ও সফলভাবে টিকা প্রয়োগ ছাড়া সম্ভব নয়। তাই টিকা প্রয়োগকালে সর্বোচ্চ সতর্কতা পালন করা বাঞ্ছনীয়।

টিকা প্রদানের সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে-

  • হ্যাচারির সংশ্লিষ্ট দায়িত্বরত স্বাস্থ্যকর্মীকে ১ দিন বয়সী বাচ্চার প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পর্কে খামারিদের ধারণা দিতে হবে। মায়ের বা বাচ্চার শরীরের এন্টিবডি টাইটার লেভেল নির্ণয় করে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী বাচ্চার টিকা প্রদান কর্মসূচি নির্ণয় করতে হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট হ্যাচারির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে।
  • সঠিকভাবে উৎপন্ন, সংরক্ষিত, পরিবাহিত টিকা প্রদান করতে হবে।
  • আমাদের দেশের স্থানীয় পর্যায়ে আক্রমণকারী জীবাণুর স্ট্রেইন সম্বন্ধে ভালোভাবে ধারণা নিয়ে সেই অনুযায়ী টিকা প্রদান করতে হবে। অপরিচিত স্ট্রেইন দ্বারা প্রস্তুত টিকা প্রদান করলে বিপরীত প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
  • নির্দেশনা অনুযায়ী শ্রেণিভেদে টিকা প্রদানের সঠিক মাধ্যম অনুসারে টিকা প্রদান করতে হবে। যেমন- জীবন্ত টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে খাবার পানি, স্প্রে বা চোখে ফোঁটা প্রদানের মাধ্যমে ও মৃত জীবাণু দ্বারা প্রস্তুতকৃত টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করতে হবে ।
  • অসুস্থ হাঁসকে টিকা প্রয়োগ করা যাবে না । 
  • টিকা প্রদানের পূর্বে ভিটামিন এ, ডি ও ই ব্যবহার করা ভালো । 
  • টিকা প্রদানের পর ভিটামিন সি, ভিটামিন ই ও সেলেনিয়াম ব্যবহার করা ভালো ৷

৪. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা :

  • প্রতি সপ্তাহে হাঁসের খাদ্য ও পানি গ্রহণের পরিমাণ, ওজন ইত্যাদি পরিমাপ করতে হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী খাদ্যের পরিমাণ কমাতে বা বাড়াতে হবে।
  • সঠিকভাবে আলো প্রদান করতে হবে ।
  • কোনরূপ রোগ লক্ষণ প্রকাশের সাথে সাথেই নিকটস্থ পশু চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৫. নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা :

  • পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা লাভজনক খামারের পূর্বশর্ত। তাই খামারের ভেতরে ও বাইরের চারদিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অপরিহার্য্য। মেঝে বা লিটার পদ্ধতির ঘরের ক্ষেত্রে প্রতি ব্যাচে নতুন লিটার দেয়া ও ঘর সম্পূর্ণ পরিষ্কার করা উচিত।
  • খামারের সকল যন্ত্রপাতি, যেমন- মুরগির খাঁচা, ডিম রাখার পাত্র, খাদ্য পাত্র ও পানি পাত্র ইত্যাদি নিয়মিত জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
  • বছরে অন্তত একবার শেডসহ সকল যন্ত্রপাতি জীবাণুনাশক দিয়ে ধুতে হবে অথবা ফিউমিগেশন করে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। 
  • খামারে ব্যবহৃত পুরোনো লিটার যথাসম্ভব নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিতে হবে। অপসারণ কালে ব্যবহৃত লিটার দ্বারা কোনভাবেই যেন খামারের পরিবেশ নষ্ট না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।
  • সমস্ত ঘর ঝাড়ু দিতে হবে। খামারের প্রতিটি অংশ, যেমন- মেঝে, বৈদ্যুতিক পাখা, বাল্বসহ অন্যান্য সরঞ্জাম, দরজা জানালার মাঝে থাকা ধুলাবালি, মাকড়সার জাল প্রভৃতি পরিষ্কার করতে হবে। নষ্ট বাল্বের জায়গায় নতুন বাল্ব লাগাতে হবে ।
  • শেডের ভেতরে জীবাণুনাশক স্প্রে করলে ঘরের পিছন দিকে স্প্রে করা শুরু করে সামনের দিকে এসে শেষ করা উচিত। ঘরের ভেতরে প্রথমে ছাদ, পরে দেয়াল এবং সবশেষে মেঝেতে স্প্রে করতে হবে।
  • শুকনো মেঝেতে অন্তত চার ইঞ্চি পুরু শুষ্ক শোষণক্ষম লিটার বিছিয়ে দিতে হবে। লিটার হিসাবে ধানের তুষ সর্বোত্তম।
  • লিটারে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ হলে কীটনাশক নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় প্রয়োগ করা যায়। কীটনাশক ও জীবাণুনাশক একত্রে ব্যবহার করা যাবে না। প্রয়োজনে কীটনাশক দেয়ালে স্প্রে করা যেতে পারে। 
  • ঘরের চারপাশে পর্দা হিসাবে পলিথিন বা নাইলনের বস্তা ব্যবহার না করে চটের বস্তা ব্যবহার করা উচিত। খাঁচা পদ্ধতির ঘরের ক্ষেত্রে প্রতি ব্যাচ বাড়ন্ত হাঁস পালন শেষে সমস্ত ঘর পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করা অতীব জরুরি। লেয়ারের ক্ষেত্রে প্রতিটি ফ্লক উঠানোর পূর্বে সমস্ত ঘর ও যন্ত্রপাতি জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করা উচিত।

৬.স্বাস্থ্য সম্মত ও আদর্শ খাদ্য প্রদান : 

বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া (যেমন- সালমোনেলোসিস) ও ছত্রাকজনিত (যেমন- এসপারজিলোসিস, আফলা টক্সিকোসিস) রোগের জীবাণু খামারের মাধ্যমে পরিবাহিত হয়। সত্যিকারের ভালো খাবার বলতে জীবাণুমুক্ত ও সুষম খাদ্যের প্রয়োজনীয় উপাদানসমূহের সমন্বয়ে গঠিত খাদ্যকে বুঝায়।

৭. হাঁসের ঘরের স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবস্থাপনা : 

ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ধ্বংসকারী জীবাণুনাশক অপেক্ষাকৃত উষ্ণ তাপমাত্রাতেই বেশি কার্যকর। তাপমাত্রা ৭০ ডিগ্রি ফারেনহাইট এর উপরে এবং আর্দ্রতা ৭৫% এর উপরে থাকলে ফরমালডিহাইড গ্যাস সবচেয়ে কার্যকর। 

ক) ক্লোরক্স (সোডিয়াম হাইপো ক্লোরাইড দ্রবণ): ১ কন্টেইনার ক্লোরক্স দিয়ে ৮০ লিটার জীবাণুনাশক দ্ৰবণ তৈরি করা যায়। বাঁশের তৈরি হাঁসের ঘরের মেঝে, চালা ইত্যাদি জীবাণুযুক্ত করার জন্য ক্লোরক্স খুবই কার্যকরী। 

খ) ভায়োডিন (আয়োডিন দ্রবণ) : ১ বোতল ভায়োডিন ১০% সলিউশন দিয়ে ৫ লিটার জীবাণুনাশক দ্রবণ তৈরি করা যায়। 

গ) চুন দিয়ে মাচার নিচের মাটি জীবাণুমুক্ত করা খুবই জরুরি। ১০০-২০০ হাঁস পালন উপযোগী একটি ঘরের মাঁচার নিচের মাটি জীবাণুমুক্ত করার জন্য ২০ কেজি পাউডার চুন ছিটিয়ে মাটির সাথে ভালোভাবে মিশাতে হবে।

 

৮. বিশুদ্ধ খাবার পানি এবং পানি পাত্রের সঠিক ব্যবস্থাপনা :

  • পান করার জন্য হাঁসের খামারে টিউবওয়েলের পানি অথবা বাতাস দূষিত নয় এমন এলাকার সঠিক উপায়ে রাখা বৃষ্টির পানি অথবা পৌর কর্তৃপক্ষ সরবরাহকৃত পানি অথবা ছাঁকা অথবা ১০০ লিটার পানির সাথে অন্তত ৩০০ মি. গ্রা. ক্লোরিন পাউডার মিশ্রিত করে ৩-৬ ঘণ্টা সংরক্ষণ করার পর সেই পানি সরবরাহ করা উচিত।
  • শেডে হাঁস থাকা অবস্থায় সপ্তাহে একবার বেকিং সোডা (সোডিয়াম বাই কার্বনেট) প্রয়োগ করা যেতে পারে। এতে ড্রিংকার, বাল্ব ও পাইপ লাইনে আঠালো বস্তু জমতে পারবে না। পানির সাথে অ্যান্টিবায়োটিক বা ভিটামিন দেয়ার ঠিক পূর্বেই বেকিং সোডা মিশ্রিত পানি পরিচালনা করতে হবে। প্রতি গ্যালন মজুদ দ্রবণের সাথে এক টেবিল চামচ বেকিং সোডা দিতে হবে। 
  • লিটার পদ্ধতিতে হাঁস পালনে পানি সরবরাহের সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে।

 

৯. নতুন ব্যাচের ব্যবস্থাপনা : 

পুনরায় হাঁস বা বাচ্চা তোলার পূর্বে ঘর এবং যন্ত্রপাতি ব্যবহার উপযোগী হয়েছে কিনা যাচাইয়ের জন্য নিম্নবর্ণিত চূড়ান্ত বা বাচ্চা তোলার পূর্বে ঘর এবং যন্ত্রপাতি ব্যবহার উপযোগী হয়েছে কিনা যাচাইয়ের জন্য নিম্নবর্ণিত পর্যবেক্ষণ প্ৰয়োজন-

  • সমস্ত বৈদ্যুতিক সংযোগ পরীক্ষা করতে হবে। মেরামতের প্রয়োজন হলে তাৎক্ষণিকভাবে তা করতে হবে। 
  • হাঁসের খাঁচা, খাদ্য পাত্র, পানি পাত্র, মেঝে, দেয়াল ইত্যাদি পরিষ্কার করতে হবে। ভালোভাবে পরিষ্কার করার জন্য উচ্চ চাপযুক্ত পানির প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে।
  • পানি পাত্র ও সরবরাহ লাইন প্রয়োজনে মেরামত করতে হবে। 
  • থার্মোমিটার, থার্মোস্ট্যাট, গ্যাস ব্রুডার, স্টোভ ইত্যাদি ব্যবহার উপযোগী করতে হবে। 
  • আগের ব্যাচের হাঁসের বিষ্ঠাগুলি পুড়িয়ে ফেলতে হবে বা জীবাণুমুক্ত করতে হবে অথবা কম্পোস্ট বা জৈব সার তৈরির কাজে লাগাতে হবে।
  • হাঁসের খাঁচা, খাদ্যপাত্র, পানি পাত্র, মেঝে, দেয়াল ইত্যাদি জীবাণুনাশক দিয়ে ধুয়ে দিতে হবে। 
  • টিন, লোহা বা তামার তৈরি দ্রব্যসমূহ জীবাণুনাশক দেয়ার কয়েক ঘন্টা পর ধৌত করে ফেলতে হবে। 
  • দ্রব্যসমূহ ভালোভাবে শুকানোর পর নতুন বাচ্চা তুলতে হবে।

 

শ্রেণির তাত্ত্বিক কাজ

  • জীব নিরাপত্তা বা বায়ো সিকিউরিটির উদ্দেশ্য লেখ।  
  • হাঁসের খামারের স্থান নির্বাচনের জন্য কোন বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল রাখতে হয়? 
  • কোন কোন উৎস হতে হাঁসের খামারে রোগ জীবাণু প্রবেশ করতে পারে? 
  • খামারে টিকা প্রদানের সময় কী কী বিষয় মেনে চলতে হয়?

 

 

 

 

Content added By

আরও দেখুন...

Promotion